আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ কোকোর মৃত্যুর রহস্য আজও জাতীর কাছে রহস্যময় হয়েই থাকত যদি প্যানোরমা এর অনুসন্ধান না করত। বিএনপি নেত্রী তাঁর স্বামীর বিচার চায়নি এমনকি সদ্য মৃত সন্তানের মৃত্যুর বিষয়ে মুখ খোলেনি। জাতি চায় এর বিচার হউক এবং প্রকৃত ঘটনা সকলের চোখের সামনে আসুক। মালয়শিয়ার বিএনপির সভাপতির সাথে কোকো স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক! বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। মূলত কোকোর সুন্দরী স্ত্রীর সাথে মালয়শিয়া বিএনপির সভাপতি মাহবুব আলম শাহের সাথে পরকিয়া সম্পর্কেও জেড় ধরে এই হার্ট এ্যাটাকের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার কারনেই তারেক জিয়া রাগে ক্ষোভে মালয়শিয়া তার ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে যাননি। বিডি প্যানারোমার তদন্তে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
জানা যায় ২৪ জানুয়ারী সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাটতে বের হোন কোকো। এসময় বাসায় আসেন সুদর্শন এবং তরুন নেতা মাহবুব আলম শাহ। কোকো বাসায় নেই দেখে কোকোর সুন্দরী স্ত্রীর সাথে ড্রয়িং রুমেই অবৈধ কাজে লিপ্ত হোন দুজন। এসময় হঠাত আরাফাত রহমান কোকো বাসায় এসে ঘটনাটি দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এসময় তাঁর স্ত্রী কোকোকে একটি চড় মারে। তখন মাহবুব আলম শাহ কোকোকে হত্যা করার হুমকি দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে হার্ট এ্যাটাক করেন কোকো। তখন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কোন ফোন না করে বাসায় কিছু সময় ফেলে রাখা হয় কোকোকে। তারপর কোকোকে নিজের প্রাইভেট কারে করে ২ ঘন্টা দূরের এক হাসপাতালের দিকে রওনা দেন মাহবুব আলম শাহ। ধারনা করা হচ্ছে এর আগেই কোকোর মৃত্যু হয়।
কোকো মারা যাওয়ার পর তারেক রহমান সাথে সাথে মালয়শিয়া যাওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও যখন এই জঘন্য ঘটনা জানতে পারেন তখন তিনি মালয়শিয়া যাওয়া বাতিল করেন।
মূলত মাদকাসক্ত এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ কোকোর সাথে দাম্পত্যজীবনে অসুখী ছিলেন তার স্ত্রী। একারনেই মালয়শিয়া বিএনপির তরুন সভাপতি মাহবুব আলম শাহের সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কোকোর স্ত্রী। আর এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বেগম জিয়ার সাথে ঝগড়া করে কোকোর লাশ দাফনের ৪ দিনের মাথায় আবারো মালয়শিয়া ফিরে গেছেন তিনি। ফ্যামিলি প্রেষ্টিজ ইস্যু বলে বিষয়টি নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করতে চাচ্ছেননা জিয়া পরিবার।
সব মৃত্যুই দুঃখের এবং এই অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। তাও আবার সুন্দরী বউ এর যৌবিক চাহিদার অবৈধ বহিঃপ্রকাশের কারণে। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।