রাইসলাম॥ শুনতে খুবই ভাল লাগছে যে আমরা সুখী হিসেবে পৃথিবীর অষ্টম স্থান দখল করে আছি। আর এই অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখিত ছবির মহিয়সী নারী দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রয়াস এবং চেষ্টাকে কাজে পরিণত করার মাধ্যমে। সরকার দেশ এবং জাতির কল্যাণে নিঃস্বার্থবাবে কাজ করে যাচ্ছে তা এই সংবাাদটি থেকেই স্পষ্ট বুঝবে দেশের মানুষ। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এক নতুন পরিচিতি পেল। বাংলাদেশ সুখী বিশ্বের পরিবেশবান্দব ও সুখী দেশের তালিকায় অষ্টম। পরিবেশবান্দব ও সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে রেখেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন নিউ ইকোনিমকস ফাউন্ডেশন। এটি কেবলি মাত্র দেশের স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়ায় সম্ভব হয়েছে। আর সমানে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর।
হ্যাপি প্লানেট ইনডেক্স ২০১৬ শিরোনামে যে প্রতিবেদন তারা শুক্রবার প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮ দশমিক ৪। তালিকারয় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা কোষ্টারিকার স্কোর ৪৪ দশমিক ৭। আর ১২দশমিক ৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে নিচে, অর্থাৎ ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে শাদ। নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, একটি দেশের নাগরিকদের সন্তুষ্টি, গড় আয়ু, পরিবেশের ওপর প্রভাব ও বৈষম্য এই চার মানদন্ড বিবেচনায় নিয়ে সুখী দেশর এই তালিকা তার তৈরী করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়ে, গত ২৫ বছরে বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।
২০১৪ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থানের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যেছিল বাংলাদেশ। ‘হ্যাপি প্লানেট ইনডেক্স’ বলছে, সন্তুষ্টি ও গড় আয়ুর সুচকে বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও কাছাকাছি মাথাপিছু আয়ের দেশগুলোর তুলনায় এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো। গড় আয়ুর দিক দিয়ে ১৪০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। আর নাগরিকেদের ভালো থাকার অনুভূতি বা সন্তুষ্টির বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৫ তম। অন্যদিকে যেসব দেশের মানুষ পরিবেশকে সবচেয়ে কম বদলে দিচ্ছে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মুলত এ বিষয়টিই বাংলাদেশকে বিশ্বের অষ্টম সুখী ও সবুজ দেশ হওয়ার পেছনে মুল ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
‘সুখী দেশের’ এই তালিকায় ধনী দেশগুলো তুলনামূলকভাবে দুর্বল অনেক দেশের সঙ্গে সেভাবে প্রতিযোগিতায় আসতে পারেনি। প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্য ৩৪তম, জার্মানি ৪৯তম, জাপান ৫৮তম, চীন ৭২তম, অষ্ট্রেলিয়া ১০৫তম ও যুক্তরাষ্ট্র ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। শ্রীলংকা এই তালিকার ২৮তম, পাকিস্তান ৩৬তম, নেপাল ৪২তম, ভারত ৫০ তম, ভুটান ৫৬তম ও মিয়ানমার ৮১তম অবস্থানে রয়েছে।