সৈয়দাবাদ প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সনামধন্য একটি গ্রাম সৈয়দাবাদ। কিন্তু কিছু কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা সৈয়দাবাদকে অন্যরূপে পরিচয় করিয়ে দেয়। সৈয়দাবাদ গ্রামের মাদ্রাসা পাড়ার মো: কাউছার মিয়ার দ্বিতীয় মেয়ে মোছা: সাবিকুন্নাহার (১৩) এর বিবাহ ঠিক করে তার বাবা মা। মেয়ের অমতে একপ্রকার জোড়পূর্বক তার বিবাহ ঠিক করা হয়। সৈয়দাবাদ এ এস মনিরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মাধ্যমে জানা যায় সাবিকুন্নাহার এই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। যে বয়সে দুরন্ত মেয়েটি তার বান্ধবীদের সাথে হেসে খেলে বই নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সেই বিয়ের পিড়িতে বসাতে ব্যাকুল হয়ে পড়ে তার পরিবার। গত ২০/০৯/১৬ ইং তারিখে বিয়ে ঠিক করে তার বাবা মা। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, এই বিয়েতে সম্পূর্ণ অমত ছিল সাবিকুন্নাহার। তার অমতে জোড়পূর্বক বিবাহ কার্য সম্পন্ন করতে চেয়েছিল তার পরিবার।
পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাবা হাসিনা ইসলাম একদল পুলিশসহ ২৬/০৯/১৬ইং বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার সময় কনের বাড়িতে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও বরযাত্রী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসী ও কয়েকজন গণ্যমান্য নের্তৃবৃন্দের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এর মাধ্যমে রক্ষা পেল একটি কোমল কচি জীবন এবং সতর্ক ও সচেতন হলো আরো অনেক বুঝদার অবুঝ লোভি মানুষ।