গত সোমবার ১৮/১০/১৬ ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নীচে ৪০ উর্ধ এক মধ্যবয়সী ব্যক্তির লাশ দেখতে পাওয়া যায়। কৌতুহলী জনতা লাশটিকে গাড়ীর নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে ব্যস্ত রয়েছেন বলে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। বসুন্ধরা যাওয়ার পথেই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি দোকানির চকি দিয়ে রোড ব্লক করে লাশটিকে রক্ষা করছেন দ্রুতগতির গাড়ীর কবল থেকে। হায়রে কপাল ঐ লাশটি মৃত্যুর পর যে নিরাপত্তা পাচ্ছে তাঁর সীকিভাগও যদি জীবিত অবস্থায় পেত হয়ত তাহলে তিনি আর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতেন না। আমাদের মানষিক, মানবিক এই মানবিকতা আগে কোথায় ছিল? অনেক চেষ্টা করেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উৎঘাটন করতে না পেরে নিজস্ব অনুমান নির্ভর তথ্য যুক্তির মাধ্যমেই এই লিখা।
লাশটি দেখে যতটুকু মনে হয় তিনি এখানে মৃত্যুবরণ করেননি। বা রোড এক্সিডেন্টেও মারা যাননি। মতোটুকু অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় তা হলো তাকে অন্য কোথাও থেকে এখানে এনে ফেলে রাখা হয়েছে মাত্র। তবে বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি যে, গত রাতে কোন এক সময় তাকে মারা হয়েছে। ঐ তাজা দেহটি রাস্তায় উবুর হয়ে শুয়ে কি যেন এক প্রতিবাদ করছে? যা বিবেকবান মানুষদেরকে খুবই লজ্জায় এবং বির্বতকর অবস্থায় ফেলেছে।
লাশটি যেখানে দৃশ্যমান সেখানে কোন রক্তের দাগ নেই এমনকি দুর্ঘটনার কোন লক্ষণও প্রতিয়মান হয়নি। খুবই আশ্চয্যজনক যে লাশটি খুব সুন্দরভাবে উবুর হয়ে শুয়ে আছে। দেখতে শুধু মাথার সামনের অংশ কিছুটা চামড়াহীন যা খুলি দৃশ্যমান এমনভাবে চামড়া ছোলা যে নিখুত শিল্পীর তুলিতে আকা কোন জীবন্ত ছবির মত, কোন ভাবেই দুর্ঘটনা আক্রান্ত বলার উপায় নেই। আরেকটি দৃশ্য লক্ষণিয় যে তার বাম পায়ের পাতার গোড়ালি থেতলানো ছিদ্র। যা দেখে মনে হয়েছে গুলিবিদ্ধ অবস্থারই প্রমান। যদিও কোন মানুষ প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি তারপরও বলব দিনদুনিয়ার মালিক তিনি সবই জানেন এবং সত্য প্রকাশ করবেন।
আমাদের চৌকশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকই আসল ঘটনা উদঘাটন করতে পারবেন। আশা করি তারা মৃত ব্যক্তির পরিচয় এবং তার এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উৎঘাটিত করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল কার্যসম্পন্ন করে সৃষ্টির সেবা জীবের মর্যাদা দেওয়া হউক। এই ধরণের হত্যা রোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হউক।