টিআইএন॥ প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট এই বাড়িতেই স্বপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। সে সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের দর্শনার্থী বইয়ে কেরি সেই ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশে মানুষের “অনন্যসাধারণ এক সাহসী নেতার” জীবনাবসান হিসেবে। “কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে, তারই কন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”
কেরি লিখেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়তে বাংলাদেশের এই অভিযাত্রায় বন্ধু হিসেবে সঙ্গী হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র ‘গর্বিত’। “শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই আমরা”।
সোমবার সকালে ঢাকা পৌঁছানোর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে যান জন কেরি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান কেরি। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্টমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির পথে ঢাকা ছাড়ার আগে জন কেরি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং ধানমন্ডীর এডওয়ার্ড কেনেডি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্ততা দেবেন। কেরির সফরসূচিতে মিরপুরের একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাসে নিজের দপ্তরের ক’টনীতিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বেঠক করেন তিনি।
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশী নাগরিকসহ ২০জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতার মধ্যেই কেরির এই ঢাকা সফর। এই সফরের আগে কেরির দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, তার সংক্ষিপ্ত এই সফরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।