ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার তিনলাখপীর নামক স্থপানে হত দরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের ৪০ বস্তা (দুই মেট্রিকটন) চাল একটি পিকআপ ভ্যানসহ আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলামকে খবর দিলে তিনি চাল পিকআপ ভ্যান ও ড্রাইভরকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
কসবা থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই মালামাল হত দরিদ্রদের কাছে বিক্রি না করে স্থানীয় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তার যোগসাজশে কতিপয় দুর্নীীত পরায়ন ডিলার ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিল। এরই অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার বিকালে খাড়েরার জনৈক প্রাক্তন ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা পিকআপ ভ্যান ভর্তি চাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাচারকালে ধরা পরে। চাল বুঝাই পিকআপ ভ্যান ঢাকা মেট্রো ন-১৪-২৪৬০।
চালক শামিম মিয়া (২৩) সাংবাদিকদের জানান; খাড়েরা ইউনিয়নের রতন মেম্বার আমাকে এই চাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ বাজারে নুরুল ইসলাম নামক এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে পৌছে দিতে ভাড়ায় চুক্তি করেন। এ দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান; এই মামলা তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাজ্জাদ হোসেন জানান; উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মেঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি মেঠোফোন রিসিভ করেননি। এ সকল ঘটনায় পুরো কসবায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।