তাজুল ইসলাম॥ গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? আইভি রহমানকে হত্যা করেছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? পাঁচ কিলোমিটার হাঁটার পরেও শেখ হাসিনাকে সিএমএইচ এ প্রবেশ করতে দেননি। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল ? বোমা মেরে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? শাহ এম এস কিবরিয়াকে হত্যা করেছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? রাজপথে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর পুলিশ দিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছলি ? পার্টি অফিসের ভেতর নারীপুরুষ নির্বিশেষে সকল নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে পিটিয়েছেন। তখন কি দেশে গণতন্ত্র ছিল?
শেখ হাসিনার বক্তব্য রেকর্ড করায় সাংবাদিকদের কাছ থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিয়েছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? শব্দ-দূষণ হবে – এই অজুহাতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে মাইক ব্যবহার করতে দেননি। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? ক্ষমতায় বসেই একুশে টিভিকে বন্ধ করেছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল ?
সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ূন কবিরদরকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল? সংখ্যালঘু প্রতিটি গোষ্ঠীর উপর পাকিস্তানি কায়দায় নির্যাতন করেছেন। তখন কি দেশে গণতন্ত্র ছিল? সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে রিপোর্ট করায় শাহরিয়ার কবিরদেরকে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন। তখন কি দেশে গনতন্ত্র ছিল?
তবে আজ দেশে কোনো গনতন্ত্র নেই। হাহাকার পড়ে গেছে পল্টন আর গুলশান এলাকায়। যারা গনতন্ত্ররে জন্য কেঁেদকেটে চোখ ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদেরকে একটু অতীত মনে করার অনুরোধ রইলো। আর এভাবে গণতন্ত্রের জন্য প্রভুদের হাত-পা না ধরে বরং মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে শুধরানোর কথা বলুন এবং আগামী দিনের একন শুধরানো মানুষ হিসেবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। তাহলে গণতন্ত্রের মর্মার্থ বুঝবেন এবং আগামী দিনে মানুষের কাছে গিয়ে আবার মানব সেবায় নিয়োজিত হতে পারবেন। নতুবা আপনাদের এই ছলনাময়ী কান্না কারো কানে পৌঁছবে না বরং আরো বিপদের পথে আপনাদেরকে নিয়ে যাবে। এখনই সময় নিজেদেরকে প্রমান করার।