আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ ব্যথায় তখন মরো-মরো অবস্থা নেহার। ডাক্তাররা দেরি না করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ডাক্তারদের ধারণাই ছিল না, নেহার পেটের মধ্যে কী বাসা বেঁধে রয়েছে। উত্তর প্রদেশের চন্দৌলি জেলার বাসিন্দা নেহা বেগমের পেটে বিগত প্রায় মাস খানেক ধরে অসহনীয় ব্যথা হচ্ছিল। একাধিক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন, কিন্তু ডাক্তাররা সাধারণ পেটে ব্যথার ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিতেন ২২ বছরের এই তরুণীকে। সেই ওষুধে ব্যথা কমত না। দিন কয়েক আগে ব্যথা একেবারে চরমে ওঠায় নেহার আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে কে জি নন্দা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে ডাক্তাররা তাঁর অন্ত্রে কোনও একটি ভারি পদার্থের অস্তিত্ব টের পান। এ দিকে ব্যথায় তখন মরো-মরো অবস্থা নেহার। ডাক্তাররা দেরি না করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু ডাক্তারদের ধারণাই ছিল না, নেহার পেটের মধ্যে কী বাসা বেধে রয়েছে। অপারেশন কিছু দূর এগনোর পরেই তাঁরা দেখতে পান, নেহার পেটের মধ্যে কিলবিল করছে অজস্র কৃমি। জীবন্ত কৃমিগুলিকে একটি একটি করে বার করে আনা হয়। সব মিলিয়ে ১৫০টি কৃমি উদ্ধার হয় নেহার পেট থেকে। হাসপাতালের ডাক্তার আনন্দপ্রকাশ তিওয়ারি এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কেসটা বড়ই বিচিত্র ছিল। এর আগে কোনও কোনও রোগীর পেট থেকে ৩-৪টে কৃমি উদ্ধার হওয়ার ঘটনা দেখেছি। কিন্তু এক জন মানুষের পেটে যে ১৫০টি জীবন্ত কৃমি বাসা বেধে থাকতে পারে, তা আমার কল্পনারও অতীত।’ ডাক্তাররা বলছেন, এই কৃমি যদি বার করা না হতো, তা হলে দু’-একটি কৃমি নেহার মস্তিষ্কেও পৌঁছে যেতে পারত। তার ফল হতো মারাত্মক। এমনকী, মৃত্যুরও সম্ভাবনা ছিল।
আপাতত অপারেশনের পরে নেহা সুস্থই আছেন। তাঁর যে বড় একটা ফাঁড়া যে কেটে গিয়েছে, তা ভালই বুঝতে পারছেন তিনি। কিন্তু এতগুলি কৃমি নেহার পেটে গেল কী করে? এর সদুত্তর নেহার নিজের কাছেও নেই। তবে ডাক্তাররা বলছেন, এই ধরনের কৃমি সাধারণত শাকসবজির মধ্যে লুকিয়ে থাকে। ভাল ভাবে না ধুয়ে সবজি খেলে, তার সঙ্গে কৃমিরাও পেটে চলে যায়, এবং শরীরের ভিতরেই বসবাস শুরু করে।। সবজি না ধুয়ে খাওয়ার বদভ্যাস ছিল নেহারও। সম্ভবত তা থেকেই এই বিপত্তি।