তছলিমুর রেজা॥ যারা বঙ্গঁবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে যারা প্রকৃত মুসলমান, তারা কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্র্মীয় উপসনালয়ে হামলা করার উস্কানী দিতে পারে না। নাসিরনগরের মন্ত্রী মহোদয় ও বি, বাড়ীয়া সদরের এমপি মহোদয় উভয়েই শেকরের আওয়ামীলীগ। প্রকৃত মুসলমান। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগের নীতি ও আদর্শকে বুকে ধারন করেই তারাঁ দুজনেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষনমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। যারা আওয়ামীলীগ ও তার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে, বহুমূখি তৎপরতার অংশ হিসাবে, সুক্ষ ও কৌসলী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই ঘটনা গঠানো হয়েছে।
যার বহুবিদ কারন আছে——
চক্রটি আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে, প্রথমে জ্বালাও পোড়াও, তারপর টার্গেট কিলিং, বিদেশীদের হত্যা, জঙ্গীবাদ, বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা ইত্যাদি। বর্তমান মাননীয় শেখ হাসিনার সরকার কঠোর হস্তে এগুলোকে রুখে দেওয়ায় তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আর কোন উপায়ন্তর না থাকায়, বর্তমানে, দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধিয়ে যদি এদেশ থেকে হিন্দুদের দেশ ত্যাগে বাদ্য করা যায়, তাহলে ভারতের সংগে আওয়ামিলীগের সম্পর্ক নষ্ট হবে। দুরত্ব সৃষ্টি হবে। আন্তরজাতিক ভাবে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হবে, তাতে চক্রান্তকারীদের লক্ষ অর্জন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধী চক্র, এদেশ থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনায় লিপ্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা যতদিন বেচে থাকবে ততদিন তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবেনা। দুই নেতার সাংগঠনিক মতভেদকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে অপচেস্টা করা হচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিকেরা তা কখনোই সফল হতে দেবেনা। জয়বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।