মহান এই ভাষার মাসে আমরা হৃদয়ের ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ২১ ফেব্রুয়ারী দিনটিতে। যাকে অতি কথিত এবং স্বীকৃত হিসেব বলা যায় ৮ই ফালগুন দিবস হিসেবেও। তারপরও বলব এখন ২১শে ফেব্রুয়ারী দিবসটি আর আমাদের মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই বরং আন্তর্জাতিক মার্তৃভাসা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। তাই সারা পৃথিবীতেই আমাদের এই অহংকার পর্যবসিত হয় বাঙ্গালীর ত্যাগ স্বীকার এবং মায়ের ভাষার অধিকার অদায়ের দিন হিসেবে। বাঙ্গালী এই দিনে নতুন করে আগামী এক বছরের জন্য শপথ নেয়। এই শপথ নেয়াতেও এখন ঘটে নানাহ বিপত্তি। জ্ঞানহীন এবং অবজ্ঞার ও লজ্জার কান্ড। অহরহ-ই ঐদিন চোখে পড়ে অপ্রত্যাশিত এবং অসামঞ্জস্য ও বেমানান কান্ড। যেমন প্রভাত ফেরি শুরু হয় দিনের বেলায় এবং জুতা পায়ে এটা অগ্রহনযোগ্য; মজার ব্যাপার হলো আমাদের দেশের বরেন্য রাজনৈতিক নেতা ও নেত্রীদের অজ্ঞতাও চোখে পড়ার ঘটনা আজ প্রকাশিত। কি দু:খজনক কান্ডই না ঘটাইলো এই দুর্যোগ সৃষ্টিকারী নারী এবং তার অনুসারীরা। গত কয়েক বছর শহীদ বেদীতে না এসেই ভালো করেছিলো কিন্ত এসে যা করলো তা আবার বলার কোন ভাষা নেই। শহীদদের অপমান ছাড়া আর কি? তবে তাদের দ্বারা এরচেয়ে ভালো আর কি হতে পারে। কথায় আছে সৎ সঙ্গে সর্গবাস আর অসৎসঙ্গে সর্বনাশ। হয়েছেও তাই। একজন কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের সঙ্গে চলতে চলতে আমাদের জ্ঞানপাপীরাও আজ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে মাত্র। এই জ্ঞানপাপিদের মিথ্যা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন কথার ফুলঝুড়ি থেকে সাবধান!
এই কান্ডজ্ঞানহীনদের কথাবার্তায় এবং আচরণে আজ সচেতন ও দেশপ্রেমিক মানুষগুলো ত্যাক্ত- বিরক্ত। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ ঐ জ্ঞানপাপী ও মিথ্যুক নিলজ্জদের কথায় এখন বিশ্বাস করে নিজেদেরকে অসম্মানীত করে যাচ্ছেন। সময় ও সুযোগ এখনই ফিরে আসুন সত্য সুন্দর এবং আলোকীত সমাজে। এইতো সেই আলোচিত কানাডার আদালতের মাধ্যমের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি এবং প্রমানিত হলো তাদের সন্ত্রাসী চরিত্রের। পুরো দলটিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করেছে যে আদালত; সেখানে নিলজ্জতা ঢাকার কোন সুযোগ নেই। বরং স্বীকার করে আগামীর জন্য সকল ভুল পথ থেকে সড়ে আসার ঘোষনাটাই আশু কাম্য। কিন্তু কি দেখা গেল সত্যকে আড়াল করার নতুন গলাবাজি, হুমকি-ধমকি। কার বিরুদ্ধে হুমকি ও ধমকি। যারা কিনা নিজ দেশে কিছু করার মুরদ নেই তারা কিনা উন্নত ও সমৃদ্দিশালী দেশ কানাডার বিরুদ্ধে হুমকি দেয়! এটা যে কত বড় আহাম্মকী তা কিন্তু আমাদের সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটিও জানে। রাস্তাঘাটে, প্রেস কনফারেন্স এমনকি ঘরোয়া সভায় যে কথাগুলি বলে যাচ্ছে তা কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের হাসির হোড়াকেও পরিণত হয়ে পারছে না। কি দুভার্গ্যই না তাদের… দিন দিন তাদেরকে অন্ধকারের তলানীতে থাকা আরো পাকাপোক্ত হচ্ছে।
যে অপকর্মগুলো তারা বিগত দিনে করেছে সেই অপকর্মের ফসল এখন তারা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে ঘরে তুলে তাদের ষলাকলা পূর্ন করছে মাত্র। আজ আমি পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার ভাইয়ের পোষ্ট পড়ে জানতে পারলাম জনাব ফকরুল তার মতিভ্রম হওয়া বুলি থেকে বলতে চাচ্ছে কানাডার আদালতের রায় দেখেননি এবং যা শুনেছেন তা একজন বিএনপি নেতার মামলার রায় এতে তাদের দলের কোন সমস্যা না। আমার মনে পড়ে গ্রামের মুরুব্বীর কথা…. যা শুনতে দৃষ্টিকটু তারপরও বলতে চাই ( জুতায় ঘু মেখে গালে জুতা পেটা করবো); ছেলের অপরাধে বাবা গলায় গামছা বেধে গ্রাম প্রদক্ষিণ। সব শেষে ছেলে বলে আমার বাবার গলায় গামছা বেধেছে আমার গলায়তো না। অপমান হয়েছে বাবা; আমিতো না। ঘু মেখে জুতা মারার কথা বলেছে কিন্তু জুতাতো আর মারে নি। এইতো আমাদের জ্ঞানপাপি অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষদের অবস্থা।
তিনি আবার বলেছেন তারা নির্বাচনমুখী দল। তারা নির্বাচনে যাবেই। এই কথা কি তাদের মুখে মানায়! গত নির্বাচনে তারা কি করেছিল এবং নির্বাচনের পরের বছর তাদের কৃতকর্মগুলি কি ছিল তা কি তারা ভুলে গিয়েছে? না ভুলেনি এই ধরনের মিথ্যা বলাই তাদের চরিত্রের বহিপ্রকাশ। আর এই করণেই বিগত দিনগুলির কৃতকর্ম আজ তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এবং দেশীয় সংস্কৃতিতে তাদের সম্পর্কে যুক্ত হয়েছে মিথ্যা, অন্ধকারাচ্ছন্ন, জ্ঞানপাপির তলানীতে থাকা মানুন হিসেবে। জনাব ফখরুলকে বলতে হবে কেন এখন তারা নির্বাচন মুখী হয়েছেন। কারন একটা আগামী নির্বাচনে তারা না গেলে দল হিসেবে তাদের বিলুপ্তি ঘটবে। আইন এবং জনগণ এই দুই দিক থেকেই। এই বাধ্যবাধকতার কারণে এখন হ্যা বা না এই ধরনের ভোট হলেও অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক। বাস্তবতার মুখোমুখি হউন এবং সত্যকে গ্রহন করে সত্য কথা বলে এগিয়ে আসুন তাহলে হয়তবা ডুবু ডুবু ভাব নিয়ে চলতে পারবেন। আমার বিগত লিখায় ছিল কিভাবে বের হয়ে আসতে পারেন সেই পরামর্শ এখনও বলছি। শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন এবং তার ডিজিটাল ফর্মুলার সঙ্গে যুক্ত হউন তাহলে হয়ত দেশীয় ভাবধারায় এগিয়ে আসতে পারেন সম্মানের স্থানে। শেখ হাসিনা ছাড়া এখন আপনাদের আর কোন সুযোগ নেই। হাসিনার আদর্শ, দিক্ষা এবং শিক্ষাই আপনাদেরকে রাস্তা দেখাতে পারে।
শেখ হাসিনার উন্নয়ন এবং দেখানে পথেই এই জাতির মুক্তি এবং এই মুক্তির সোপান বহন, ধারন ও লালল করা এই দেশের সকল নাগরিকের দৈনিক কর্তব্য। তবে কথা থেকে যায় যারা এই জোয়ারের সঙ্গে থেকেও জোয়ারে বাটার কাজটুকু করছেন তাদেরকে বলছি… আপনাদের থেকে কিন্তু ঐ জ্ঞানপাপী অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষগুলো অনেক ভালো। আপনারা সাবধান হউন এবং স্বচ্ছ কাচের মত নিজেদেরকে পরিস্কার করুন নতুবা সাইক্লোন বা টর্নেডো আপানাদের জীবনে এবং কর্মে আশু পরিলক্ষিত হবে।
পরিশেষে জ্ঞানহীনতার অবসান চাই। জ্ঞানহীন স্বীকৃতি আর নয় বরং এই দেশের কল্যানের তরে জ্ঞান এবং কঠোর পরিশ্রম এমনকি এর বাস্তবায়ন চাই আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে। এই দেশের সকল স্তরের মানুষ এক হয়ে… কোন ভেদাভেদে বিভক্ত না হয়ে। এই হউক আমাদের আগামীর শুভ উত্তরণ।