বাআ॥ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। সারাদেশের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেই এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, “আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে ওই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন শক্তিশালী করতে হবে।”
এ প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ১৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা দেওয়া হবে, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ২৬৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বাকি প্রায় ৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে জোগান দেওয়া হবে। চীন সরকারিভাবে এ ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দেশের ৭৮ ভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
“আগামী ২০১৯ সালের মধ্যেই সরকার দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সক্ষম হবে।” একনেক সভায় ২২ হাজার ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। এর অর্থের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা, প্রকল্প সহায়তা খাত থেকে ১৩ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা এবং ৫৮৫ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে জোগান দেওয়া হবে।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৩ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্পও অনুমোদন পায়। আশুগঞ্জ থেকে বাখরাবাদের গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়নে অনুমোদন হয়েছে ৫১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প। চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ২ নম্বর গেইট ও জিইসি ফ্লাইওভার নির্মাণের সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এর ব্যয় ৬৯৬ কোটি টাকা। ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে ২০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ৩৯৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণে ৩৬৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন দিয়েছে একনেক।