তাজুল ইসলাম নয়ন॥ আওয়ামী লীগের আসন্ন ২০তম জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেবেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের কাউন্সিলর হিসেবে এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। আসছে ২২-২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
বঙ্গবন্ধুর আরেক দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর হয়ে সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আগেই জানানো হয়েছিল। ববি কাউন্সিলে যোগ দেবেন এটা নিশ্চিত হলেও কোন জায়গার হয়ে যোগ দেবেন সেটা নিশ্চিত ছিল না। যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন-সিআরআই’র ট্রাস্টি। সিআরআই’র হেড অফ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্রোগ্রাম হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তিনি কাজে বেশ সফলতা দেখিয়েছেন।
ববির জন্ম ১৯৭৮ সালে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস থেকে লেখাপড়া করা ববি জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির একজন কনসালট্যান্ট। তার এক বোন টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য। দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নতুন ছায়া সরকারে ‘শ্যাডো এডুকেশন’ দলেও রয়েছেন টিউলিপ। অভিনন্দন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিলর রংপুর থেকে সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই ও ঢাকা মহানগর উত্তর থেকে কায়াস মুজিব সিদ্দিকী ববি ভাই। জয় বাংলা বলে আগে বারো, পেছনে ফেলে সামনে বারো।
এবারের সম্মেলনে চমকের পর চমক নিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা। জাতীর প্রত্যাসা পুরণে এগিয়ে আসার জন্য দেশবাসি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ উজ্জীবিত এবং উন্নয়ন গতি হবে তরান্বিত। আসছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহানাও। তিনি দেশের স্থপতির মেয়ে। কিন্তু সব সময়ই দৃশ্যপটের বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। নেপথ্যে থেকে বড় বোনের কাজে সাহায্য করেন নানাভাবে। রাজনৈতিক কিংবা সরকারি কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষভাবে নিজেকে সেভাবে জড়ান না, তবে প্রয়োজনের সময় দল ও নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন সব সময়ই।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও নিজের যোগ্যতায় কম যায়নি। তিনি নিজেকে প্রমান করেছেন এবং দেশবাসীকে এনে দিয়েছেন বিশাল সম্মান। তার কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এবং তার মেধার ছোয়ায় দল উপকৃত হউক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এবারের সম্মেলনে তিনিও কাউন্সিলর হিসেবে থাকবেন। এটাই প্রমান করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে মুজিব পরিবারের সদস্যা কতটা আন্তরিক এবং দলের প্রয়োজনে কতটা নি:স্বার্থ অবদান রাখতে প্রস্তুুত। দেশের কল্যাণের তরে প্রত্যেকে আমারা পরের তরে এই বাণীর যথার্থতাই প্রমানিত হউক রাজনীতিবিদদের জীবনে এবং এইবারের আওয়ামী লীগের কাঙ্খীত সম্মেলনে।