টিআইএন॥ ঢাকার রাস্তা থাকবে ফাকা। যেখানে চলবে গাড়ির চাকা ও রিক্সা এবং মানুষের চলার ব্যবস্থা। দোকান এবং ভ্রাম্যমান ভ্যান দোকা ছোটখাট খাবার দোকান থাকবে নির্ধারিত কোন বাজার বা অনুমোদিত জায়গায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল মানুষ, গাড়ি, রিক্সা, সাইকেল, হোন্ডা চলাচলের স্থানে এখন জমে উঠেছে রমরমা সবজি, খাবার পিঠা, ফুচকা এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবসার পসরা। কেউ কি দেখার নেই। ঢাকার আনাচে-কানাচে এই সকল ব্যবসার ফলে যান চলাচল এবং মানুষ চলাচলে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। মনে থাকে শঙ্কা-কখন যেন রিক্সা বা গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। বিগত কিছুদিন যাবত পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করছে কিন্তু পাবলিকের কোন উপকার হচ্ছে বলে মনে হয় না। পুলিশ চলে যাওয়ার পরই আবার বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটি হলে ইব্রাহীমপুর প্রাইমারী স্কুল রোড (মমিন স্মরণি থেকে ইব্রাহীমপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত। বিশেষ করে আদর্শ পল্লী গেইট থেকে শুরু করে সোজা গেলেই এর প্রভাব লক্ষনীয়। সকাল বেলা (৭.০০) শুরু হয়ে তাদের ব্যবসার পসরা এবং চলে রাত অব্দী। পিঠা ও চায়ের স্থায়ী ব্যবস্থা করে বসেছেন কিছু মহিলা- পুরুষের সম্মিলিত দল। যা পুলিশি শাষণেও দুর হচ্ছে না। কাফরুল থানার অছি শামিম সাহেব এবং তাঁর অধিনস্ত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি টহল বৃদ্ধি করে মালামাল ক্রোক করা হলেই এই অসহনীয় অবস্থার উন্নতি ঘটবে।
শুধু যে সরকারেরই দায়িত্ব রাস্তা মুক্ত রাখা তা কিন্তু নয়, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের উপরও এই দায়িত্ব বর্তায়। আমরা কেন মুখ এবং চোখ বুঝে শয্য করে যাচ্ছি। কি লাভ আমাদের। প্রকৃতির সৌন্দয্য নষ্ট এবং রাস্তার জ্যাম আমাদেরকে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করছে। আশে-পাশে যথেষ্ট বাজার রয়েছে এই এলাকার লোকজনের জন্য। পাশাপাশি অনেক দোকান রয়েছে ক্রেতার অপেক্ষায়। শুধু অবৈধ ব্যবসায় নয় বরং নষ্ট করছে আমাদের সমাজের সম্মানীত মানুষদের বিবেককে। যা কাম্য নয়। আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশকে সুন্দর রাখি এবং রাস্তাকে মুক্ত করি দখলদার হকারদের কবল থেকে। আমি এখানে যে রাস্তাটির নাম উল্লেখ করেছি শুধু তা তা কিন্ত নয় বরং এই এলাকার সকল রাস্তাই আজ দখলদারদের কবলে। সরকার আশু দৃষ্টি দিয়ে মুক্ত করবে এই রাস্তায় যাতায়তকারী মানুষের উন্মুক্ত চলার পথ। সচেতন হউন, নিজের অধিকার আদায় করুন এবং সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিন। আগামী দিনে আরো বিস্তারিত ফিরিস্তি লিখার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি সবাই সচেতন হবেন এবং এই রাস্তা মুক্ত করে দিবেন নতুন সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে কঠোর নির্দেশনার মাধ্যমে সবই মুক্ত করা হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।