এই বছর বা বিগত বছর গুলোতে আনিছুল হক নামটির যশ বা মহাত্বগুন বেশী প্রকাশিত হয়েছে। এই নামের অধিকারীরা বেশী সম্মান এবং সুযোগ এমনকি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বীকৃত পেয়েছেন। রাশিচক্র বা নামচক্র বুঝলে হয়ত বলতে পারতাম এর কারণ কি। কিন্তু না বুঝে যা বুঝেছি তা দিবালোকের মত স্বচ্ছ ও স্পষ্ট। একজনের আনিছুল হক যিনি বর্তমানের আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কথা বলছি। যিনি নিজেকে প্রমান করেছেন নিজের সৃষ্টিশীল কৃর্তিগুলি দিয়ে। বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে যা পেয়েছেন তা যুক্ত হয়েছে তাঁর নিজস্ব সৃজনশীলতার সঙ্গে। তিনি কে? কি করতে পারেন এবং কি করেছেন তা দেশবাসী জানে। কারো বলার বা লিখার কারণে তিনি আজকের অবস্থানে আসেন নি বরং তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অতীতে অনেকে পার পেয়েছেন; পেয়েছেন জীবনের নিশ্চয়তা যা আজও অব্যাহত রেখেছেন। তিনি যখন মন্ত্রী ছিলেন না তখনও তিনি কাজ করেছেন রাষ্ট্রীয় এবং জনগণের কল্যাণে আর এখনও করে যাচ্ছেন একই লক্ষ্যে শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ে।
তিনি পরিক্ষিত এবং প্রমানীত একজন সেকুলার মানুষ এবং আওয়মী রক্তের স্বাধীনতার পক্ষের। আমরা কেউ আর তার পক্ষে বলে বা কয়ে সেই কাজ করার কোন সুযোগ তিনি অসম্পূর্ণ রাখেননি। তাঁর বাবার উত্তরসূরী হিসেবে তিনি এলাকা তথা দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। এই কয়েকদিন ধরে পত্রিকায় বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলালেই দেখতে পাই প্রতিবাদ এবং কিছু কথা। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার সকলেরই আছে। তাই মানুষ যার যা মনে চাই তাই বলতে পারে। মাঝে মাঝে কিছু কিছু বলা হয় অতিরঞ্জিত এবং মিথ্যায় ভরপুর। আর তার পরেই ঝর উঠে প্রতিবাদের। সবই স্বাধীনতা ভোগের ফল। আমরা বেশী স্বাধীন হলেই এমন অনুর্বর মস্তিস্কের ফল প্রকাশ করে থাকি। যেমনি করেছেন প্রথম আলোর মাধ্যমে জনাব পঙ্কজ ভট্টাচার্য। এক্ষেত্রে আমি বলব ওনার মত মানুষ একজন সম্মানী মানুষের বিষয়ে কথা বলার আগে একটু ভেবে চিন্তে এমনকি প্রমান স্বাপেক্ষে বলা ভাল ছিল। কিন্তু তিনিতো কিছুই করলেন না বরং আহাম্মকের মত এক কথা বলে নিজেকে এমন নিচু করলেন বা নামালেন তার আর ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তারপরও বলছি সুযোগ আছে সুধরিয়ে নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার।
আমার যতটুকু মনে পড়ে এই খবর জনাব হক সাহেব পর্যন্ত পৌঁছায়নি বা তিনি এর জন্য তেমন প্রতিক্রিয়াও জানান নি। শুধু সাধারণ জনতা প্রতিবাদের জড় তুলছে ঐ মুখ্যের বিরুদ্ধে। জনাব ওবায়দুল মোক্তাদির সাহেব ও মোক্ষম জবাব দিয়েছেন দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিগ্রাফ এর মাধ্যমে। আমার মনে হয়েছিল আমি মানহানির মামলা করবো ঐ মুখ্যের বিরুদ্ধে এবং আগামীর মুখ্যতাকে চিরতরে ধুলায় মিশিয়ে দিব। কিন্তু বিচক্ষণ, জ্ঞানী জনাব এডভোকেট আনিছুল হকের পরামর্শ ও অনুমতির অভাবে তা করতে পারিনী। তারপরও বলব তিনি যা বলেছেন তার কোন সাড়বস্তু নেই বড়ং অসাড় ও সবৈব মিথার ফুলঝুড়ি ছাড়া কিছুই নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে জনাব হক সাহেবকে শৈশব থেকেই চিনি এমনকি তাঁর নির্বাচনী এলাকার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে আমার পদধুলি পড়েনি। বিশেষ করে এলাকার মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তিনি এবং তাঁর গ্রামের প্রতিটি ঘরেই আমার বিচরণ ঘটেছে কিন্তু অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে তিনি আছেন এবং থাকবেন সকলের হৃদয়ে।
আমাদের প্রত্যাশা এই নির্লোভ মানুষটি বেঁচে থাকুক দীর্ঘদিন এবং সেবা করুক এলাকা তথা দেশবাসীর যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন। তার নেই কোন প্রয়োজন বরং দেয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকেই দায়বদ্ধতা নিয় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। যে মানুষটের ভবিষ্যৎ উত্তসূরী হলো এলাকার জনগণ এবং দেশবাসী সেই মানুষটিকে নিয়ে কথা বলতে বা মিথ্য ছড়াতে যার বিবেক কাজ করেনি সেই মানুষটিকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দেওয়া একটি গর্হিত কাজ তাই তাকে হয়ত চিকিৎসার জন্য পাবনা অথবা কোন হাসপাতালে পাঠানো উচিত। এই বলেই আজকের পর্ব সমাপ্তি।