তসলিমুর রেজা॥ মায়ানমারের সিমান্তবর্তী রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যেভাবে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে, আগুন দিয়ে বসত ভিটা এমনকি মুসলমানদের মসজিদ পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেখানকার সেনাবাহিনী অকাতরে মুসলিম নিধনে নেমেছে। শান্তিতে নোবেল পাওয়া অংসান সুচি সব দেখেও না দেখার ভান করছে, যেনো তার কিছুই করনীয় নেই। শান্তিতে পুরুস্কার পেয়ে বিশ্বে অশান্তির বীজ বপন করেছেন।
কোথায় বিশ্ব মুসলিম দেশের সরকার প্রধানগন ? কোথায় বিশ্ব মানবতা ?? কোথায় বিশ্ববিবেক ?? কোথায় অসাম্প্রদায়িক বিশ্ব সম্প্রদায়? মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন কেন ?? মুসলমানদের কান্না কি আপনাদের স্পর্শ করেনা ? কোথায় বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠন গুলো ? আপনারা কি অন্ধ হয়ে গেছেন ? প্রশ্নবিদ্ধ বিশ্বমানবতা, প্রশ্নবিদ্ধ মানবাধিকার সংগঠন গুলো, প্রশ্নবিদ্ধ বিশ্বনেতারা, প্রশ্নবিদ্ধ মুসলিম দেশের সরকার প্রধানগন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার মায়ানমারের রাস্ট্রদুত কে ডেকে লিখিতভাবে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের মুসলমানরা বিশ্বের দৃস্টি আকর্ষনের জন্য প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা সিমান্ত পার হয়ে বালাদেশে প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের ও একটা সিমাবদ্ধতা আছে। তাই বিশ্বের সকল মুসলমান ভাইদের দৃস্টি আকর্ষন করে বলতে চাই যে যেখানেই আছেন সেখান থেকেই প্রতিবাদ করুন। মুসলিম রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়ান, পারলে তাদের সহযোগীতা করুন। মায়ানমারকে চাপ প্রয়োগের জন্য সারাবিশ্বকে প্রভাবিত করুন।
মনে রাখতে হবে, সকল মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধতার সুযোগে যেনো কোন ধর্মব্যবসায়ী সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি নস্ট করতে না পারে সে দিকে সকলেরই খেয়াল রাখতে হবে। কারন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক মুসলিম দেশ।