মাসুদ॥ আ-স-ম হান্নান শাহ বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন। ওনার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুন- আমীন। াকন্তু দলীয়ভাবে বিএনপি ওনাকে সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদি তা না হতো, তাহলে জনাব , হান্নান শাহের মৃত্যুর একদিন পরই, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কমিটি ঘোষনা করা হলো কিভাবে? আনন্দ মনে মিষ্টিমুখ করা হলো। এটা নীতিহীন রাজনীতিরই নামান্তর।
উদ্যোগের বিষয় হলো এভাবে যদি রাজনীতি চলতে থাকে তাহলে অচিরেই দলের দেওলিয়াত্বের সম্বাবনা দেখা দেবে। কারণ কেউ দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসবে না। কারণ দল তাদেরকে সেইভাবে মনে রাখে না বা সম্মান করে গুরুত্ব দেয় না। যিনি মৃত্যুর পূর্বমুহুত্ব পর্যন্ত মিথ্যার যুলি ভরে বুলি আওড়িছেন সফল সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু যখন তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তখলই বের হয়ে আসলো দলের আসল চরিত্র। প্রয়াত এমন অনেক নেতা বিগত হয়েছেন এবং তাদের পরিবার এবং তাদের কর্মকান্ডের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রাদ্ধা প্রদর্শনতো দুরের কথা বরং সবকিছু ভুলে নতুন ফন্দি-ফিকির নিয়ে এগুচ্ছে বিএনপি। যে দল তাদের অতিতকে ভুলে যায় এবং ত্যাগী নেতাদের এমনকি দলের প্রয়োজনে জীবন বিসর্জন দেয়া দৃষ্টান্ত স্থাপনকারীদের ভুলে যায় তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে না নাকি দেশের অস্তিত্ব বিলীন হবে? যাহ হোক বলার দরকার ছিলো বললাম পত্রিকার মাধ্যমে এখনই উপযুক্ত সময় মূল্যায়নের এবং যথোপযুক্ত সম্মান ও আগামী দিনের পোড় খাওয়া ত্যাগী নেতা তৈরী করার।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বর্তমান রাষ্ট্রনায়ক, জাতির জনকের কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সর্বসাচি লেখক শাসসুল হকের মৃত্যুতে, তার জন্মদিনের সকল কর্মসূচী পালন সীমিত করার জন্য, দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে করেই প্রতীয়মান হয়, বিএনপির রাজনীতি কতটা নীতি আর উদারতার বাইরে অবস্থান করছে। বিশ্বরতœ শেখ হাসিনার কাছ থেকে বা তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা এবং দিক্ষা নিয়ে বিএনপিকে এগিয়ে যেতে হবে। আর তা যদি বিএনপি করতে পারে তাহলে আগামী দিনের বিএনপি আরো শক্তিশালী হয়ে জনগণের সেবা নিয়োজিত হতে পারবে।