শাহবাজপুর থেকে নওশীন॥ হাড্ডিসার এই শক্তিহীন মানুষটি চলাচলের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগেই। চোখেও এখন আর তেমন দেখতে পায় নি। শরীরটা একেবারেই ন্যুয়ে পড়েছে। পেটের দায়ে লাঠিতে ভর দিয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে মনছের আছি। বয়সের ভারে ন্যুয্য হয়ে পড়েছে তাই এখন ভিক্ষা করার সুযোগ ফুরিয়ে যাচ্ছে। ১০৩ বছর বয়সে সে এই অবস্থায় কিভাবে চলবে। আমাদের সরকারের বয়স্ক ভাতার কার্ড, ভিজিডির কার্ডও জোটেনি তার কপালে। শাহজাদপুর পৌর এলাকার পুকুরপাড় মহল্লার বাসিন্দা সে। ঐ এলাকায় অন্যের বাড়িতে একটি ঝুপড়ি ঘরে বাস করে হতদরিদ্র এই মনছের আলী। নিজের কোন মাথা গোজার ঠাই পর্যন্ত নেই। দুবছর আগে তার বৃদ্ধা স্ত্রী রোগে ভ’গে মারা গেছে। অসহায় এই বয়বৃদ্ধকে এখন দেখার কেউ নেই। এক সময় তার জায়গা, জমি, ঘর বাড়ি সহায় সম্পদ সবই ছিল। সবই তার কৃতকর্মের ফল। ছেলের আশায় একে একে হয়েছে ৬ মেয়ে। তাদের সবারই বিয়ে হয়ে গেছে। তারা নিজেদের সংসার চালাতেই ব্যস্ত। তাদেরও আর্থিক অবস্থা ভালো না। তাই তাদের কেউই এ বয়বৃদ্ধকে ভাত কাপড় ভরণ পোষণ করে না। নিয়তির কাছে পরাজিত শতবর্ষী মনছের আলী জানান, জীবিকার প্রয়োজনে এ বয়সও তাকে ছুটতে হচ্ছে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্থি করতে।
মনছের আলীর আক্ষেপ…..আমার চেয়ে অর্ধৈক বয়সী এ পাড়ার অনেকেই ভিজিডি কার্ড ও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। অথচ আমি কিছুই পাচ্ছিনা। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, একখানা বয়স্ক ভাতার কাার্ডের জন্য ৩০ বছর ধরে মেম্বার-কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি কিন্তু কারোই কোন দয়া হয়নি। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে চান? আর কত বয়স হলে আমি বয়স্ক ভাতা পাব বা বিজিডি কার্ড পাব?