টিআইএন॥ অচেনা লোকের হাত ধরে, স্বপ্নে বিভোর হয়ে, সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিল কল্পনা। স্থানীয় দালালের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাওয়া কল্পনাকে অবশেষে, উদ্ধার করে ৬দিনের মাথায়, তার বাবা এবাদ আলীর হাতে তুলে দিতে পেরেছি। বিদেশে বড় অংকের বেতন পাবার স্বপ্ন দেখিয়ে, স্থানীয় দালালের ক্ষপ্পড়ে পরে, নবীগঞ্জ গজনাইপুরের কল্পনা বিবি গত ২মাস যাবৎ চরম বিপদে, ঠিক সেই সময় গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী রাতে আমার হবিগঞ্জ কার্যালয়ে এসে, কল্পনার বাবা মা সন্তান হারানোর বেদনায় যে, আকুতি প্রকাশ করেছিলেন। আজ তার পরিসমাপ্ত ঘটলো। সৌদি আরবে হারিয়ে যাওয়া কল্পনাকে মাত্র ৬দিনের মাথায়, দেশে ফিরিয়ে এনে তার পিতা মাতার হাতে তুলে দিতে পারলাম। সত্যিই আজ আমি ভীষন আনন্দিত।
কল্পনা যখন যমঘরে নির্মমতার শিকার, ঠিক তখন তারা বাবা মার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে, আমি যোগাযোগ করা শুরু করি। এরসাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে এগিয়ে আসে, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়। এ বিষয়ে মহান জাতীয় সংসদে ৩০১ বিধিতে কথা বললে মাননীয় স্পীকারের দৃষ্টি আকষন করি। অবশেষে, শেখ হাসিনা সরাকরের সৌদি আরব দুতাবাস কল্পনাকে উদ্ধার করে, তাকে দেশে ফেরত পাঠাবার ব্যবস্থা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীন সিআইডি বিভাগ এ বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির এমডিকে গেপ্তার করে যে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে ।
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আপনার বলিষ্ট নেতৃত্বে, হাওরের এক মৎসজীবির অসহায় মেয়েকে; পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার করতে পেরেছি বলে। ধন্যবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও প্রতিমন্ত্রীকে। ধন্যবাদ মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়কে। ধন্যবাদ মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সিআইডি ও হবিগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনকে। সব্বোপরী ধন্যবাদ জানাই, মাননীয় স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার মহোদয়কে, যারা মহান সংসদে এ বিষয়ে আমাকে কথা বলার সুযোগ দিয়ে সকলকে অবগত করবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন । অবশেষে বলতে চাই, আসুন আমরা সবাই সচেতন হয়, টাকার লোভ দেখিয়ে কেউ যেন আমাদের দরিদ্র পরিবারের কোন সন্তানকে দালাল চক্র বিপদগামী না করে । অচেনার হাত ধরে, মিথ্যার স্বপ্ন গড়ে কোন দালাল যেন আমাদের ভাই-বোনদের ক্ষতি করতে না পারে । আল্লাহ পাক কল্পনার জীবনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলুন । আমাদের সবাইকে সৎ পথ দেখান ।