তাজুল ইসলাম নয়ন॥ গত ২৫ শে অক্টোবর পালিত হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কসবা উপজেলা শাখার প্রয়াত সভাপতি শহীদ ওমরাহান ওমরের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং বেহেস্ত নসীব যাচনা করি। কালের পরিক্রমায় আজ ওমরাহানের নাম হারিয়ে যাওয়ার মুহুত্বেও প্রজ্জলিত ছিল মৃত্যু দিবস উদযাপনের মধ্যে। কিন্তু নিয়তির নিমর্ম পরিহাস আজো প্রকৃত খুনীদের বিচার কাজ সম্মন্ন হয়নি। যদি নিজ দলের সরকার ক্ষমতাসীন।
১৯৯৯ইং সালের এইদিনে ঘাতকের নির্মম আঘাতে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিলো তৎকালীন কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ছাত্রনেতাকে। মহান এই নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কসবা উপজেলা শাখা কর্তৃক কর্মসূচী : ১.শহীদ ওমরাহান ওমরের সৃতির স্মরণে কালো ব্যাজ ধারণ। ২.সকাল ১১টায় শহীদ ওমরাহান ওমরের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ৩.সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ ওমরাহান ওমরের আত্মার মাগফিরাত চেয়ে কসবা সুপার মার্কেট চত্বরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থেকে এইসকল কর্মসূচী সফল করেছে। এই শোক থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। আমাদের আরো বলার আছে ওমরাহানের পরিবার এই ত্যাগের বিনিময়ে সকলের ভালবাসা এবং বিশেষ করে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ট যোগাযোগই দিতে পারে ছেলে হারানোর প্রশান্তি এবং এক ছেলের বিনিময়ে হাজারো ছেলের ভালবাসায় সিক্ত এবং মনোব্যাথা ভুলে আশির্বাদ এবং একইসঙ্গে চলা নীতিতে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আর নতুন করে আশার আলো সঞ্চারিত হবে আগামীর ছাত্র নেতৃত্বে। আশা করি আগামী দিনে ওমরাহানের মতো সকল বিচার প্রার্থীর বিচার কাজ ন্যায়সম্পন্ন হবে।