সরকারের সাফল্য ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রয়াসে অগ্রসরমান প্রয়াসগুলো ধীরে ধীরে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সফলতার যে ধারাবাহিকতা লক্ষনীয় তা ধরে রাখার জন্য সমস্ত কৌশল সুচিন্তিত একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল। এই ফসল ঘরে তুলতে এবং বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেই প্রয়োজন সরকারের স্থায়ীত্ব। আর এ স্থায়ীত্বের কথা চিন্তা করেই সকল পরিকল্পনা আটছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আসছে সম্মেলন ঘীরেই আবর্তীত হবে দলের সকল দীর্ঘস্থায়ী কর্মকান্ডের বাস্তবায়নকারী রূপকার এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নিবেদিত প্রাণ নেতৃত্ব তৈরীর কারিঘর। এই সম্মেলনই বলে দিবে আগামীর অগ্রগামীতার কথা। শিক্ষাদিবে নতুন পুরাতন সমন্বয়ের সম্মুখবার্তা। যে আয়োজন এবং সুবাতাস পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে করে ধারণা করা যায় যে নতুনের কেতন উড়িয়ে পুরাতনের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্ততার উপর ভর দিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের একমাত্র পুরোনো এবং স্বাধীনতা আদায়কারী বিশ্বস্ত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মিডিয়ার কল্যাণে এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের সৌজন্যে যে নতুন সংযোজন এবং জ্ঞানী, উদ্যামিদের অন্তর্ভূক্তি করা হচ্ছে মর্মে খবরের শিরোনাম প্রকাশিত হচ্ছে তা যদি সঠিক দিকনির্দেশনায় এগিয়ে যায় তাহলে দল হিসেবে যেমন সমৃদ্ধি লাভ করবে তেমনি সরকার হিসেবে টিকে থাকবে তার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছার শেষ দিন পর্যন্ত। আমার এবং দেশবাসির আশা পরিপুর্ণ হউক এই সম্মেলণের সফলতার মাধ্যমে।
সম্মেলন ঘীরে যেমন সাজ সাজ রব তেমনি ষড়যন্ত্রেরও শংকামুক্ত নয়। যার অলংকরণে আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনে যাবে সেই মহীয়সী নারী বাংগালীর সৌভার্গের ধন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার নিরাপত্তার কোন ঘাটতি যেন না হয় সেইদিকে দৃষ্টিপাত দেয়া হউক সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সং, যোগ্য এবং ভাল মানুষের শ্রত্রু বেশী। পরোপকারী লোকের শ্রত্রু বেশী। কারণ শয়তান চায় না মানুষের উপকার হউক, মঙ্গল এবং শান্তি ও আনন্দ স্থিতিশীল অবস্থায় থাকুক। তাই শয়তানের প্ররোচনায় কুচক্রিমহল সব সময় অমঙ্গলের চিন্তায় লিপ্ত এবং সেই লক্ষ্যেই তাদের কর্মকান্ড চালায়। আমার সবিনয় অনুরোধ এবং নিবেদন সকল মহলের নিকট আপনার সচেতন হউন এবং সতর্ক থাকুন এবং প্রধানমন্ত্রী যাতায়তস্থল, মঞ্চ এবং আশেপাশের স্থান সকলই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকুন। কাউন্সিলরদেরও কড়া নিরাপত্তা চৌকি পার হয়ে সম্মেলন কেন্দ্রে যাতায়তের ব্যবস্থা করুন।
প্রসাশন এবং নিরাপত্তার কাজে জড়িত সকলকে সাধুবাদ জানাই, এই আশুরা এবং দুর্গাপুজায় প্রত্যেকে তার স্ব স্ব দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করার জন্য। দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে এবারের পুজা এবং আশুরার উদযাপনে শৃঙ্খলা। জনগণকে সাধুবাদ জানায় তাদের সহযোগীতার জন্য। এইভাবে সরকার, প্রসাশন ও জনগণ একযোগে সকল কাজে এগিয়ে আসলে সফলতা আমাদের আসবেই এবং এই সফলতায় প্রকৃত এবং উভভোগের। আমাদের প্রত্যেকটি সফলতার পিছনে রয়েছে একটি স্বল্পদির্ঘ ইতিহাস এবং আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত। তারপরও সজাগ থেকে নতুন পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের আরো পারি দিতে হবে ভঙ্গুর পথ আর তাহলেই পাব মসৃণের নাগাল।
মাঝে মাঝে কিছু কিছু ঘটনার জন্ম নেয় আমাদের সকল ভাল কাজের মাঝে কিন্তু সেই খারাপ কাজগুলোকে ভালতে পরিণত করে কাটিয়ে ওঠা জাতি আমরা। আমাদের ত্যাগ, ধৈর্য্য এবং পরিশ্রম ও পরিকল্পনার সমন্নয়ই আগামীর উন্নয়নের গতিবর্ধক হিসেবে কাজ করবে। আজ প্রমানীত হলো বাংলাদেশও পারে সৌহাদ্য, সম্প্রীতির বাহুবন্ধনের বিস্তৃতি ঘটাতে। ৮৬ এর পরে আবারো চিনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে। এটাও কি কম? নিন্দুকের মুখের বুলি ছিল জিয়া এবং তার দল ছাড়া চিনের সহযোগীতা পাওয়া যাবে না। কি দারুন প্রমান এবং নিন্দুকদের জবাব এই বাস্তবতা। বিশাল বহর নিয়ে চিনা প্রেসিডেন্টের এ সফর শুধু সম্প্রীতি ও সৌহাদ্ধেরই নয় বরং উন্নয়নের গতি তরান্বিত করার লক্ষণ। যে সকল চুক্তি সম্পদিত হবে তাতো অবগত কিন্তু এর বাইরেও যে আরো অনেক গতিশীল সহাবস্থান এবং স্থীতিশীল সরকারের নিশ্চয়তার ছাপ রেখে যাবে যা আগামী প্রজন্ম উন্নত দেশের কাতারে যেতে স্বীকৃতি এবং দৌঁড়গোড়ার নামান্তর মাত্র। ভারত, চীন, কানাডা, ইউরোপ, আমেরীকা, আফ্রীকা সবাইতো সহযোগীতা সমর্থন অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের মহাসড়ককে সম্পন্ন করছেন নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে। আসলে এই কৃতিত্ব দেশবাসির তথা বর্তমান সরকারের। বিশেষ করে আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর দুরদর্শী উদার ও ন্যায়পরায়ন নেতৃত্বই আগামীর বাংলাদেশকে করছে সমৃদ্ধ। তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই প্রতিয়মান হয়েছে দেশের উন্নয়ন গতিশীলতা এবং আগামী প্রজন্মের মাথা উচু করে দাড়াবার ব্যবস্থার।
বাঙ্গালীর যে পরিবর্তন লক্ষনীয় তা আমাদেরকে আরো উৎসাহ যোগায় উন্নয়নের স্থায়ীত্বে। কারণ গত ক্রিকেট ম্যাচে হারার পরও বাংলার জনগণ আমাদের খেলোয়ারদের সঙ্গে থেকে উপভোগ করছে সত্যিকার খেলাকে। আবেগ নয় বরং হৃদয় দিয়ে বিশ্লেষণ করে আগামীর করণীয় এবং উন্নতির পথ খুজে এগুচ্ছে। এইতো মহান জাতির লক্ষণ এবং আগামী বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্যন তৈরী হচ্ছে। আমি আশাবাদি যে একদিন বাংলাদেশও বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে আর সে প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন থেকেই।
একটি সংবাদ আমাদেরকে একটু সতর্ক হয়ে এগিয়ে নিতে আহবান জানাচ্ছে। লালমনিরহাটের ছেলে টাকার অভাবে ভর্তি হতে না পারার যন্ত্রণা। আমি এই বিষয়ে বলতে চাই ঐ ছেলের দায়িত্ব নিবে প্রশান্তি পরিবার। ভর্তি থেকে শুরু করে পড়ালেখা শেষ পর্যন্ত। এমনি যারা এখন চিন্তায় রয়েছেন আমরা নিজেরা কৃচ্ছতা সাধণ করে এগিয়ে নিব আমাদের সন্তানদের এই প্রত্যশা করি। তেমনিরুপে আহবান রাখি আপনারাও এগিয়ে আসুন এই ধরণের পরিস্থিতির স্বীকার আমাদেরই ভাই, সন্তান, মা, বাবা, বোনদের প্রয়োজনে।
ভারত পাকিস্তান মুখোমুখি সংঘর্ষের আড়ালে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান বিরাজ করছে শুধুই নেতৃত্বের উদারতা এবং দাম্বিকতা পরিহারের কারণে। এতে করে নেতৃবৃন্দের উপর মানুষ আরো বেশি সন্তুষ্ট এবং নির্ভরশীল অবস্থায় দাড়াতে পারবে।
টাকার জন্য মানুষ কি না করে কিন্ত ভেবে দেখছেন এই টাকা কি আপনার সঙ্গে যাবে নাকি আপনি টাকার সঙ্গে যাবেন। সাবধান হউন সময় থাকতে নতুবা পরজনমে দু:খের সীমা ছাড়িয়ে যাবে গন্তব্যহীন পথে। স্বাস্থ্য সেবা যেন হয় নির্ভেজাল এই ব্যবস্থায় আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মাঝে প্রতিনিয়ত দরকার। এরজন্য সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন এবং তদারকির আরো গতি বাড়ানো প্রয়োজন।
আসন্ন আমেরীকার নির্বাচন নিয়ে জ্ঞানী-গুনি ও পন্ডিতদের লিখা, বলা জানি বিফলে যাবে না কিন্তু তাদের এই বলায় লাগাম টানা উচিত। কোন মানুষই দোষ-ত্রুটির উদ্ধে নয় বা পাপের উদ্ধে নয়। কিন্তু মানুষের দোষ ত্রুটি ধরাতো আমাদের কাজ নয় বরং আমাদের কাজ হলো মানুষের ভালদিক তুলে ধরা। যাতে বেশি বেশি ভাল কাজ করতে পারে। পাশাপাশি কাছে গিয়ে খারাপ কাজ পরিহার করার উপায় বলে দেয়া। কিন্তু আমরা একজনকে পাশ করিয়ে দিচ্ছি আর অন্যজনকে ফেল করাচ্ছি। এটি সমান্তরাল নয়। আর সবসময় যে আমরাই পারব জিতিয়ে দিতে তাও নয় বরং সৃষ্টিকর্তা একজন নীচু এবং খারাপ মানুষের মাধ্যমেও ভাল কাজ করিয়ে শান্তি, স্থিতি ও আনন্দ বিরাজমান রাখতে পারেন এবং রাখেন। তাই আমরা সতর্ক হয়ে অগ্রসর হলে ভালো। নিরপেক্ষা মিডিয়ার আজ অভাব অনুভব করছি তাই নিরপেক্ষতার অনুসন্ধান করে আগামীর ভাবনা প্রকাশ করুন। সৃষ্টিকর্তা যাকে মনোনিত করবেন তিনিই হবেন আমেরীকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। হউক ট্রাম্প বা হউক হিলারী। আমাদের শুভকামনা রইল আমেরীকার জনগণ এবং সরকার প্রধানের প্রতি। আল্লাহর শান্তি তাদের উপর বর্ষিত থাকুক এবং সেই শান্তিতে তারা পথ চলুক।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির সম্মুখপানে এই কামনায় আগামীর নতুন প্রত্যাশায়।