ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি (ফলোআপ রিপোর্ট)॥ কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের ফরিদ কবিরাজকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ ব্যাপারে নিহত কবিরাজের স্ত্রী বিউটি আক্তার বাদী হয়ে একই গ্রামের সুলতান আহাম্মদের পুত্র হুমায়ুন কবির (৫০), হুমায়ুন কবিরের পুত্র জাহাংগীর (৩৫), মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র বাচ্চু মিয়া(৫৫) এবং আবু তাহেরের পুত্র রুহল আমিন(২০) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ফরিদ কবিরাজের মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গ্রাম্য কবিরাজ ফরিদ মিয়া (৫০)কে গলা কেটে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা। জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে হুরন মিয়ার পুত্র ৩ কন্যা সন্তানের জনক মো.ফরিদ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত কবিরাজি পেশায় কাজ করে আসছিলো। তার স্ত্রী বিউটি বেগম বাবার বাড়িতে যায়। এ সুযোগে পুর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে গত শুক্রবার রাতে নিজ ঘরে খুন হয় কবিরাজ ফরিদ মিয়া । জানা যায়; কবিরাজ ফরিদ গত কিছুদিন আগে গ্রামে সুন্দর একটি বাড়ি নির্মান করে । তাছারা চলতি সপ্তাহে গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে আরও সাড়ে ৭ শতক ভূমি ক্রয় করে কবিরাজ। ফলে গ্রামের পাশ্ববর্তী বাড়ির হুমায়ুন কবির চক্র ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠে। তার স্ত্রীর ধারনা ওই চক্রটি পরিকল্পিত ভাবে তার স্বামীকে হত্যা করেছে।
নিহত ফরিদ কবিরাজের স্ত্রী বিউটি বেগম সাংবাদিকদের জানান; গ্রামের একটি চক্র পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।
অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গতকাল রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের জানান, কবিরাজ ফরিদ হত্যা মামলার প্রকৃত অপরাধীদের কে খুজে বের করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।