তছলিমুর রেজা॥ তিনি কে ? তিনি হলেন ব্রাম্মনবাড়ীয়া জেলার গর্বিত প্রান পুরুষ জেলাবাসীর অভিভাবক, জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য–সাবেক ছাত্রনেতা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব, ও আস্তাভাজন, দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য– বীর মুক্তিযোদ্ধা র, আ, ম উবায়দুল মোক্তাদীর চৌধুরী এমপি।
পূর্বপাকিস্তান আমল থেকেই ছাত্র রাজনীতি করা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমী। মুক্তিযুদ্ধ করে আহত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদকারী ছাত্রনেতাদের মধ্যে তিনিও একজন।
সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে সরকারী বিভিন্ন দফতরে উচ্চ পদে চাকুরীও করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রেম সারাক্ষন তাড়া করেছে উনাকে। তাইতো চাকুরী ছেড়ে রাজনীতির মাঠে আসলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত ও হলেন, দলের হাল ধরলেন। অতীতের সকল কোন্দল, দলাদলির অবসান ঘটিয়ে দলকে সু-সংগঠিত করেছেন। মোটকথা একজন শেকরের আওয়ামীলীগ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নাসিরনগরের হিন্ধু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও মুর্তি ভাংচুরের ঘটনায় কাঁদা ছুড়াছুড়ির খেলা শুরু হয়েছে।
নাসিরনগরের সাতবারের সংসদ সদস্য- মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রীমহোদয় এডভোকেট সায়েদুল হক সাহেব এবং র, আ, ম উবায়দুল মোক্তাদীর চৌধুরী ভাইকে নিয়ে শুরু হয়েছে সুবিধাবাদীদের রাজনৈতিক খেলা। আমি স্পস্ট ভাবে বলতে চাই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতি, আওয়মীলীগের মুলনীতির প্রশ্নে এই দুই নেতার মধ্যে আদর্শিক কোন গড়মিল বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই, যদি থাকে সেটা সাংগঠনিক। এতো বড় দলে সাংগঠনিক দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, কিন্তু এটাকে নিয়ে সুবিধাবাদী লোকেরা ফায়দা নেওয়ার চেস্টা করতেছে।
মনে রাখবেন জ্বালাও পোড়াও, টার্গেট হত্যা, বিদেশী হত্যা, গুলশান হামলা, শোলাকিয়া হামলা এবং নাসিরনগরের ঘটনা একই সুত্রে গাথা। তাই একে অপরকে কাদা ছুড়াছুড়ি না করে ঐক্যবদ্ধ থাকুন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষনমুক্ত সোনারবাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলুন। জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু।