নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি॥ নারায়নগঞ্জ নির্বাচন নিয়ে নানা জল্পনা ও কল্পনার মাঝে এখনা ভোটারসহ সাধারণ মানুষ। সারাদেশেই এই নির্বাচনের বাতাস জোড়ে শোরে বইছে। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ এর মধ্যে নির্বাচনী বিভিন্ন উত্তপ্ত কথা বা বাক্যের বিনিময় হচ্ছে অহরহ। তেমনি একটি হলো “ভাড়াটে প্রার্থী হয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে ভোটে নেমেছেন।”
না সি ক নির্বাচনে আইভীর প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একাকার হয়ে গেছে। নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। গতবার জনগণ আমাকে জিতিয়েছে। এবারও আমার ভরসা জনগণই। সাখাওয়াত হোসেন নারায়ণগঞ্জ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি এই জেলার বাসিন্দাও নন, অন্য জেলা থেকে বছর কয়েক আগে এখানে এসেছেন। ভাড়াটে প্রার্থী হিসেবে বিএনপির হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন।
নারায়ণগঞ্জের কোথায় খাল আছে, কোথায় নদী আছে, তার কিছুই জানেন না সাখাওয়াত। আমারতো মনেহয় তিনি কারও সুরে কথা বলছেন। বিএনপি ও সাখাওয়াত নির্বিঘেœ প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ কোনও বাঁধা দেয়নি। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যারা বার বার না সি ক নির্বাচনে সেনা মোতায়েন দাবি করছেন, তারা জনগনের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন না।
আমি জোর গলায় বলতে চাই এই নরায়ণগঞ্জের নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আগামী সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার এবং দেশ সেবার ব্রতী নিবে। যার দল আগামীতে ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনা নেই সেই দলের নেতা কিনা নারায়নগঞ্জের দুই পারের মিলন ঘটাবে ব্রীজ করে এটা কোন পাগলে বিশ্বাস করে। যার দল ক্ষমতায় গিয়ে শুধু পকেট ভারী করে এবং দুর্ণীতির অপবাদ নিয়ে সারা পৃথিবীর মাথা নষ্ট করে সেই দলের মনোনীয় প্রার্থী আর যাই করুক না করুক তিনি যে নিজের উন্নতি এবং দলের নেতাদের পকেট ভারী করবেন এটা নিশ্চিত।
যাক দিনের শেষে ফলের ঘোষণায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে নারায়নগঞ্জের আপামর মানুষের সেবা করবে এটাই জনতা এবং দুই-দুইবারের সফল মেয়র এবং বর্তমান প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রত্যাশা।