নিজস্ব প্রতিবেদক॥ চীন এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু। বাংলাদেশ চায় চীন তার সহযোগীতা অব্যাহত রাখুক আর চীন আশা করে তাদের বাজার সম্প্রসারণ এবং বন্ধুত্বসূলভ সম্পর্কের মাত্রা বৃদ্ধি করতে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, চীন ও ভারত বর্ষের সভ্যতার মতোই তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুরনো। দুই দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে সে সম্পর্ক আজও অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার বিএমএ মিলনায়তনে চীন গণতন্ত্র বিপ্লবের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ আশরাফ বলেন, কৃষ্টি, কালচার, আধুনিকতা ও ধর্মীয় চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ যেভাবে ভাবেন, চর্চা করেন; চীনেও তাই। তাদের নৈতিক আদর্শের সঙ্গেও আমাদের আদর্শিক মিল আছে। সুতরাং উভয় দেশের মেলবন্ধন যতটুকু না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি আত্মিক।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতি আমাদের দেশের মাটিতে শীঘ্রই পা রাখবেন। এটা দুই দেশের জন্যই আলোচিত ঘটনা। ঐতিহাসিক প্রয়োজনেই আত্মিক সম্পর্ক বুদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। হাজার বছর আগে জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর পায়ে হেঁটে চীন পৌঁছে ছিলেন এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য বলেও জানান তিনি। ইয়াং জাও হুই বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে আমরা নানাভাবে সম্পৃক্ত আছি এবং থাকবো। আমরা চাই দুই দেশের সু-সম্পর্কের মাধ্যমে উন্নত চিন্তার বিকাশ ঘটবে।