উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ। দেশ ও দেশের মানুষ এবং এদেশের অর্থনীতি এখন মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে উন্নত বিশ্বের পর্যায়ে অবস্থান করতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বাংলাদেশের সরকার এবং পরিকল্পনা একসুত্রে গেথে উঠেছে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। এই বাস্তবায়নই আজ আমাদের এই দেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে বিশ্ব দরবারে। বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের মানুষের সমন্বয়ে হয়নি এমন কোন জটিল হিসেব নিকেশ নেই বিশ্ব দরবারে। ১৯৫২ থেকে ৭১ এবং আজ ২০১৬ এর বিদায় লগ্নেও এ অকুতোভয় জাতি দেখাতে ভুলেনি তাদের ঐক্যের সমাহার। স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি আজ উজ্জিবীত এবং একত্রিত তাই সকল অসম্ভবকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সকল ক্ষেত্রে, কারো কাছে মাথা নোয়াবার নয় বরং মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে জোয়ারের পানির ন্যায় সমান্তরাল গতিতে। যেখানে নেই কোন খেদ। আমাদের সরকার এবং জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। দেশের শত্রু যারা ছিল স্বাধীনতায় বিরোধী এবং মোনাফেক তারাতো থেমে নেই কিন্তু দেশীয় ঐক্য যখন সরকারের সমন্বয়ের মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে তখন মোনাফেক এবং দেশ বিরোদী চক্র এখন দিশে হারা। তাদের মিথ্যার ফুলঝুড়ির ধরন পাল্টাতে গিয়ে নতুন অভিধানের সন্ধানে ব্যস্ত তারা।
এই দেশের উন্নয়নের সঙ্গে যোগ মিলাচ্ছে সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও উন্নয়নের ভূমিকম্পে কাঁপিয়ে দিলো দেশ বিরোধী চক্রের পক্ষাবলম্বন কারীদের। সেখানেও জানান দিল ঐক্যের সঙ্গে, উন্নয়নের সঙ্গে আর আপস নয়। ইতিমধ্যে যারা নিজেদের খোলস পাল্টিয়ে অরাজনৈতিক স্বচ্ছ ভাবমুর্তিসম্পন্ন একটি মানুষকে দাড় করিয়ে দিয়ে এমনকি দলীয় কোন্দল কাজে লাগিয়ে জনতার চোখে ধোকা দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছিল। কিন্তু দেশবাসী দেখেছে ঐক্যের বিজয় এবং সততার ও স্বচ্ছতার বিজয়, উন্নয়নের বিজয়। এই বিজয় সেইসকল দেশ বিরোধী চক্রের মনোসংযোগে আঘাত করে জানান দিয়েছে এই দেশের মানুষ এখন আর ফাকা বুলিতে বিশ্বাস করে না এবং মিথ্যা আশ্বাসে আশান্বিত হয় না। বাস্তবতা এবং ভবিষ্যতের হাতছানি দেয়া উন্নয়ন গতিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। পিছনের দিকে আর ফিরেও তাকাতে চায় না। সেলিনা হায়াত আইভীর জয়; সারা বাংলার মুক্তিকামী মানুষের জয়, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির জয়, মুক্তিযোদ্ধাদের জয়, ত্রিশ লক্ষ শহীদের উৎসর্গকৃত আত্মাদের জয়। সম্ভম হারানো মা বোনদের জয়।
স্বাধীনতা বিরোধীরা যে খেলা খেলতে চেয়েছিল তার কিছুটা সফল এই বিবেচনায় যে, তাদের মিথ্যা ও কৌশল অন্তত ভোটের ব্যবধানটা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। নতুবা প্রকৃত ভোটের চিত্র দেখে হয়তবা অনেকেই হৃদস্পন্দন বন্ধ বা আগামীর রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন। তারপরও বলব সারা দেশের অবস্থা আরো খারাপ তাই সময় থাকতে ষড়যন্ত্র থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দেশের উন্নয়ন গতিকে আরো তরান্বিত করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন। আগামীর রাজনীতি হউক জনকল্যাণের এবং সার্বজনীন। কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আর রাজনীতি করা সম্ভব নয় কারণ এখন দেশ ডিজিটাল এবং এই ডিজিটাল কল্যাণে সবকিছুই জানা এবং দেখা সম্ভব। প্রত্যেকে এখন আইনায় নিজ ছবি দেখে আগামীর করণীয় ঠিক করুন এবং যুগোপযোগী ভাবনায় পরিচালিত হউন। পুরাতন সকল কিছু ঝেড়ে ফেলে নতুন সাজে সজ্জিত হউন। তাহলে হয়ত কোন একদিন খোদা তায়ালা আবারো দেশ সেবার দায়িত্ব দিয়ে দেখতে পারে পরিবর্তনের বাস্তবতা কতদুর। নারায়নগঞ্জ নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিন। আগামী প্রস্তুতি এবং করণীয় ঠিক করুন। এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য দেশ বিরুধী চক্রের বহিপ্রকাশ যারা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই এবং নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লেগে থেকে নির্বাচন সুষ্ঠ এবং স্বচ্ছ হয়েছে এই মতামত দিয়ে নিজেদের মর্যাদা আরো একধাপ এগিয়ে নিয়েছে। সাধুবাদ জানাই অতিতের ভুল থেকে বেরিয়ে আসার জন্য।
বিজয়ী মেয়র আইভী সহ সকলকেই বলতে চাই এই বিজয়ের যে চালিকা শক্তি তা যেন ধরে রেখে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়। সবার প্রতি সম্মান এবং এখনও যে পরিমান কোন্দল ও মতভেদ রয়েছে তা দলীয় স্বার্থে জলাঞ্জলী দিয়ে দেশের প্রয়োজনে এক হয়ে আগামীর পথচলা নিষ্কন্ঠক করতে হবে। সারাদেশে এই নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীক কর্মসূচী হাতে নিয়ে দলকে সংঘঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাহলেই আগামীর বিজয় সুনিশ্চিত। আর এই সুনিশ্চিত অবস্থানই বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। সেলিনা হায়াত আইভী হউক রোল মডেল এবং দলীয় কর্মসূচী এবং কঠোরতা ও বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনাই হউক আগামীর জন্য আওয়ামী পরিবারের ঐক্যের নবউদ্দিপনা এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির শিক্ষনীয় দৃষ্টান্ত। নারায়নগঞ্জের এই উন্নয়নের ভূমিকম্প সারা দেশে নাড়া দিক এবং জাগরিত জয় প্রকাশিত করুক আগামী প্রজন্মের নিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ার লক্ষে।
আমার ও আমাদের কামনা এই নাসিক ভূমিকম্প প্রতিনিয়ত ধোলা দিক আবহমান গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে এবং প্রতিশ্রুতি ও প্রতিজ্ঞায়।