টিআইএন॥ আগামী বছরের মার্চ থেকে রাজধানীর বনানী ও মোহাম্মদপুরের দুটি সড়ক ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভোট কার) মুক্ত ঘোষণা করা হবে। ওই দুই সড়কে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাবে। সড়ক পরিবহন আইনে পরিবার প্রতি প্রাইভেট কারের সংখ্যাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার প্রাইভেট কারমুক্ত দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যানজট ও দূষণমুক্ত নগরায়নে প্রয়োজন, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান থেকে এসব কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এবং ৪৪টি বেসরকারী সংস্থা এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। বাংলাদেশে এবারই প্রথম সরকারি উদ্যোগে পালিত হয়েছে প্রাইভেট কার মুক্ত দিবস। ইউরোপে সত্তরের দশক থেকেই দিবসটি পালিত হচ্চে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় পরিবার প্রতি প্রাইভেট কারের সংখ্যা নির্ধারিণ করে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি মানার বাধ্যবাধকতা থাকবে। এতে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, প্রস্তাবিত আইনে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট রোধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। মন্ত্রী স্বীকার করেন, ঢাকার যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ মাত্রাতিরিক্ত প্রাইভেট কারের চলাচল। তিনি বলেন, ঢাকা পৃথিবী সবচেয়ে বাস অযোগ্য শহরগুলোর একটি। এ শহরে যানজট ও দুর্ঘটনা নিত্য দিনের যাতনা। এরজন্য একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লাভ নেই। সবাইকেব মিলে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ সমস্যার সমাধান ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে এ কাজে পাশে পেয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আনিসুল হক বলেন, ‘বনানী সুপার মার্কেটের কাছের একটি সড়ক গাড়িমুক্ত করা হবে। নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। মিরপুর এবং মোহাম্মদপুরের রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। আগামী মার্চে এই দুই সড়ক গাড়িমুক্ত করবোই।’ যানজট নিরসন দুরূহ কাজ, এ কথা স্বীকার করে মেয়র বলেন, “ঢাকায় গাড়ির ধারণ ক্ষমতা ৩ থেকে ৪ লাখ। সেখানে যদি ১১-১২ লাখ যান থাকে তাহলে কীভাবে কোন শক্তিতে কোন মহামন্ত্রে এই শহরের যানজট ঠেকাব? প্রাইভেট কার মুক্ত দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানিক মিযা এভিনিউয়ের দক্ষিণ পাশে গড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় খেলাধুলা করে। নানা বয়েসী মানুষ সাইকেল চালান। ঢাকার রাজপথ জনবান্ধব করার জন্য সচেতনামূলক নাটক ও গানও পরিবেশন করা হয়।