নজরুল ইসলাম॥ মেয়রের অতিরিক্ত দায়িত্বের একটি হল নগর বাসির যে কোন সমস্যা সমাধানকল্পে এগিয়ে আসা। আর সরেজমিনে নিজে তদন্ত করেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তেমনি একটি মধ্যপ্রাচ্যে গমনেচ্ছুদের মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টার ‘গামকা’ গুলশাল আবাসিক এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
জানা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২ এর ৯৪ নম্বর সড়কে জিসিসি অ্যাপরুভড মেডিক্যাল সেন্টার অ্যাসোসিয়েশন (গামকা) নামের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ১২ বছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ সেবা নিতে এখানে আসেন। এতে সৃষ্ট হয় জটলা বিশেষ করে ৬-৭হাজার মানুষের দীর্ঘ লাইন। প্রধান প্রতিদিনই প্রধান সড়ক পর্যন্ত চলে আসে লাইনটি। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ভীষণভাবে ব্যাহত হয়। এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে নালিশ করা হয় সিটি করপোরেশনে। কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নেয়নি।
অবশেষে মেয়র আনিসুল হক রবিবার সরেজমিন ৯৪ নম্বর সড়ক পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেলে গামকাকে অন্যত্র সড়ে সড়িয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।এ সময় উপস্থিত কয়েক হাজার বিদেশ গমনেচ্ছু নারী-পুরুষ মেয়রের কাছে গামকা সম্পর্কে অভিযোগ জানান। এক পর্যায়ে মেয়র প্রতিষ্ঠানটির ভেতর গিয়ে খোঁজ নেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন জায়গায় স্থানান্তরের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে বলেন, সাত দিন পর অঅমি আবার পরিদর্শনে আসব। এর আগে মেয়র কাকলী থেকে বনানী ১১ ও ১৮ নম্বর সড়ক হয়ে গুলশান ৫০ নম্বর সড়ক পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ফুটপাথে বিদ্যমান সিকিউরিটি পোষ্ট ও সিকিউরিটি ব্লক অপসারণ এবং ইলেকট্টিক পোলগুলো সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এই ঝটিকা পরিদর্শন ও নির্দেশকালে তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনওয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহসহ ডিএমপির উধ্বতন কর্তকর্তা এবং গুলশান সোসাইটির মহাসচিব মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন।