নয়ন॥ খালেদা হঠাৎ একদিন উপুস্থিত হন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীতে। শেখ হাসিনা প্রথমে তাকে দেখে চিনতে পারেনি। পরিচয় পেয়ে বসতে বললেন, নিজের হাতে চা বানিয়ে তাকে দিতেই জিজ্ঞেস করলেন, কি মনে করে আসলেন? তখন খালেদার মূখে শুধু হতাশার ছাপ লেগে আছে। ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বললেন, আমি বেশ কয়েকদিন থেকেই বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা করে আসছি, অবশেষে তোফায়েল ভাইয়ের দয়ায় আজকে সাক্ষাতের সুযোগটি পেয়েছি। ওনার সাথে আমার অনেক কথা আছে।
কথাগুলো বলতে না বলতেই বঙ্গবন্ধু নেমে আসলেন। খালেদা দৌড়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামনে মিনতির সহিত বললেন, আমি আপনার মেয়ে সমতূল্য, আপনি আমাকে বাঁচান। বঙ্গবন্ধু তার সমস্ত কথা শুনে পরবর্তীতে জিয়াসহ দু’জনকে একসাথে তাঁর বাসায় ডাকলেন। বঙ্গবন্ধু জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন দেখ, খালেদা আমার মেয়ের মত। পাক বাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তুমি যদি আজ খালেদাকে গ্রহন করতে অস্বিকৃতি জানাও!! তাহলে আমার দেশের ইজ্জত হারা দু’লাখ মা-বোন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আমি তোমাকে আদেশ করছি তুমি খালেদাকে গ্রহন করে নাও। তারপর খালেদা আবেগ প্রবন হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বঙ্গবন্ধুকে বললেন, আপনার উপকারের এই ঋন আমি কখনও শোধ করিতে পারিবোনা।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ আমরা দেখতেছি খালেদা সেই মহান মানুষটির মৃত্যু দিবসে ভুয়া জন্ম দিন পালন করে কিভাবে সেই ঋন শোধ দিচ্ছে। আর তার ছেলে তারেক বিদেশে বসে কিছুদিন পরপর বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে অপপ্রচার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়!!