বাংলাদেশ স্বাধীন দেশের স্বিকৃতি পেল এই ডিসেম্বরেই। আর এই ডিসেম্বর র্ঘিরেই বাঙ্গালীর অনেক স্বপ্ন; যেমন পুরনো একটি বছরের চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মিলানোর এমনকি নতুন বছরের আগমনকে ঘীরে নতুন স্বপ্নের উন্মাদনা। তেমনি আমাদের উন্মাদনা উদ্বিগ্নে পরিণত হলো বিশেষ করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘীরে। এই নিরাপত্তার জন্য কত কিই না করা হয়; হয়েছে এবং ভবিষ্যতে হবে। কিন্তু আসলেই কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিরাপদ হবে বা পরিপূর্ণতা পাবে। এই প্রশ্ন এখন দেশবাসী সকলের।
আমরা এক একটি ধাপ অতিক্রম করে ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরের সন্ধানে এগিয়ে যাচ্ছি। সফলতার স্বীকৃতি একের পর এক পেয়েও যাচ্ছি আন্তর্জাতিক মহল থেকে। কিন্তু ঐ স্বীকৃতিই কি যথেষ্ট নাকি আমাদেরও সন্তষ্টি বা আত্মতৃপ্তির জন্য কিছু করা দরকার। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের উদ্ধগতি; উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ সবই আমাদেরকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ব্যবস্তা করে দিয়েছে। আর এই স্বীকৃতি বা ব্যবস্থার মূলে যিনি তিনিই হলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার জন্ম বা আভির্ভাব না হলে বাংলাদের পিছনের দিকেই অগ্রসর হত যেমনীরূপে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না ঠিক তেমনিরূপে শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অদ্ভোদ্বয় ঘটত না। শেখ হাসিনা এখন আর বাংলাদেশের প্রায় ৬৮৬৭৮বর্গ কিলোমিটারে সিমাবদ্ধ নন; বরং তিনি এখন বিশ্ব নেতৃত্বের নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছেন। এই স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়। তাঁর এই ইমেজ বাংলাদেশের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ। যা দেশ-বিদেশে স্বীকৃত। এইতো সেদিন আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সাহেব তাঁর উপলব্দিতেও বলেছেন “শেখ হাসিনার কিছু হলে, আমাদের কি হবে, দেশের কি হবে”?
আজ আমরা যে অবস্থায় আছি বা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছি বা আগামীর গন্তর্ব দেখছি তাঁর সবই হয়েছে শেখ হাসিনার বদৌলতে। এই শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন কার? কে এই মহীয়সী নারীর প্রতি অবহেলা করবে; হ্যা তা করতে পারে শত্রু পক্ষ; যারা বাংলাদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে গিয়ে অন্ধকার থেকে আরো অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায়। এই এক সপ্তাহ জুড়েই মানুষের মুখে ছিল শেখ হাসিনার নিরাপত্তা সংঙ্কা নিয়ে কথা। একজন দেশপ্রেমিক, বিবেকবান মানুষ স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এবং জাতীকে ভাবাতে কাজ করবেন। আমার কাছে মনে হয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিরাপত্তার চেয়ে একজন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা অনেক ভাল। যেমন দুই দুইবার আকাশপথে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘিœত হলো কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের ক্ষেত্রে হরহামেশাতে তো এই নিরাপত্তা বিঘেœর খবর পাওয়া যায়নি। অপরদিকে আবার বলা যায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাই যদি এমন নড়বড়ে হয় তাহলে একজন অতি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কি অবস্থা?
যাই হোক এই প্রশ্নগুলির বিশ্লেষণাত্মক ফয়সালা আমরা আশা করছি। আমাদের জোড় দাবি রাষ্ট্রের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে আর কোন গাফিলতি দেখতে চায় না। আকাশ, নৌ ও স্থল পথে একশত ভাগ নিরাপত্তা নিয়ে নিবিগ্নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে পথ চলতে সহায়তা করুন। যদি আপনারা (যারা দায়িত্বে নিয়োজিত) না পারেন তাহলে সাড়েন্ডার করুন আমাদের কাছে; আর আমরা জনতার প্রধানমন্ত্রীকে এই দেশের জনতাই নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেব। যার বিন্দুমাত্র ত্রুটি ধরা পড়বে না। একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সেই ২১শে আগষ্টের ঘটনা। যা জনতা মানব বর্ম হয়ে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল। কোন নিরাপত্তা বাহিনীই তখন ছিল না। বর্তমানে জনতা আরো সচেতন এবং গতিশীল তাই জনতার নিরাপত্তার মাঝে কোন খোঁত নেই; আছে নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং মহিমান্বিত ত্যাগের মহিমা।
নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য রয়েছে তরুন প্রজন্ম এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিও আওয়ামী সেনারা। তারপরও আমরা আপনাদের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা চাই। দয়া করে অশু ব্যবস্থা করুন। এখানে মীরজাফরের ভুমিকায় অবর্তিন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। মীরজাফরদের আর বাংলার মাটিতে ঠায় হবে না এমনকি যদি কোন মীরজাফর বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে কিছু করতে চান তাহলে ভুল করছেন এবং নিজের কবর নিজেই খুড়ছেন। অতি অল্প সময়েই আমরা মীরজাফরদের জানাজাবিহীন মাটিচাপা দিব। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোড়দার এবং আরো উন্নত করতে শেখ হাসিনা যে ব্যবস্থা করছেন আমরা দাবি করি সেই ব্যবস্থায় যেন তাঁরজন্যও জায়গা রাখেন। শুধু জনগণের কথা ভেবে কাজ করলে চলবে না বরং নিজের কথাও ভাবা উচিত। আমরা আপনাকে অনেক দিন সেবকের ভুমিকায় দেখতে চাই।
ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা আগামীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা চাই। পরিকল্পনা এবং কাজের সমন্বয় দেখতে চাই। শুধু কথা নয় কাজ যেন মুখ্য ভুমিকায় থেকে আগামীর উদাহরণ হয়। সেই বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় দরখাস্ত বা আবেদন করা হয় নিরাপত্তা এবং সুযোগ সুবিধা ( বৈধ) জন্য কিন্তু বাস্তবে সেই আবেদনে সাড়া পাওয়া যায় না। আশা করি সবাই সবেচন হবেন এবং আবেদনের ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। ঈশ্বর/ আল্লাহ/ ভগবান সেজে বা হামচে বড় কোন হে ভাব নিয়ে বসে থাকবেন না। এটা দায়িত্ব এবং সেবার বিধিতে পড়ে না। যে কোন সময় দুঃঘটনা ঘটতে পারে কিন্তু ঘটার পরেতো আর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ থাকে না তাই সুযোগ ও সময় থাকতেই কাজে লাগাতে অনুরোধ করছি।