তাজুল ইসলাম নয়ন॥ এই যুক্তি আর্তি বাংলার সকল মানুষের। শুধু মাননীয় মন্ত্রীমহোদয়ের নয়। তবে ভ্যাট দিতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ আপত্তি শুধু হয়রানির বেলায়। আমাদের অফিসার এবং কর্মচারীরা সকলেই যে হয়রানী বা ঝামেলায় উস্তাদ। নিজ আসনে বসে একেকজন স্বয়ং ভগবান, খোদা বা ঈশ্বর সেজে বসে থাকেন। সাধারণ মানুষের অনিচ্ছাকৃত বিন্দুমাত্র ভুল পেলেই পোয়া বারো বা ভুল না পেলেও ঢালাও সমস্যা সৃষ্টি করে ভিতসন্তষ্ট করে থাকেন। এই সমস্যা আগে সমাধান করে সেবার মান বৃদ্ধি করুন কেউ ভ্যাট না দিয়ে থাকবে না। বাংলার মানুষ দিতে জানে এবং দিতে চায়। যে কারণে দিতে সমস্যা বা অনিহা প্রকাশ করে সেই কারণ এর অবসান ঘটান। ভ্যাটের হয়রানির শিকার ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের সকল ব্যবসায়ীরাই। এমনকি সফটওয়ার এর ভ্যাট ফ্রি হলেও প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান আজ হয়রানির শিকার হয়ে সময় নষ্ট করছে দিনের পর দিন। কেউ বা ঘর্মাক্ত মনে স্বস্তি পাচ্ছে আবার কেউ অন্যায়ভাবে সময়ের অভাবে ভ্যাট দিয়ে যাচ্ছে। এই হযবরল অবস্থার সমাধান হউক আগে তারপর জনতা জনার্ধন তাদের উজার করা ভালবাসা রাষ্ট্রের প্রতি দেখাবে। যেমনি দেখিয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে।
মাননীয় অর্থ মন্ত্রীর সঙ্গে একমত এইক্ষেত্রে -‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাট দিতেই হবে। তারা দোকান বন্ধ রেখে যে আন্দোলন করছে, তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাদের দাবি হচ্ছে, ভ্যাট দেব না। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভ্যাট আছে ও ভ্যাট থাকবে।’ এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে ঢাকা চেম্বার সম্পাদিত ‘ট্যাক্স গাইড ২০১৬-১৭’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে চেম্বারের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট। এর পরিমাণ আর বাড়বে না। তবে অধিক সংখ্যক হারে ভ্যাট আদায় হলে সেক্ষেত্রে ভ্যাটের পরিমাণ কমতে পারে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘৭৭ হাজার নিবন্ধনকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মধ্যে মাত্র ১১ হাজার ব্যবসায়ী ভ্যাট দেন। বাকি ৬৭ হাজার ব্যবসায়ী ভ্যাট দিচ্ছেন না। এভাবে হলে কেমন করে চলবে?’
আমরাও বলতে চাই ভ্যাট দেয়ার মনমানকিতা তৈরী করুন এবং ভ্যাট দিতে আপত্তি না করে বরং এর প্রতিবন্ধকতাগুলি যৌক্তিকভাবে তুলে ধরুন। ভ্যাট দিব না এটা কোন সভ্যসমাজের আন্দোলন হয় না। আমরা কোন মগের মুল্লুকে বসবাস করছি না। তাই অযৌক্তিক দাবি না করে যৌক্তিক দাবি নিয়ে এগিয়ে আসুন সরকার আন্তরিক আপনার দাবি শুনে আপনার পাশে থাকতে। এই সরকার আপনার নিজের এবং সরকারকে সহযোগীতা করুন সকল ক্ষেত্রে।