আজ থেকে ৩ বছর আগের কথা যা সকলেই জানে তারপরও উন্নয়নের মহাসড়কে দৌঁড়ানোর তাগিদেই স্বল্পকিছু লিখা। সেইদিনটি ছিল সংবিধান এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির টিকে থাকার লড়ায়ের মত। আতুড় ঘরে মা যেমন সন্তান ভূমিষ্ট করার যন্তনায় ছটফট করে তেমনি গনতন্ত্র, সংবিধান রক্ষার যন্ত্রনায় ছটফট করতে ছিল দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতা পক্ষের সকল শক্তির ঐক্যবদ্যতা এবং শেখ হাসিনার সাহসি পদক্ষেপ ও দৃঢ় মনোবলই জাতিকে উপহার দিয়েছিল আরেকটি বিজয়, সফল নির্বাচন এবং বর্তমান কেবিনেট। যার মাধ্যমেই আজকে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দৌঁড়াচ্ছে। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে জাতি মনে রাখবে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে পাশাপাশি সেই দিনটির মাধ্যমেই জাতি ভালবাবে জানতে এবং চিনতে পারছে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা সেদিন কেন্দ্রে গিয়ে জীবন বাজি রেখে ভোট দিয়েছিল বাংলাদেশের অস্তিত্বের পক্ষ্যে। যারা সেদিন কেন্দ্রে যায়নি এবং বিভিন্ন সমালোচনা করেছিল তাদেরকে বলতে চাই আপনারাও আজ এই নতুন প্রজন্মের কাছে রাজাকার হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠীত করেছেন। দেশবিরোধী চক্রতো দেখিয়েছে তাদের তান্ডব লিলা আর সেই তান্ডব লিলাকে আপনারা ১৯৭০-৭১ সালের রাজাকার, আলবদর এবং আল-শাস্স এদের সমর্থন যুগিয়ে নিজেদেরকে নব্যরুপে প্রকাশ করেছেন মাত্র। আমার একটি দাবি এই সরকারের কাছে যারা ঐ ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছিল তাদেরকে চিহ্নিত করুন এবং এদেরকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানীত করে আগামী প্রজন্মের কাছে আরো একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। ইতিহাসে তাদেরকে স্থান দিন। বাঙ্গালীর ইতিহাস বারে বারে বাক নিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তে কিন্তু এভার ইতিহাস পুনরুজ্জিবীত হয়েছে এবং নতুন অধ্যায়ের যুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দী করছে। নতুন প্রজন্মের যোদ্ধারা যদি তাদের প্রাপ্যটুকু না পায় তাহলে হয়ত আগামীতে এই সাহসী বীরদের হারিয়ে যাওয়া ও ইতিহাসে স্থান না পাওয়ার বেদনায় উন্নয়নের জোয়ারেও ভাটা পড়বে। এই জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে। আর তা সফল হয়ে আজ দেশ মধ্যম আয়ের স্বীকৃতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উচ্চ আয়ের স্বীকৃতির লক্ষ্যে।
আমার দুঃখ এই ৫ জানুয়ারী নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল এবং আজও অব্যাহত রয়েছে তা বিস্তারিত বলার আগে শুধু বলব সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা বিভিন্ন জনসভায় উন্নয়নের জবাবদিহিতা করেন এবং আগামী দিনের কর্মকান্ড নিয়ে জনগনের সামনে যাওয়ার ব্যবস্থা করে রাখেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই কথাটি ভুলে যান বা না বলে সভা-সমাবেশ শেষ কেন? কেন আপনারা বলেন না সেই ৫ জানুয়ারীর বীরদের কথা: যারা জীবন দিয়েছিল, পঙ্গু হয়েছিল, সমর্থন দিয়েছিল, জীবন বাজি রেখে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছিল এবং তৎপরবর্তী সময়ে সরকারের সকল তৎপরতায় পাশে থেকে আজকের অবস্থানে আসতে সহায়তা করেছিল। এখন সমর্থক এবং কর্মীর অভাব নেই কিন্তু সেদিন তারা কোথায় ছিল? প্রবাদ বলে “সুসময়ে বন্ধ বটে কিন্তু অসময়ে (হায় হায়) কেউ নেই”। সেই অসময়ের বন্ধুদের খোজ করুন এবং মুল্যায়ন দিন। নতুবা জাতি নিরুৎসাহিত হবে। সেই লোকদের প্রত্যেকের ঠিকানায় চিঠি পাঠান যেমনিরূপে বঙ্গবন্ধু চিঠি দিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় তাঁর কৃতজ্ঞতা এবং পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল। আজও সেই কাজটি অতিব প্রয়োজনীয়।
স্বাধীনতার বিরোধী চক্ররা থেমে নেই যা জাতি দিনে দিনে টের পেয়েছে। আগুন সন্ত্রাস, গাড়ি, গরু, পশু-পাখি, খাদ্য-দ্রব্য, জাতীয় সম্পদসহ নানাবিধ ক্ষতি সাধন করে দেশকে পিছিয়ে দেয়া এমনকি কঠিন সংগ্রামের মধ্যে জন্ম নেয়া উন্নয়নের গতিবাহক ডিজিটাল সরকার হটানোর নাবাবিধ পরিকল্পনামাফিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে মদদ দিচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শত্রুমহল। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও বিরোধীতা করেছিল। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো তাদের সেই পরিকল্পনা এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড আজ আর কাজে আসছে না কারণ জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। কতিপয় দুস্কিতিকারীর দুষ্ট বুদ্ধির সঙ্গে নেই কারণ সকল অপকর্ম আজ প্রকাশিত। এই ডিজিটাল যুগে গোপন রাখার কোন সুযোগ নেই, জাতিকে অন্ধকারে রাখার দিন শেষ। তারপরও সেই ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই বিদেশে বসে দেশে ঘুমের ঘুরে ক্ষমতার লোভে এহেন লজ্জার এবং ঘৃনার সকল কাজ পরিচালনা শেষে ফন্দি আটে বিদেশী হত্যার এবং হত্যা করে ক্ষমতায় বসার ইচ্ছাও জাতির সামনে পোষণ করেছিল। কিন্তু দুভাগ্য সেই আশার কারণ জাতী ঐক্যবদ্ধভাবে সেই ষড়যন্ত্রের জাল সমুলে উটপাটন করে ফেলেছে। এখন আর শেখ হাসিনা একা নয়। সারা বাংলাদেশের মানুষ এই মহিয়সী নারীর পরিকল্পনা এবং আত্মার আত্মীয় এমনকি নাড়ির সঙ্গে যুক্ত। তাই নতুন পরিকল্পনা আবার সেই ম্যাজিক এবং যার জন্য এই বাংলাদেশের উন্নয়ন জাগরণ সেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনের উন্নয়ন বাহক আমাদের আত্মায় আত্মীয় উন্নয়ন সুতিকাগার শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনায় লিপ্ত তাও কিন্তু আজ প্রকাশিত। আরেকটি কথা বলি ‘রাখে আল্লা মারে কে’? সত্যের নৌকা সাতবার ডুবলেও আবার পরক্ষনেই ভেসে উঠে কিন্তু মিথ্যর পাল্লা বা যা দিয়ে আবরিতই হোক না কেন তা কিন্তু ডুবলে আর ভাসে না। তাই সময় শেষে শেষ কামর বা মরন কামর দেয়ার চেষ্টায় বিভিন্ন লেবাস ধারণ করে যোকের মত আমাদের সঙ্গে লেগে থেকে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সফল না হলেও আমাদের গতীকে বাকে বাকে বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐসকল নরপশু ও কিটদের এখনই সময় সমুলে উতপাটন করে দেশকে নিস্কন্টক বেহেস্তি আভায় প্রশান্তিতে ভরে তুলার।
আন্তর্জাতিক চক্রান্তের আরো বিফলতা হলো বর্তমানে আমেরীকার নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে বাংলাদেশের গরিবের টাকা পাঠানো হয়েছিল হিলারীর নির্বাচনী তহবিলের জন্য এবং ঐ টাকা ব্যায় হয়েছিল ভোটের রাজনীতি এবং বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের জন্য। স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার এই দেশে থেকেই আমেরীকার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েওছিল। কিন্তু তাও আবার হিতে বিপরীত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছেন আর যার মাধ্যমে কলকাঠি নাড়ছিল সেই ভেজা বিড়াল শয়তানটা আমেরীকা ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং শয়তানির শেষ বুঝতে পেরে গ্রামীন ব্যাংক ছেড়ে এখন গুলশানে গিয়ে উঠেছে। এই অর্থলোভী শয়তান দেশের জন্যতো কিছুই করেনি বরং দেশ বিক্রি করেছে এমনকি গরীবের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। যখনই তিনি গুলশান গেলেন তখন শুরু হলো নতুন আঙ্গিকে নতুন ষড়যন্ত্র। আমার দাবি এই শয়তানকে কড়া নজড়দারিতে রাখা হউক। নতুন এই কুটনৈতিক পাড়ায় বসে আবার কি না করে বসে। দুই ষড়যন্ত্রকারীই এখন পাশাপাশি বসবাস করে। গুলশান ডি সি সি মার্কেটের আগুনের সঙ্গে ঐ দুষ্ট চক্রের কোন যোগ সাজস আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাই। আমরা যা ধারাবাহিকভাবে পত্রিকায় প্রকাশ করেছি বিগত বছরগুলোতে সেগুলো আমলে নিয়ে কাজ করুন। ২০৪১ পর্যন্ত আমাদেরকে যেতে হবে এবং এই শয়তান রূপী মানুষগুলোকে চিহ্নিত করে সারা বাংলাদেশে তাদের ছবি টাঙ্গিয়ে কৃতকর্মের সালতামামি দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে হবে। যাতে মানুষ ঐসকল নরপশু শয়তান মানুষদের বংশপরম্পরাই শুধু ধিক্কার ও ঘৃনাই প্রকাশ করে এমনকি জনরোশে বংশ নিপাত করে ফেলে।
এবার আসি আশার কথায় ’১৭ আমাদের অহৎকার এবং অঙ্গিকার। আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে এবং আমাদের রিপোর্টারদের গবেষণামূলক মতামত পেয়ে আশায় বুক বেধেছি। উন্নয়ন এবং জনগণ এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়। জনগণ আর উন্নয়ন একসঙ্গে যুক্ত এবং উন্নয়ন শুধু শহর কেন্দ্রীক বা যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সিমাবদ্ধ নয়। বরং উন্নয় সার্বজনীন এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এবং শহরের যোগসূত্র মিলে দেশে উন্নয়ন গতী দ্রুত লয়ে এগুচ্ছে। সেইদিন আর বেশি দুরে নয় যেদিন বাংলাদেশ হবে এশিয়ার রাজা। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, স্থীতিশিলতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ৫টি মৌলিক চাহিদার শতভাগ নিশ্চয়তা সব মিলিয়ে এশিয়ান আমেরীকা হবে এই বাংলাদেশ। এই দেশেই কর্মসংস্থান, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, খাদ্যসহ সকল নিশ্চয়তা এবং উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্বের অনগ্রসর জাতির জন্য প্রয়োজনীয় যোগান নির্ভর বঙ্গবন্ধুর স্বর্প্নের সোনার বাংলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানে যে সরকার এসেছিল দেশবাসির আশির্বাদস্বরূপ তারা তাদের কথা রেখেছে এবং আগামী দিনে দেশবাসী তাদের কথা রাখবে। নতুন আলোয় উদ্ভাসীত হউক আমাদের চলার পথ। নতুন বাংলাদেশকে জানুক এবং চিনুক পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ। বাংলাদেশের চেতনার এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাক পৃথিবী এই হউক আমাদের আগামীর অঙ্গিকার।