ঐতিহাসিক জয় নিয়ে গড়ে ফিরার সময় অঙ্গিকার করেছেন সবাইকে নিয়ে একহয়ে কাজ করার। আমেরীকার ঐক্য বজায় রেখে সম্মিলিত সহাবস্থান ও উন্নয়নের উন্নতি জোড়ালো করার ঘোষণা। তিনি হিলারির ফোনে ভালবাসার উষ্ণ আতিথ্য গ্রহণ এবং হিলারির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। হিলারির প্রতি তার ভালবাসা এবং একসঙ্গে কাজ করার মনোভাবও পোষণ করেন। তাঁর নৈতিক এই উদরাতার বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাক আর আমেরীকা আগ্রাসী মনোভাবের পরিবর্তন করে নিজেদের সার্বিক উন্নয়ন গতিশিল করুক এবং শান্তির বার্তা নিয়ে বিশ্বকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাক আগামীর স্থিতিশীল প্রশান্তির প্রান্তরে। সদ্য বিজয়ী ট্রাম্প বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন তা সত্যিই চমৎকার। নির্বাচন পুর্ববর্তী সম্পর্ক যে তাদের শাপে নেওলে ছিল তা অস্বিকার করার কোন কারণ নেই। কিন্তু বর্তমানে তাদের চমৎকার সম্পর্ক প্রকাশিত হয় ট্রাম্প এর কথায়। তিনি বলেন ওবামা খুবই ভালো মানুষ। সত্যিই শিখার বিষয় যে নির্বাচনে জেতার জন্য মানুষ কত কিছুই না বলে এবং করে কিন্তু জেতার পর তারা সবই এক। এক কথায় রসুনের মত। কোয়াগুলি আলাদা হলে স্বতন্ত্র এবং আবার পুনরায় একত্রি হলেই দেখতে পাই ওবামা+ ট্রাম্প+হিলারির বাহ্যিক রূপ। সত্যিই শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত। যা বহিঃবিশ্বের জন্য উদাহরণ। আমাদের দেশে কবে হবে এই রসুনের জন্ম? আশায় রইলাম এই রসুন দেখার।
ট্রাম্প একজন মানুষ এবং মানুষ হিসেবে আগমনকারী সকলেই পাপী আর এই পাপের দরুনই আমরা খোদা তায়ালা থেকে বিচ্ছিন্ন। তিনি পবিত্র তাই তার পবিত্রতাই আমাদেরকে এগিয়ে নিবে আগামীর নিশ্চিত শান্তি বা বেহেস্তে। এখন কথা হলো সারা বিশ্বে তোলপাড়া করা মিডিয়া (প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক) কতই না মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে; উত্তেজিত করেছে। মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছে। মোট কথা তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করেছে। ট্রাম্প গুনাক্ষরেও এর তিব্র প্রতিবাদ করেনি বরং সময়ে সময়ে জবাব দিয়েছে আবার নিরব থেকে তার অভিষ্ট লক্ষের দিকে এগিয়ে গেছে। যেটুকুর জবাব দিয়েছে সেটুকু নিয়েও কুৎসা রটানো থেকে পিছপা হয়নি কেউ। যাক সেই কথা শুধু বলি অবিচল বিশ্বাস এবং নিরবতা এবং খোদার প্রতি নির্ভরতাই তার এই বিজয়। অপরদিকে মিডিয়া, সরকারী প্রশাসন কেহই শেষ পর্যন্ত জিতাতে পারলোনা হিলারীকে। কারণ একটাই এই ডিজিটাল ফরমেশনে মিথ্যা প্রকাশিত হয় আর সত্য প্রজ্জ্বলিত হয় দ্বীপ শিখার ন্যায়। যার কারণ অন্ধকার বা মিথ্যা মানুষের সামনে স্বচ্ছভাবে প্রতিয়মান। তাই জয়ের ক্ষেত্রে অথবা আগামীর রাজনীতির ক্ষেত্রে মিথ্যা একটি প্রতিবন্ধকতা। পৃথিবীর যে দেশেই যাই না কেন নির্বাবনী হাওয়া এখন সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এক উজ্জল লেলিখান শিখা। এখন থেকে শিক্ষা, এবং ব্যক্তিগত পরিবর্তন এমনকি দলীয় ফরমেশন সবই প্রস্তুত করতে হবে সত্যের আলোকে ডিজিটাল ফরমেশনে। তাহলেই নির্বাচন হতে বিশ্বাসযোগ্য এবং বৈতরণী পার হওয়া যাবে অতি সহজে। আমেরীকাবাসী আজ যারা এই সত্যটি উপলব্দি করতে পারেনি তারা হতাশার সাগরে নিমজ্জ্বিত তাই তাদেরকে উদ্ধার করা এখন ট্রাম্পের কাজ এবং ভালবাসায় সিক্ত করে চেতনা ও জ্ঞান ফিরিয়ে স্ব স্ব কর্মে মনোনিবেশের মাধ্যমেই আগামীর শান্তির নিবাস আমেরীকা গড়ে তোলা সম্ভব।
নির্বাচন হলো আমেরীকায় আর উষ্ণতা ছড়ালো বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে। কতবড়ো অক্ষম বা মুড়ক্ষ হলে এই আহাম্মকী কাজে লিপ্ত হয় তা বোঝানোর কোন স্কেল আমার কাছে নেই। তবে ছাগলের তিন বাচ্ছার দুটি দুধ খেয়ে লাফায় আর একটি রোগাবেশে দুধ না খেয়ে লাফায়। আমাদের হলো সেই তৃতীয় ছাগলের বাচ্চাটির অবস্থা। আমি বলতে চাই আমেরীকার বৈদেশিক নীতি এক এবং অবিচল। সরকার বদলায় কিন্তু নীতি বদলায় না। যারা আমরা স্বপ্ন দেখেছি ক্ষমতায় যাওয়ার বা অতিসম্প্রতি কিছু একটা করে ফেলার বা সম্মানীয় মানুষ ডঃ ইউনুছ সাহেবের সম্পর্কের বেড়াজালে জড়িয়ে কিছু ফায়দা লুটার; তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এখনও সময় আছে নিজেদেরকে সংশোধন করার। বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে নিজেদেরকে বর্তমান যুগের চাহিদা এবং দাবির বাস্তবতার সাথে খাপখাইয়ে নেয়ার। নতুন সামনের দিন আরো কঠিন থেকে কঠিণতর হবে। আওয়ামী লীগ আগে থেকে বাস্তবতার নিরীহে অগ্রসর হচ্ছে প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামী নির্বাচনের কিন্তু আপনারা কি করছেন? ভেবে দেখুন; জেগে উঠুন কঠিন বাস্তবতার নিরীখে। ক্ষমতার লোভ, ব্যক্তি স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গ ও ¯্রােতের বিপরীত অবস্থান থেকে বের হয়ে এসে বাস্তবতা মেনে নিয়ে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে একাত্বতা পোষণ করে নিজেদেরকে জনবান্ধব এবং কল্যাণকামী করে তুলুন। ডিজিটাল ফরমেশনে নিজেদের পরিকল্পনা প্রকাশ করুন। মিডিয়া বা অফিস কেন্দ্রীক না হয়ে জনতার দোয়ারে গিয়ে ভুলের ক্ষমা এবং পরিবর্তনের নতুন অঙ্গিকার এবং চর্চার রূপরেখা প্রকাশ করুন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রশংশা এবং খারাপ কাজের সমালোচনা এমনকি পথ দেখানো সহ নিজেদের স্বচ্ছ পরিকল্পনা জনগণের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রকাশ করুন। তাহলেই আগামী দিনে জনগণ ট্রাম্পের চেয়েও বেশী সাফল্যে উদ্ভাসিত করবে। যদি এখনও আবার ভুল করেন তাহলে আর কোন স্থান পাবেন না আগামী রাজনীতি পরিচালনা করার। নির্বাচন হতে এইদেশে আর এই নির্বাচন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এই দেশের জনগণ। সরকার বদলের সম্পূর্ণ একতিয়ার এই জনগণের হাতেই নিহিত। এই উপলব্দিটুকু যাদের নেই তারা আর রাজনীতি করে কি লাভ? কারণ তাদের বুদ্ধির উপর দেশের দায়িত্ব দেয়া যে বোকামী তা জনগণ বোঝে। এখন জনগণ শিক্ষিত এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব এখন হাতের মোঠোয়। তাই আর অন্ধকার নিয়ে গাটাগাটি না করে নতুন সংস্করণে এগিয়ে আসুন।
মিডিয়াকে আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। কারণ আওয়ামী কাউন্সিলের পর আমেরীকার নির্বাচন যে ছবক শিখিয়েছে তা সুস্পষ্ট যে, অনুমান নির্ভর কথার ফুলঝুড়ি বা পক্ষপাতিত্বের বেহায়াপনা এমনকি প্রশাসনের নিলজ্জ্ব পক্ষপাতিত্ব আর এখন ধোপে টিকবে না। তাই নিরপেক্ষ ভুমিকা এবং বস্তুনিষ্টতা প্রকাশ ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তিই এখন আগামী প্রত্যাশিত পাথেয়। যতই নিলজ্জতা এবং পক্ষপাতিত্ব করিনা কেন পরিণতি বা ফল কিন্তু এর উল্টোদিকেই প্রবাহমান হতে থাকবে। সত্য সবসময় সত্যই আর বর্তমান যুগে মিথ্যার জায়গা অদৃশ্য এবং অস্পষ্ট। তাই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে সর্ত্ত্বের পক্ষে এবং মঙ্গলের পক্ষে ও উদিয়মান উন্নতির শিখরের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে। তাই আসুন ভোদভেদ ভুলে একসঙ্গে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।