বেসিস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক একটি আদর্শীক ও ন্যায়ের দৃষ্টান্তের প্রতিক

টিআইএন॥ দোলোয়ার হোসেন ফারুক সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, তিনি এবং তাঁর বন্ধুমহল এমনকি কর্মের প্রয়োজনে ছুটেচলা পথের সাক্ষীগণও একমত যে, সহজ-সরল এবং অতি বিনয়ী এমনকি পরোপকারী একজন হাস্যোজ্জ্বল প্রকৃতির মিষ্টিভাসী বন্ধসুলব মনোভাবাপন্ন স্বচ্ছ মনের অধিকারী। প্রয়োজনে পাশে থেকে সহযোগীতা করার মানসিকতাই তাকেই আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সে নিজের নয় বরং অন্যের জন্য কিছু একটা করতে চাই। আর এই প্রতিফলন পাওয়া গেছে তাঁর এলাকায় গিয়ে। তারই তৈরী স্কুল এবং কলেজ ও বিভিন্ন সহযোগীতার ফলে ঐ এলাকায় আজ সে একজন জনদরদীতে পরিণত হয়েছে। যার ফলশ্রুতীতে এলাকার মানুষ তাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। সর্বত্রই এর রব বিরাজমান। fareq basis
দলীয় ফোরামেও তার বিশ্বস্ততা এবং দলের প্রতি পরীক্ষিত আন্তরিকতা প্রমানীত ও প্রতিয়মান। সবই সততা ও ন্যায়ের কল্যাণে সুপ্রতিষ্ঠিত। আর বেসিস-এ তিনি গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করে নির্বাচিত না হয়েও ষ্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়ে একজন সভাপতি হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করেছেন তা এক উজ্জ্বল ও জলন্ত দৃষ্টান্ত বহন করে যাবে আগামীর প্রয়োজনে। ইচ্ছা এবং আকাঙ্খা ও বাস্তবায়নকল্পে আন্তরিক পদক্ষেপ নিলে তা সফল হয়; এর প্রমান বেসিসে দেলোয়ার হোসেন ফারুক। তিনি মেম্বারদের জন্য ইন্সুরেন্স এর ব্যাবস্থা করেছেন, মেম্বার কার্ড, সহজ শর্তে ব্যাংক লোন, ব্যাংক ক্রেডিটকার্ডসহ আরো অনেক দৃষ্টান্তবহনকারী কাজ করেছেন যা বর্তমানে দৃশ্যমান এবং মেম্বারগন উপকারভোগী হিসেবে চলমান। আরো অনেক পদক্ষেপ তিনি নিয়োছেন যা অতিতের কোন পরিচালকের পক্ষেও সম্ভব হয়নি। তবে তার মত একজন তেজদিপ্ত কর্মীবান্দব মানুষের দরকার বেসিস এ। কিন্তু এই ধরনের মানুষের পিছনে থাকে যথেষ্ট মিরজাফর এবং ষড়যন্ত্রকারী, যাতে সাফল্য এবং সফলতা এই দুইয়েই পাহাড়সম দেয়াল তুলে দিয়ে মওকা লুটতে পারে।
তবে বেসিস মেম্বারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় দেলোয়ার হোসেন ফারুক সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং সেবাকারী। যে বা যারাই তার কাছে কোন প্রয়োজনে সহায়তা চেয়েছে সে সবারই প্রয়োজন মিটিয়েছে। কেউ এ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে গ্রহন করতে পারে আবার কেউ এটাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতেও গ্রহন করতে পারে। তবে ইতিবাচকের পাল্লাই এখন পর্যন্ত ভারী।
বর্তমানে বেসিস নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী আর তার প্রার্থীতা নিয়ে অন্য প্রার্থীদেরও মতামত ইতিবাচক। সবাই তাকে পছন্দ করে। হয়ত তার প্রতিদ্বন্ধিও তাকে মনে মনে পছন্দ করে কিন্তু প্রতিদ্বন্ধিতার ক্ষেত্রে শুধু কৌশল অবলম্বন করে থাকে মাত্র। যাব সকলের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় বেসিস একটি পরিবার এবং এই পরিবারে কোন দ্বন্ধ নেই আর দ্বন্ধ থাকবেও না। যা আগামী ৩১তারিখের বিকেলেই স্পষ্ট হবে।
তবে নির্বাচনের শেষ বিকেলে এসে কিছু কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে যা আসলে নিন্দুকেরই কাজ মনে হচ্ছে। তবে কিছু কিছু নিন্দুকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় এই চালে তারা সফল এবং তাদের টোপ ঘিলে কিছু সহজ সরল প্রকৃতির সাদামনের মানুষও দুলছে। এই বিষয়টি নিয়ে যখন জনাব দেলোয়ার হোসেন ফারুক এর স্বরণাপন্ন হই তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমি আগে যা ছিলাম এখনও তাই আছি এবং আগামীতেও তাই থেকে বেসিসকে সহযোগীতা করে যাব। বেসিসের সকলেই আমার কাছে অতি আপনজন এবং সকলের প্রয়োজনেই আমি। সুতরাং বেসিস সম্পর্কে আমার কোন নেতিবাচক মনোভাব নেই এবং থাকবেও না। আমাদের প্রতিনিধি তার হুবুহু বক্তব্য নি¤েœ উল্লেখ করে নিন্দুকের জবাব এবং আগামীর করনীয় নির্ধারণে ইতিবাচক ভুমিকার রাখার সুযোগ করে দিয়েছে মাত্র।
আমি যেভাবে বেসিসেঃ
আমি আইটি ব্যবসা করি ১২ বছর। ২০১৬ সালের আগে কখনো বেসিসে এক্টিভ ছিলাম না। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন সভাপতি শামীম আহসান ভাই ও রাসেল টি আহমেদের ডাকে সাড়া দিয়েই বেসিস নির্বাচনে আসি। পরবর্তীতে পরিচয় হয় ফাহিম মাসরুর ভাইয়ের সাথে। বেসিসে নতুন হওয়ায় অনেক চেষ্টা করেও তারা আমাকে পাশ করাতে ব্যর্থ হন।
আমি পরাজয় করলেও বেসিসের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখি। আজকে অবাক হচ্ছি যারা আমাকে বেসিসে নিয়ে আসছেন তারাই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত।
কোন ধরণের তথ্য প্রমান ছাড়াই আমার দিকে তীর ছোঁড়া হলো (মনে রাখতে হবে ফেসবুকের স্ক্রিন-শট অকাট্য যুক্তি নয়, একই বিল্ডিং এর ঠিকানায় রেজিস্টার্ড অফিস থাকাটাও একটা অস্বাভাবিক নয়।) তারপরও নির্বাচনকে বিতর্কে উর্ধ্বে রাখার স্বার্থে আমি সরে গেলাম।
কিন্তু ফাহিম মাসরুর বলেছে আমি প্রার্থী হওয়ার কারনে তিনি নির্বাচন করছেন, এখন আমি প্রত্যাহার করার পরেও তিনি মাঠে। ফাহিম সাহেব এমনি সু-শীল।
এখন প্রশ্ন হলোঃ
গত নির্বাচনের আগে আমি বেসিসের কিছুই জানতাম না, বোর্ডে আসার ব্যাপারে আমার তেমন আগ্রহও ছিলো না। শামীম ভাই আর রাসেল ভাই-ই আমাকে জোড় করেই বেসিসে নিয়ে আসলেন! আমি কোন প্যানেল থেকে গত ইলেকশন করেছিলাম? এখন তারাই আমাকে কালপিট বানাচ্ছেন। এর দায়িত্ব কি তারা নিবেন? নাকি তখন নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য আমাকে নিয়ে এসেছিলেন? এখন তাঁদের সার্থে আমি বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছি বলেই কি এত নাটক? এপিক্টা নিয়ে বোর্ড মিটিংএ অডিট করানোই কী আমার দোষ! ২০১২ থেকে বেসিসের প্রত্যেকটি ইভেন্টের অডিট করতে চাওয়াই কী আমার অপরাধ? গেমস্ প্রজেক্ট নিয়ে সিন্ডিকেশনের বিরুদ্ধে কথা বলাই আমার অপরাধ?
আর ফাহিম ভাইয়ের সাথে, আইসিটি ডিভিশনের এলইডিপি প্রজেক্টের একটি কাজ নিয়ে ফাহিম ভাইয়ের সাথে ঝামেলার সূত্রপাত। ফাহিম ভাই তখন বহুবার আমার সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তারপর মতের মিল হলো না, তারপর থেকেই তো সব গন্ডগোল? এই রাগ এখানে নিয়ে আসছেন কেন ভাই? গতবার আপনিওতো আমাকে সাপোর্ট করেছিলেন। এখন কিভাবে এত ভদ্র সাজলেন ভাই?
২। ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এর রাইট-ব্রেনের নূর ভাই, মধুমতি টেকের মালিক রকিবতো আপনার বিভিন্ন ব্যবসার এক্সিকিউট পার্টনার। ঠিক বলেছি ভাই? এখন ঘটনা কি দাড়ালো ভাই? সৎ সাহস থাকলে আমাকে চ্যালেঞ্জ করুণ।
ধন্যবাদ।!
সবাই চোখ-কান খোলা রাখুন। আসল রাঘব-বোয়ালরা ইলেকশনে নাই। তারা ভালো মানুষের চেহারা ধরে পাশে থেকে খেলছেন। সাধারণ ভোটার সাবধান।
আমি চাই সুন্দর ভাবে ইলেকশন হোক, সাথে সাথে মিথ্যা বন্ধ হোক, মুখোশ খুলে যাক। আপনাদের মতো আমিও ১১ জনের নাম জানতে চাই।
এই হলো একজন সৎ ও নির্ভিক মানুষ যিনি তার জীবন এবং বুদ্ধিদৃপ্ত মেধাদিয়ে উপকার করার মহান বৃতী সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.