টিআইএন॥ ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘উন্নয়ন মেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিকেল তিনটায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মেলার উদ্বোধন করেন। মেলা উপলক্ষ্যে রোববার বিকেল ৩ টায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক সালাউদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মুজিবর রহমান, অতরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল এ) আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদপুর সার্কেল তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমনা সার্কেল শফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তেজগাও আব্দুল কাদির মিয়া ও জেলা প্রশাসন ঢাকার এনডিসি শরিফুল আলম তানভীর।
‘শেখ হাসিনার দর্শন, সব মানুষের উন্নয়ন’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গঠনে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসাধারণের সামনে এ মেলায় উপস্থাপন করা হবে।
শিল্পকলা একাডেমিতে মেলা প্রাঙ্গনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ৯ জানুয়ারি সকাল ১০টায় অফিসার্স ক্লাব থেকে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত র্যলির আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলায় দেশের সকল মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, অন্যান্য আইনশৃংখলাবাহিনীর পৃথক পৃথক মোট ৮০টি স্টল থাকবে। সব সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে মেলায় আগত লোকদের সামনে তাদের নিজ নিজ সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। সরকারী সংস্থাগুলোর সেবাসমূহ মেলাস্থল হতে সরাসরি প্রদান করা হবে। গত ১২ বছরের অগ্রগতি ও উন্নয়ন চিত্র এতে তুলে ধরা হবে। ২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশের উন্নয়ন হয়েছে অনেক। সবাই এই উন্নয়নের অংশ। এই অর্জন সবার। এই উন্নয়নকে তুলে ধরতে আয়োজন করা হচ্ছে উন্নয়ন মেলা।
তিন দিনব্যাপী মেলায় থাকবে আলোচনা সভা। তা ছাড়া সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানাদিক তুলে ধরা হবে। দেশ বরেণ্য শিল্পী কলাকুশলীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে মেলা চলাকালীন প্রত্যেকদিন বিকেলে। আয়োজন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কুইজ, আলোচনা, বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রায়ন প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি, সবার জন্য বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ। মেলায় এ বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।