তাজুল ইসলাম নয়ন॥ নাসিক নির্বাচনে পূনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ডা: সেলিনা হায়াত আইভি। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জন নেত্রী শেখ হাসিনার আস্তাভাজন প্রার্থী। তিনি পেয়েছেন ১৭৫৬১১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বি এন পির জনাব এড: সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ৯৬১৪৪ ভোট। বিশাল ভোটের ব্যাবধানে তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হলেন বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। প্রথম বার প্রতিকুল পরিস্থিতিতে পৌর মেয়র হয়েছিলেন এই বিএনপিরই বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় বার নির্বাচত হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রার্থী শামীম উসমানের বিরুদ্ধে। আর এবার নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় প্রতীক নিয়ে। বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগের আরেকটি বিজয় অর্জিত হলো। এই বিজয় শুধু নির্বাচনের নয় বরং নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার। সরকার তাঁর ওয়াদা পালনে বদ্ধ পরিকর এবং স্বচ্ছতা প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবদ্ধকতাই রোখতে পারেনি এবং এই সরকার আপোষকামি নয় তাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। দল, মত নির্বিশেষে একবাক্যে স্বিকার যোগ্য এমন শান্তিপূর্ণ নিরপেক্ষা সুষ্ঠ্য নির্বাচন এর আগে কখনো দেখেনি দেশবাসী। জয় শেখ হাসিনার এবং বাংলাদেশের ভাবমুর্তির ও সদিচ্ছার।
এই নির্বাচন নিয়ে কোন দুঃখবোধও নেই বিরোধী শিবিরের কিন্তু মনে অনেক হতাশা রয়েছে পরাজিত প্রার্থীসহ কর্মীদের। কারণ তাদের এই করুন পরিণতি থেকে বের হয়ে আসার আর কোন রাস্তা খোলা নেই বরং দিনকি দিন আরো সমস্যার বেড়াজালে জড়িয়ে অন্তসাড়শুন্য পরিস্থিতির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা বিএনপির। সবচেয়ে বড় বিজয় এই নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে এবং উভয় প্রার্থীই জনতার রায় মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেছেন। মেয়র আইভী অবশ্য এই জয় জনতা ও খেটে খাওয়া মানুষের আখ্যায়িত করেছেন এবং উৎসর্গ করেছেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ত্রিশ লক্ষ্য শহীদের প্রতি। তিনি আরো বলেছেন সিটি কর্পোরেশনের দরজা সকলের জন্য খোলা এই কর্পোরেশন হবে জনগণের। তার এই নিরলস পরিশ্রম এবং মানব সেবার ভার্বমুর্তি দিনকি দিন উজ্জল হউক এবং এলাকার মানুষ তাঁর সেবায় সেবিত হয়ে আগামীর জন্য প্রস্তুত হউক।