তাজুল ইসলাম॥ ভারত এবং বাংলাদেশ সুষ্টির শুরু থেকেই যে সম্পর্ক অব্যাহত ছিল তার ধারাবাহিকতা হারিয়েছিল মাঝখানে। কিন্তু বর্তমানে আবার বাংলাদেশ স্বাধীনতাপূর্ব সম্পর্ক পুনস্থাপিত হয়েছে দুই দেশের উন্নয়নের প্রয়োজনে। আর এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এইতো ব্রিকস-বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের প্রশ্নে পরস্পরের পাশে থাকবেন বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য গোয়ায় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি এসেছে।
ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিট শেষে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজের পর রোববার রাতে হোটেল লীলায় মোদী ও শেখ হাসিনার এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে। আর ভারতও বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”
দুই নেতার এই বৈঠক ‘অত্যন্ত’ সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন যে, তিনি কীভাবে সফল হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পারিবারিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মসজিদের ইমাম সাহেবরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
“জনগণের কাছ থেকেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে উল্লেখ করেন।” পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে বলেছেন, ‘উন্নয়নের পথে আমরা এক সাথে যাত্রা শুরু করেছি’। এজন্য এক সাথে কাজ করার কথাও বলেন নরেন্দ্র মোদী।” তিস্তার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আমরা সকল সমস্যা এক সাথে সমাধান করব’।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “তিস্তার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।” আরেক প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।