ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধায় কসবার কুটিতে ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব মন্দিরের শতবছরের মহোৎসবকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশংকায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে সকল প্রকার সমাবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। মন্দির আঙ্গিনাসহ পুরো কুটি বাজারে পুলিশ প্রহরায় রয়েছে।
প্রকাশ গত দুবছর যাবত মন্দির কমিটি নিয়ে বিদ্যমান বিরোধের জের ধরে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দ জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক উভয় পক্ষকে মিলেমিশে উৎসব করার নির্দেশ দিলেও বর্তমানে বিতর্কিত কমিটিসহ কুটির সমির সাহা, কৃষ্ণ পদ সাহা, কিংকর ঘোষ, মনিন্দ্র ঘোষ ও মাদক ঘোষ নামক কতিপয় ব্যক্তি নিজেরাই ৩২ প্রহর ব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন মহাযজ্ঞের আয়োজন করে। তারা গত শুক্রবার ( ৬ জানুয়ারি) সন্ধায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুটি বাজারের অর্থ আত্মসাৎকারী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অতিথি করলে বিরোধ চরম পর্যায়ে যায়। ফলে মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি মন্তোষ সাহা ও সুজিত রায়ের নেতৃত্বে শত শত হিন্দু ব্যবসায়ী গতকাল শনিবার সন্ধায় মন্তোষ সাহার বাড়িতে প্রতিবাদ সভায় আয়োজন করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে সকল প্রকার সমাবেশ নিষিদ্ধ করেন।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান বর্তমানে বিতর্কিত কমিটি মাননীয় মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তিকে মন্দিরের অনুষ্ঠানে অতিথি করেছেন। আইনমন্ত্রী চেয়েছিলেন উভয় পক্ষ মিলে মিশে অনুষ্ঠান করবে। অপরদিকে মন্ত্রী আগামী ২৭ জানুয়ারি কসবা এসে উভয় পক্ষকে নিয়ে নতুন কমিটি কওে দেবেন। আয়োজক কমিটির সভাপতি তুলশী পদ সাহার সাথে যোগা যোগ করলে তিনি জানান মন্তোষ সাহা ও সুজিত বাবুরা কেন অনুষ্ঠানে আসেননি তা আমার জানা নেই। আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের আদেশ মতোই অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলো তিনি জানান, মন্দিরের দুইটি কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মতবিরোধ চলে আসছে। তাই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার সার্থে কুটি জগন্নাথদেব মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা সমাবেশসহ সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছেন।