আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ দুই দেশের এত উত্তেজনার মধ্যে হঠাৎ শান্তির বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ। সারতাজ আজিজের দাবি, ‘পরিস্থিতির অবনতি রুখতে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও নাসির জনজুয়া টেলিফোনে কথা বলেছেন। উরির ঘটনার পর এই প্রথম দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হল। উভয় পক্ষই সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে রাজি হয়েছে।’ তবে তাদের টেলিফোন সংলাপ কবে হয়েছে বা এ জন্য কে প্রথম উদ্যোগী হয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। সারতাজ আজিজের দাবি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখন পর্যন্ত করেনি নয়া দিল্লি। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত রবিবার শান্তির বার্তা দেয়ার পরে সোমবার সারতাজ আজিজ এই খবর দিয়েছেন। তার এই বক্তব্যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনীতিকরা। তাঁদের মতে, যুদ্ধ যে সমস্যার সমাধান নয়, দু’পক্ষই জানে সে কথা। তাই চোখরাঙানির পরে এ বার স্থিতাবস্থায় ফিরতে চাইছে দুই দেশ।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ভারত অন্যের ভূখন্ডের জন্য লালায়িত নয়। আমরা কখনো কোনো দেশকে আক্রমণ করিনি।’ মোদির এ বক্তব্যের পর সরতাজ আজিজ শান্তি আলোচনার বার্তা দিলেন। পরে অবশ্য ভারতকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি সরতাজ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে চায়। কেননা আমরা শুধু কাশ্মির নিয়ে আগ্রহী। ভারতই সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে কাশ্মীর সমস্যাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে।’ আজিজের মন্তব্যের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে বলা হয়েছে, বারামুলার মতো হামলা কীভাবে প্রতিরোধ কয়রা যায়, তা নিয়েই গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোভাল। পাকিস্তানের প্রত্যাঘাতের সম্ভাবনা মাথায় রেখে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকারও।