ফাহাদ বিন হাফিজ প্রধান প্রতিবেদক॥ বাতাসে ভাসছে একটি সংবাদ যে সংবাদটি যুক্তিক কোণ কারণ এই মুহুর্ত্বে খুজে পাওয়া যায়নি। সরকার বা বিরোধী দলের কোন কাজের কারণে বা আন্দোলনের কারণে আগাম নির্বাচনের যুক্তিসংগত কোন লক্ষণও দেখা যায়নি। তারপর পরও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিমিত্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘর ঘোছানো এবং নির্বাচন পূর্ব প্রস্তুতির তোড়-জোড় দেখে বিেিরাধী শিবিরে আশার সঞ্চার ঘটেছে এবং আলোচক বৃন্দের আলোচনা একটি উপাদান বের হয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগের নিতীনির্ধারনি মহলের চিন্তায় এবং কাজে এবং আত্ব বিশ্বাসের মধ্যদিয়ে যা প্রমাণিত হয় হা হলে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কোন সিদ্ধান্ত বা মনের ভিতরকার কথা প্রকাশ না করলে আগাম অনুমান বা আন্ধাজ করা ঠিক হবেনা। বা অনুমাণ নির্ভর নিজউ সঠিক হবে না। তবে বিশেষ মানুষগুলোর মতামত, কাজ, কথা এবং বিশ্লেষণাত্মক বক্তব্য এবং গতিবিধি লক্ষ্যকরে পর্যালোচনামূলক অনুমান নির্ভর গভেষণামূলক লিখা উপস্থাপন করা যায়। যার সত্যতা কখনো প্রমান হয় আবার কখনও আংশিক মিথ্যায় প্রমাণ হয়।
আমাদের সরকার যেমন নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করতে চায় তেমনি সরকারের বাইরে থাকা দলগুলিও সেই নিরবে সেই চেষ্টাও করে যাচ্ছে। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য থকে ক্ষমতার কেন্দ্র অবস্থান করা। কারো লক্ষ্য এর মাধ্যমে মানুষের / জাতীর সেবা করা এবং সার্বিক মানোন্নয়নের মাধ্যমে আত্ম মর্যাদা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি কারো লক্ষ্য থাকে সুভঙ্করের ফাঁকির মাধ্যমে জাতির/ মানুষের ক্ষতি সাধন করে নিজের আখের গোছানো। এই দুই লক্ষ্য টানাপোড়নে জাতি নিষ্পেষিত হতে হতে আজ প্রতিবাদনহীন নিরবতার মাধ্যমে আত্মন্নোয়নে এগিয়ে যেতে বলিয়ান। আগামী নির্বাচন যখনই হোকনা কেন তা জাতীর মাথা ব্যাথার কারণ নয়। বর্তমানে জাতি আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা আমাদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। কে সরকারে আসল আর না সেটা বিষয় নয় এবং ভাবার আমাদের সময় নেই। তারপরও ভোট এবং ভোটের হিসাব নিকাশ একটা ভিন্ন জিনিস। ক্ষমতাসীন দল সবসময় পিছিয়ে থাকে যদি ক্ষমতার বাইরের দলগুলির সদিচ্ছা এবং সদভাব বজায় থাকে। যদি একটি কোনটির ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ক্ষমতাসীন দলের জন্য পোড়া বারো হয়ে দাড়ায়। আর এই হচ্ছে আমাদের বর্তমান সরকারের পোয়া বারো অবস্থা। এই অবস্থা কাজে লাগিয়ে আগামি দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসার জোরালো দাবী তাদের পক্ষে।
আমাদের নিরীক্ষণে যা বের হয়ে আসে তা হল নির্বাচন এই সরকারের মেয়ার শেষ লগ্নেই হবে আর সেই লগ্নের জন্যই সরকার তোড়জোড় করে দল গোছাচ্ছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে। এই মধ্যে যারা বিভিন্ন কিছু ভাবেন বা অনুমান নির্বর চিন্তা প্রসুত কথা প্রকাশ করেন তার সময়োচিত জবাব পাওয়া দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরই। তারপরও বলব দেশে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোন রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়নি যা আগাম নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য। যদি আগাম নির্বাচন আদায় করতে হয় তাহলে বি এন পিকে নতুন করে জন্মগ্রহণ করে নব দিগন্তের ডিজিটাল ফর্মে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে জনসচেতনা এবং জনরোষের রোষানলে সরকারকে ফেলতে পারলেই আগাম নির্বাচন সম্ভব। এই তিনবছরের বাস্তব অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যা রয়েছে তা হলে নির্ধারিত সময়ের পরই আগামী নির্বাচন প্রত্যক্ষ হবে। তারপরও বিএনপির অতি উৎসাহী আসাবাদ তাদেরকে জীবনে এগিয়ে যেতে আশা যোগাবে এবং নেতা-কর্মীদের ঘুম থেকে জাগাতে সাহায্য করবে। তবে বড় বাধা হল তাদের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা নেই এবং নেতা কর্মিদের উৎসাহিত করার মাত কোন উদ্যোগও নেই। ঘরে বসে, লুকিয়ে থেকে হঠাৎ কোন কথা মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ করে রাজনীতি অত্যন্ত হয় না। রাজনীতি করতে হলে জনবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে হবে। যা বিগত বছরগুলোতে বিএনপির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান হয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের দু’বছর বাকি থাকলেও দুটি প্রধান দল অনেকটা জোরেশোরে আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিশেষ করে সরকারি দলের কিছু পদক্ষেপ ও বক্তব্য খুবই উল্লেখযোগ্য। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সম্মেলন থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ছাড়া টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার রেকর্ড গড়তে হবে। রাজপথের বিএনপি এখনও প্রকাশ্যে কোনো উদ্যোগ না নিলেও পর্দার আড়ালে একেবারে সাজ সাজ রব। প্রতিদিনের বক্তৃতা বিবৃতিতে তাদের প্রধান অন্যতম এজেন্ডা এখন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন। এ দাবিতে দলের সিনিয়র নেতারা প্রতিদিনই কথা বলছেন। আর সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি তো একেবারে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছে। ১ অক্টোবর সিলেটে মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন দলটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনেকে মনে করেন, নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতির এমন চিত্রই বলে দিচ্ছে ২০১৯ সালের নির্বাচন অনেকটা আগেই হবে। পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পূর্বাভাস তাই বলছে। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের কিছু বিষয়কেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে না হলেও কারও কারও মতে আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে বাংলাদেশে আগাম নির্বাচন হওয়া না হওয়ার বিশেষ যোগসূত্রতা আছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এ রকম বাস্তবতাও এখন সত্য।
বিশ্লেষক এবং সমালোচকদের ধারনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো সময় একাদশতম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে যে রকম মাতামাতি শুরু হয়ে গেছে তাতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতো সাধারণ মানুষের অনেকে মনে করেন এর মধ্যে কোনো ‘কিন্তু’ আছে। সে কিন্তুকে অনেকে ধরে নিয়েছেন আগাম নির্বাচন। তবে সরকারের সাফ কথা নির্বাচন যথাসময়েই হবে। এদিকে বিএনপি গেল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিলেও এবার তারা সে ঐতিহাসিক ভুল আর করতে চান না। এরই মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সদস্যরা নিশ্চিতভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সম্প্রতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি অবশ্যই আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরও দুই বছর বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে। মূলত গত ঈদুল ফিতরের আগেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। এজন্য দলীয় সংসদ সদস্যদের চলমান উন্নয়নমূলক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে তদারক করার এবং নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে নির্দেশ দেন তিনি।
গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই প্রস্তুতিকে আরও বেগবান করা হয়েছে। বিএনপিও থেমে নেই। ভেতরে ভেতরে জোরেশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজেও হাত দিয়েছে। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও চলছে। জানা গেছে, গত জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন। ওই বৈঠকে তিনি এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের প্রচার, চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে উঠান বৈঠক, বিরোধী পক্ষের কেউ যাতে মাঠ দখল করতে না পারে এবং সংসদ সদস্যদের নিজ এলাকায় কী ধরনের উন্নয়ন দরকার, তার নোট নেয়াসহ বেশ কিছু মৌখিক নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। দলের কোনো বিতর্কিত সংসদ সদস্যকে পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি করে দেন। সর্বশেষ দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নির্বাচন প্রস্তুতির বিষয়ে আরও সুস্পষ্ট করে দিকনির্দেশনা দেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য সম্প্রতি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘নির্ধারিত সময় শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই নেতাকর্মীদের এখন থেকেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।’
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি গণতান্ত্রিক নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচন করার মতো প্রস্তুুতি আমাদের রয়েছে। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রস্তুতির দরকার নেই। আগামীকাল নির্বাচন হলেও বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে, প্রার্থী খোঁজা লাগবে না। মানুষ ভোট দিতে পারবে, এমন নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপি সব সময়ই প্রস্তুত।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অপরিহার্য ছিল। অনেকের ধারণা ছিল এ নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হবে তারা মেয়াদ পূরণ করতে পারবে না। এ অবস্থায় বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচনের কিছুদিনের মধ্যে মাঠে না নামা, বিলম্বে মাঠে নেমে পেট্রলবোমার ব্যর্থ আন্দোলন বিএনপিকে এক্ষেত্রে আরও পিছিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে জামায়াত সঙ্গ ত্যাগ না করার বিষয়টি সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। বিপরীতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে শাসকদল আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান গ্রহণ উন্নয়ন কার্যক্রমের কিছু রেকর্ড মানসিকভাবে আরও শক্তি জুগিয়েছে। যদিও এখন আওয়ামী লীগ মনে করছে শুধু উন্নয়ন দিয়ে হবে না। জনসমর্থনও বাড়াতে হবে। তাই দুই বছর আগেই দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগ বাড়াতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন এবং এই নির্বাচনের ফলাফলও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিতে পারে। হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হলে কিছুটা হলেও মনস্তাত্ত্বিক চাপ পড়বে সরকারের ওপর। কারণ নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস হিলারির খুবই ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। আর ড. ইউনূস বর্তমান সরকারের দ্বারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ সূত্রে বিএনপি ঘরানার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে হিলারি পরিবারের বিশেষ কানেকশন রয়েছে বলেও অনেকে দাবি করেন। সব মিলিয়ে এই কারণ ও সূত্রগুলো একসঙ্গে মেলালে যে ফলাফলটা দাঁড়ায় তা হল হিলারি সরকার গঠন করলে আগাম নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে চাপ আসতে পারে। এছাড়াও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশী অনেক মহলের চাপ রয়েছে অনেক আগে থেকে। অনেকের মতে, এসব বিষয় বিবেচনায় ক্ষমতাসীনরা আগেভাগে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। আগাম নির্বাচন দিলেও যাতে বেগ পেতে না হয় সেজন্য জোরেশোরে আগাম প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে। অবশ্য এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজটিও শেষ করতে হবে। আওয়ামী লীগ এক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দের লোক বসাতে চাইবে। আর তা হলে বাধা দেয়ার সব চেষ্টাই করবে। হতে পারে এ ইস্যুতেই রাজনীতির হালচাল পাল্টে যেতে পারে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিশন ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তাদের সঙ্গে আরও একজন যুক্ত হন। এদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, পরবর্তী নির্বাচনে সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থীদের তালিকা করার জন্য মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিতে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্যদের জনপ্রিয়তা, নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ, নানা অভিযোগ এবং দলে অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিটি আসনে অন্তত তিনজনের নাম দিয়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া বিদেশী একটি জরিপ প্রতিষ্ঠানকেও মাঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষক মহলের অনেকে মনে করেন, আগাম নির্বাচনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এমনও হতে পারে, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
শেষ কথা হলো অপেক্ষা আমাদের করতেই হবে। আর সবকিছুর একটি ফল আছে ও সেটিও উপভোগ করতে হয় অপেক্ষার পর। আমাদের ইতিহাসের যে শিক্ষা এবং আওয়ামী সম্মেলনের যে শিক্ষা তা স্পষ্টই বোঝা যায় আগামী নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক ডিজিটাল নির্বাচন হবে এবং তা হবে নির্ধারিত ক্ষমতার শেষ লগ্নেই। কারণ সম্মেলন এই শিক্ষাই আমাদের দেয় এবং বুঝতে সাহায্য করে অনুমান নির্ভর বিশ্লেষণ ও গভেষণা এই ক্ষেত্রে কোন কাজে লাগবে না। তারপরও আমার অপেক্ষা করব এবং অগ্রহ নিয়ে সরকারের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকব। কারণ উন্নয়ণ শুধ সরকারের নয় বরং তা দেশের আর দেশের উন্নয়নে কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলে কিভাবে মুখ দেখাবে ভোটারের কাছে। তাই সরকারকেও সহযোগীতা করুন বিরোধীনা না করে ভালকাজে একাত্ততা ঘোষনা ও প্রশংসা করুন এবং খারাপ কাজের দিকনির্দেশণামূলক সমালেচনা ও কথা বলুন। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়ে আগামির বাংলাদেশকে আগামীর পথে এগিয়ে যেতে সহযোগীতা করুন।