বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি দুরদর্শী রাজনৈতিক দল। এ দলটি মানুষের ভাষা বুঝে আগামীর রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়ে এগুচ্ছে। আগামী নির্বাচনে যে নিরুঙ্কুস সংখ্যাঘরিষ্টতা অর্জনৈর লক্ষ্যে কাজ করছে তা স্পষ্ট বোঝা যায় নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনী মনোনয়ন এবং তৎপরবর্তী কঠোর পদক্ষেপ এবং মনোভাব দেখে। দলীয় শৃঙ্খলা ফিরাতে যা যা করা দরকার এবং যত কঠোরতা দরকার তার সবই করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বাহক এই দলটি। তবে এখানেই থেমে নেই বরং আরো একধাপ এগিয়ে আছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রেও। শেখ হাসিনার দূরদর্শীতার ছাপ প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রজ্জলিত হচ্ছে যা আগামীর বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতির জন্য মঙ্গলজনক রুপরেখা ও দৃষ্টান্তের ছাপ হিসেবে। এহেন কর্মকান্ড দেখে তৃণমূলের হতাশ নেতারা আজ উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে। কারণ তারা দেখতে পেয়েছে শেখ হাসিনার ধারাবাহিক রাজনীতিতে ত্যাগ, আত্মসংযম, ধৈর্য্য এবং সততার মূল্যায়ন স্পষ্ট প্রতীয়মান। দলের সমর্থক থেকে কর্মী পর্যন্ত কেহই নেত্রীর আর্শীবাদ থেকে এমনকি প্রাপ্ত মূল্যায়ন থেকে বাদ পড়েনি। তাই তৃণমূল থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন দলীয় ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করতে শুরু করেছে এবং ঐক্যবদ্ধতা প্রমানের একটি মহৎ সুযোগও এসেছে।
পাশাপাশি ক্ষমতাধর এবং সুবিধাভোগীরা তাদের ক্ষমতা এবং সুবিধা ভোগের চিন্তা থেকে বিরত থেকে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। অতীতের ভুল ত্রুটির জন্য অনুতপ্ত হয়ে কাধে কাধ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সকলেই বুঝতে পারছে আগামী দিনের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে এবং শেখ হাসিনার লক্ষ্য এবং অভিপ্রায় কি? কেউ খাবে কেউ খাবেনা তা হবে না বরং সকলেই একসঙ্গে সকলকিছু ভোগ করে শান্তি, স্থিতীশিলতা নিয়ে প্রশান্তির বাংলাদেশ উপভোগ করতে ও বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়ে পথ চলতে এবং অন্যদেরকে চালাতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে অগ্রজভাগ থেকে নেতৃত্ব দিতে অগ্রসর হবে।
আমাদের মূল্যায়নে যে সমস্ত এলাকা বা নেতৃত্বের মাঝে এখনও নিজের এবং পছন্দের লোক নিয়ে চলার অভ্যাস রয়েছে তাদেরকে সবিনয় অনুরোধ করে বলছি; সকলকে নিয়েই আওয়ামী লীগ এবং সকলের সমন্বয়েই শেখ হাসিনা। একক মালিকানা না নিয়ে বরং সকলের মাঝে মালিকানা ছড়িয়ে দিয়েই আগামীর জন্য অগ্রসর হউন। তাহলেই নিজেদের আরো শক্তিশালি মনে হবে এবং বাস্তবে সেই শক্তির প্রকাশও দেখা যাবে। একক আধিপত্য বেশীদিন টিকে না এবং স্থায়ী হওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। বরং প্রতি পদেই বিপদের সম্মুখীন হতে হয় এমনকি আগামীর পথ হয়ে পড়ে সরু। তাই ফিরে আসুন আওয়ামী লীগের মুল চেতনায় এবং শেখ হাসিনার অভিপ্রায় ও আকাঙ্কার বাস্তব রূপায়নে।
পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি সবিনয় অনুরো; দেখুন কিভাবে আপনাদের পরিকল্পনা এবং জনবান্ধব কর্মসূচীর মাধ্যমে আওয়ামী রাজনৈতিক সংস্করনের ছোয়ায় নতুন উদ্যমে ও আঙ্গিকে ডিজিটাল রূপরেখা তৈরী করা যায়। কারণ পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখন সেকেলে ও অকার্যকর। তাই নতুন আদলে অগ্রসর হলে হয়ত আগামী দিনের প্রজন্ম আপনাদেরকেও সুযোগ দেবে দেশ সেবার দায়িত্ব দিয়ে। কারণ এখন এই ডিজিটাল ফরমেশনে আর উপায় নেই পুরাতন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে এগিয়ে নেয়ার। যেসব নেতা এবং নেত্রীদ্বয় এখনও নিজ স্বাথ্য এবং দলীয় স্বার্থের চিন্তা করেই বেহুশ তাদেরকে বলছি সময় থাকতে হুশ হউন। সময় শেষ হয়ে গেছে ব্যক্তিস্বার্থের এখন সময় শুধু দেশ, সমাজ এবং উন্নত বিশ্বের আদলে এগিয়ে যাওয়ার। বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এখনই প্রস্তুত হউন এবং প্রস্তুতি নেন।
উন্নয়নের জন্য সার্বিক দিক থেকেই সরকার কাজ করছে এবং এই কাজের ধারাবাহিকতাই বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে করে পল্লীর আনাচে কানাচে এর ছোয়া বয়ে যাচ্ছে। সাংসদরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু যাদের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের কেউ কেউ যখন না ফেরার দেশে চলে যান; তখন সেই কাজের সুফল ভোগ না করার এই আক্ষেপে কেউ কেউ ক্ষমা চেয়ে চোখের পানি ঝড়াচ্ছে। এই যে সেবার মহান দৃষ্টান্ত এবং নেতাদের সকলকে ভালবাসার প্রকাশ তা আগামীর বাংলাদেশকে আরো উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম সম্ভাবনার লক্ষণ। এই মানসিকতা নিয়েই আসুন রাজনৈতিক সেবক হতে। দায়িত্ব নিন সকলের। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ভেদে আচরণ না করে বরং সকলের সঙ্গে সমান অংশীদারিত্ব নিয়ে সম মর্যাদায় কাজ করুন আগামীর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে।
অপরাধীর পার পাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে; হউক দেশে বা বিদেশে; পালিয়ে বেড়ানোর দিন শেষ। সেদিনের রাঘব বোয়াল রাগিব আলী পালিয়ে শত চেষ্টা করেও বিচারের মুখোমুখি না হয়ে পারলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রদূতের ব্যানেটি ব্যাগ ছিনতাই করে চেহারার সামান্য পরিবর্তন করেও পার পেলেন না ছিনতাইকারী। এইতো সুফল ভোগ এবং সরকারের সফলতার দৃষ্টান্ত। প্রশাসনিক কাঠামোই উন্নতি এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল হউয়ার পর্যায়ক্রমিক উন্নতি। জনগণ এখন সরকারকে সহযোগীতা করবে এবং সকলের সুবিধা যেমন আদায় করবে পাশাপাশি রক্ষা করবে দেশের মান সম্মান ও সমৃদ্ধি। আগামী দিনের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার রূপকার, বাস্তবায়নকারী হওয়ার অংশীদার হউন।
সরকার শহর যানজট মুক্ত করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেই উদ্যোগের সঙ্গে আরো একটি যুক্ত হওয়া প্রয়োজন, যা হুবই জরুরী। রাস্তায় বা ফুটপাতে অবৈধ দোকান ব্যবসা বা ভ্যান ব্যবসা। কেউ সবজি, কেউ পিঠা, কেউ কাপড়-চোপর, কেউ বিভিন্ন রকমের খেলনা ও অন্যান্য খাবার সামগ্রী। এই অবৈধ ব্যবসার দরুন জন ও যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে আমাদের সমাজের কতিপয় মানুষের চরিত্রও। কেউ সমাজের সম্মানীত ব্যক্তি আবার কেউবা প্রশাসনের নি¤œ ও মধ্যম সারির কর্তা ব্যক্তি, আবার কেউ বা সৃষ্টি হচ্ছে নব্য পাড়া-মহল্লার চাঁদাবাজ বা মস্তান হিসেবে। এই নৈতিক অবক্ষয় থেকে এখনই সময় পাড়া, মহল্লাসহ মুল রাস্তা অবৈধ দখলদার মুক্ত রাখা। জোর দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষকে যেন আশু কার্যক্রম পরিচালনা করে রাস্তা ও ফুটপাত মুক্ত করা হউক।
আগামী দিনের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ও এই দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলন ঘটুক নতুন আঙ্গিকে এবং পুরোনো সংস্কৃতি ঝেরে ফেলে নতুনের আহবানে বাংলাদেশ হউক বিশ্বের রাজনৈতিক রোল মডেল এবং উন্নয়নের অংশীদ্বার হিসেবে। মাথা উঁচু করে দাড়াবে রাজনীতি, দেশ, অর্থনীতি এবং শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা। ধর্ম, বর্ণ এমনকি গোত্রীয় গোড়ামীর বেড়াজাল মুক্ত হবে আমাদের এই সোনার বাংলা।