টিআইএন॥ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের ও আধুনিক গড়তে চায় হাসিনা সরকার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে আসছে রাশিয়ার কাছ থেকে ফাইটার ট্রেনিং জেট, হেলিকপ্টার ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল। ২০১৩ সালে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সম্পাদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই চুক্তি মোতাবেক সেনাবাহিনীর হাতে আসছে অত্যাধুনিক এই সামরিক সরঞ্জামবগুলি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে দুটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন। শুধু তাই নয়, একটি নতুন বিমানঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। চালু হয়েছে নতুন ক্যান্টনমেন্ট। নৌবহরে যুক্ত হয়েছে নতুন ফ্রিগেট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’টি সাবমেরিনের জন্য চিনকে ২০৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। পত্রিকাটি বলছে, এর মধ্য দিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্ধিত অর্থনৈতিক ও সামরিক বন্ধনের বিষয়টি ফের সামনে চলে এসেছে। বাংলাদেশের আধিকারিকরা বলছেন, এই সাবমেরিনগুলোর মাধ্যমে সমুদ্রের এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হবে।
এটা বাংলাদেশের মোট ভূখন্ডের চেয়ে সামান্য কম। অন্যদিকে, নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও বঙ্গোপসাগরে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে দুটি সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই সাবমেরিনগুলি বাংলাদেশের নৌবহরে যুক্ত হবে। এর ফলে ত্রিমাত্রিক নৌশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বঙ্গোপসাগরে নিজের বর্ধিত সমরশক্তির জানান দেবে বাংলাদেশ।