টিআইএন॥ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলায় নিহত চার পুলিশের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
নিহত চার পুলিশ পরিবারের ৯ সদস্যকে মোট ৫০ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হয়। এর মধ্যে নিহত সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ রবিউল করিমের মা বেগম করিমন নেছা ৫ লক্ষ, ছেলে সাজেদুল করিম ১ লক্ষ, স্ত্রী বেগম উম্মে সালমা ১০ লক্ষ, নিহত ওসি সালাউদ্দিন এর স্ত্রী বেগম রেম কিম ১০ লক্ষ, কন্যা সামান্থা ২ লক্ষ, ছেলে সেম রাইয়ান ২ লক্ষ, নিহত কনস্টেবল আনছারুল হকের মাতা বেগম রাবেয়া আক্তার ৫ লক্ষ, স্ত্রী নুরুন্নাহার ৫ লক্ষ ও নিহত কনস্টেবল জহিরুল হকের স্ত্রী বেগম জুবেদা খাতুনকে ১০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের নিক্ষিপ্ত বোমায় ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান গুরুতর আহত হন। ওই রাতেই গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। অপরদিকে গত ৭ জুলাই সকালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ-উল-ফিতরের জামাতের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনকালে জঙ্গিদের হামলায় মারা যান কনস্টেবল আনছারুল হক ও জহিরুল ইসলাম।
এসি রবিউল করিমের বাড়ি মানিকগঞ্জের সদর থানায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এবং বৃদ্ধ মা রেখে যান। সালাউদ্দিন খানের বাড়ি গোপালগঞ্জের সদরে, তার স্ত্রীসহ রয়েছে এক, ছেলে-মেয়ে। কনস্টেবল আনছারুল হকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন থানায়। তিনি স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার জহিরুল হক বৃদ্ধা মাসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।
শেখ হাসিনা নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় নিহত পুলিশ পরিবারের স্বজনরা অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্তনা দেন। চেক হস্তান্তরকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।