ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড সদর কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালক (পদাবিক) মো.সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৪৩৯ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ এর আদেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালন অবহেলা, অফিস শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরন ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগে বিআরডিবি’র পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী (পদাবিক) কসবার হিসাব রক্ষক মো.রুহুল আমিন কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আদেশে আরও উল্লেখ রয়েছে সাময়িক বরখাস্ত কালীন সময়ে উপ-পরিচালক, বিআরডিবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দপ্তরে তাকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচী (পদাবিক) এর সদর দপ্তরের স্বারক নং-৩৫৩ তারিখ ২৫ জুলাই এর প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন উপজেলা ভিত্তিক পদাবিকের হিসাব পত্রাদি যাচাই করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করা হয়। সে মোতাবেক উপ-পরিচালক, বিআরডিবি ব্রাহ্মণাড়িয়ার স্বারক নং-৭৪ তারিখ ৮আগষ্ট মূলে পদাবিক কসবার হিসাব পত্রাদি যাচাই করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (মূল প্রকল্প) মো.ফারুক-ই-আজমকে দলনেতা করে এবং হিসাব রক্ষক (মউ) মো.আবুল বাশার ও হিসাব সহকারী পদাবিক মো.মির জাহানকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি কর্তৃক পদাবিকের হিসাব পত্রাদি নিরীক্ষা করে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের সন্ধান পেয়েছে। অডিট কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, হিসাব রক্ষক (পদাবিক) মো.রুহুল আমিন কর্তৃক সুকৌশলে ব্যাপক দুর্নীতি ও হিসাব জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে। অডিট কমিটি আরো জানান, পদাবিকের শতাধিক দলের মধ্যে ১০টি দলের হিসাব পত্রাদি তদন্ত করে প্রায় ১১ লাখ টাকার আত্মসাতের প্রমান মিলেছে। ধারনা করা হচ্ছে সবগুলো দল তদন্ত করা হলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক বিআরডিবি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মো.মোরশেদ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমান পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হিসাব রক্ষক (পদাবিক) মো.রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।