আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ তার নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলি বসার যোগ্য কারণ রয়েছে। সেই মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে আজ রইলো কিছু অজানা তথ্য। তবে অবাক করার মতো বিষয় হল তার শিক্ষা জীবনে তিনি ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আজ পাঠকদের জন্য রইলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু অজানা তথ্য যা অনেকেরই অজানা।
১. ইতিহাস বিভাগ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামিক হিস্ট্রিতে রয়েছে মাস্টার ডিগ্রি।
২. তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি খেতে বিশেষ পছন্দ করেন না মমতা। তিনি খেতে পছন্দ করেন মুড়ি, চা ও চকোলেট। ঘনিষ্ঠ মহলে হালকা মেজাজে আড্ডা দিতে বসলে মুড়ির সঙ্গে আলুর চপ খেতে ভালবাসেন মমতা।
৩. প্রতিদিন ট্রেডমিলে অন্তত ৫-৬ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা। অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লম্বা করিডর ধরে সহকর্মী, সাংবাদিকদের সঙ্গে হাঁটেন মমতা। গল্প করতে করতে একসঙ্গে ১০ কিলোমিটারও হেঁটে ফেলেন মমতা।
৪. সাদা তাঁতের শাড়ি পরতে ভালবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে একরঙা পাড়। এই ধরনের শাড়ি তৈরির জন্য জনপ্রিয় হুগলির ধনেখালি।
৫. মুখ্যমন্ত্রী হয়েও দক্ষিণ কলকাতার ঘিঞ্জি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে টালির বাড়িতে থাকেন মমতা। অল্প বৃষ্টিতেই তার বাড়ির সামনে পানি জমে যায়। তখন মমতাকে দেখা যায় বাড়ির সামনে পাতা ইঁটের উপর পা রেখে হাঁটতে।
৬. প্রকৃতিকে খুব পছন্দ করেন মমতা। সময় পেলেই তাই দার্জিলিংয়ের পাহাড় বা মেদিনীপুরের জঙ্গলে ছুটে যান মমতা।
৭. প্রকৃতি নিয়ে ফটোগ্রাফি মমতার শখ।
৮. সেন্ট্রাল পার্কের সৌন্দর্যায়ন মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত।
৯. মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান শুনতে ভালবাসেন। সময় পেলেই শোনেন রবীন্দ্রসঙ্গীত, পাঠ করেন নজরুলের কবিতা।
১০. বীরভূমে মমতার মামারবাড়ি। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে মামারবাড়ি গেলেই সেখানকার ধানক্ষেতে খেলা করতেন আজকের এই মুখ্যমন্ত্রী।
১১. পূর্ণ সময়ের রাজনীতিতে আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন স্টেনোগ্রাফার হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও তিনি কখনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, কখনও প্রাইভেট টিউটর এমনকী সেলসগার্লের কাজও করেছেন।
১২. দুঃসময়ে যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদের কখনও ভোলেন না মমতা। মমতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল। সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায় আজ ফের পূর্ণমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন।
১৩. মমতা বহু কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ, এমনকী উপন্যাসও লিখেছেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পীও বটে। তার আকা ছবি বিক্রি করে প্রাপ্ত টাকার পুরোটাই তিনি দেন পার্টি ফান্ডে।
১৪. মুখে মুখে ছড়া তৈরি করতে পারেন এই জননেত্রী৷ বিভিন্ন জনসভায় কোন রকম স্ক্রিপ্ট ছাড়াই বিরোধীদের নিশানা করে দুই-চার লাইনের ছড়া কাটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছড়া শুনে প্রশংসা আর হাততালিতে ভরিয়ে দেয় উপস্থিত জনতা।
১৫. বাংলার লোকশিল্পের প্রতি মমতার আন্তরিক অনুরাগ রয়েছে৷
১৬. মমতা প্রকৃত অর্থেই একজন টেক-স্যাভি। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যান মমতা। ফেসবুকে লাইভ চ্যাট করেন, নিয়মিত টুইট করেন। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি ফেসবুক ৩৬০ টুল ব্যবহার করেছেন।