টিআইএন॥ সাত বছর আগেও দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মিলিয়ে বিদ্যুতের দেখা মিলত কম সময়েই। সন্ধ্যা হলেই রাজধানীর অনেক এলাকাও ডুবে থাকত আঁধারে। তবে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এখন ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় মানুষ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে স্ব¯িস্ততেই আছে। কারণ গত সাড়ে সাত বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে সরকার। বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। আর এই শুভক্ষণ বিদ্যুৎ বিভাগ উদযাপন করল আলোর রোশনাই ছড়িয়ে। রাজধানীর হাতিরঝিলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লাখো মানুষ দেখল বিদ্যুৎ বিভাগের চোখ ধাঁধানো আলোক উৎসব। আর সারা দেশের মানুষ তা দেখছে টেলিভিশনের পর্দায়।
সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে আলোক উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সঙ্গে সঙ্গে লাখো কণ্ঠে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ বলে গর্জন ওঠে। এরপর শোনা যায় বঙ্গবন্ধুর দরাজ কণ্ঠের ৭ মার্চের সেই ভাষণ। উৎসবে এভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে লাখো মানুষ।
আলোক উৎসব দেখতে সন্ধ্যার আগেই হাতিরঝিলে হাজির হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। শিশুদের আনন্দ ছিল দেখার মতো। হাতিরঝিলের মাঝখানে ইংরেজি হরফে বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তার চারপাশজুড়ে শুরু হয় আলোর ঝলকানি। মুহুর্মুহু আতশবাজির ঝলকানিতে পুরো হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকায় আলোর বন্যা বয়ে যায়। সঙ্গে ছিল মন মাতানো লেজার শো। উৎসব শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৫৫-তে। তারপর হাতিরঝিলের আলো জ্বলে ওঠে সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে।
আলোক উৎসব উদ্যাপনের দিন ছিল গত বুধবার, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সাধারণ মানুষের যোগ দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। পিডিবি সূত্র জানায়, এখন দেশের মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার মেগাওয়াট। ক্ষমতা কমে যাওয়ায় নিট উৎপাদন ১২ হাজার ৪০৫ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। রয়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াটের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ। ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।