হাছান মাহমুদ॥ “উপর দিকে থুথু ছুঁড়তে চান?-লাভ নেই, শেষে নিজের গায়েই পড়বে”। “যে যখন কাছে যাবে তার কাছেই ভাল সাজতে চান?- লাভ নেই, একসময় মানুষ চালাকি বুঝে যাবে”।” শিষ্টতাকে দূর্বলতা মনে করতে চান?-লাভ হবেনা,উল্টো নিজেকেই তুচ্ছ হতে হবে”। “চতুরদের ও দালালদের চাটুকারিতামূলক কথায় বিশ্বাস করে ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে ও বলতে চান?-লাভ হবেনা, তীব্র তোপের মুখে নিজের অবস্থান হারাতে হবে”।
“অতিরিক্ত সন্মান জানানোকে অবহেলা করতে চান? -সুবিধা আদায় করতে পারবেন না, উল্টো বিশ্বাস হারাবেন”। “শুধু নিজের স্বার্থের কথা ভেবে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা করে চলতে চান?- কাজ হবেনা, আপনার অন্ধ বিশ্বাসীদের পক্ষ থেকে আস্থা হারাবেন”। ” আপনাকে দেওয়া মহান দায়িত্ব মেরুদন্ডহীন মানুষের মতো চালিয়ে নিতে চান?-লাভ হবেনা, বরং ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণভাবেই নষ্ট হবে”।
“সবাইকে একপাল্লায় দাঁড় করাতে চান?-লাভ হবেনা, মানুষ আনাড়ি বলবে”। “কারও ক্ষতি করতে চান?- আগে ভেবে দেখবেন, জীবনে কোনোদিন নি:স্বার্থভাবে কারও উপকার করতে পেরেছেন কিনা”। “যে আপনার জন্য চুরি করে তাকেই কি চোর বলে গালি দিবেন?-লাভ হবেনা,বরং ধবংস হবেন.”।
একটা কথা সর্বদা ভুলবেন না, পিঁপড়ার কামড়েও হাতির মতো বৃহৎ প্রাণীও চমকে উঠে এবং গর্তে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারতে ছাড়েনা। কাজেই নিজেকে বেশি বড় না ভেবে সবারই উচিত সংযতভাবে আচরণ করা এবং সাবধান থাকা, কেননা অন্যায় আচরণ সহ্য করতে করতে দেয়ালে যদি কারো পিঠ ঠেকে যায় তাহলে পরিনাম ভয়াবহ হতে বাধ্য। সুতরাং, আমাদের সকলেরই উচিৎ নীতিবানদেরকে সন্মান দিতে শেখা।
উপমহাদেশ এর অন্যতম একজন দেশপ্রেমিক সফল নেত্রী যিনি দ্ব্যর্থ কন্ঠে বলেন সবকিছু হারিয়ে ক্ষোভ আর ঘৃনা কে রক্তচক্ষু দেখিয়ে – “আমার কেউ নেই, আপনারাই আমার পরিবার”। অন্যদিকে, খালেদার শনির দশা চলবেই, আর তার এই শনির দশা কাটতে পারে আওয়ামী নেতা কর্মীদের ভুল পথে চলার খেসারতেই তাই বারবার বলছি সাধু সাবধান।। বেগম জিয়া বিদেশী কুটনৈতিকদের সাথে ইদানীং সিরিজ বৈঠক করছেন আগামী সাধারন নির্বাচন ও আসন্ন কারাবাস নিয়ে,,, তবে বিএনপির ভাগ্যই নয় শুধু আগামী জাতীয় নির্বাচন এ যেমন খালেদা জিয়ার ভাগ্য তেমনি বিএনপির ভাগ্য ও নির্ধারিত হবে এটাই বাস্তবতা।
বিএনপির জ্যোষ্ঠ নেতা যিনি শত কোটি টাকার বাড়ী নিয়ে বেকায়দায় আছেন তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন মামলার রায়ে শা¯িস্ত মানে জেল ফাস হলেও বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তবে সরকারের উপরের মহলের বিভিন্ন আঙ্গিকের বক্তব্যগুলোয় মোটামুটি আচ করা যাচ্ছে বেগম জিয়ার দুঃসময় আসছে তাতে সামনে আর কঠিন আর জটিল রুপ নেবে বিএনপির রাজনীতির তারই ইঙ্গিত বহন করছে।
অন্যদিকে, ভুলে গেলে চলবে না, ইতিহাসের পরতে পরতে সবচেয়ে বেশী অগ্নিপরীক্ষা আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরাই দিয়েছে। আওয়ামীলীগ এর লাখো আদর্শিক নেতা কর্মী দলের কাঠামোতে ঠাই পাচ্ছে না, নেত্বিত্বে উঠে আসতে পারছে না। সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে চিনহিত হলেও দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রভাবশালী মন্ত্রী নেতাদের কাছে তারা গুরুত্বপূর্ণ নহে, তাদের কাছে টাকা, হোন্ডা আর গুন্ডা নেই বলে অনেক সময়ই তাদের কাছে টানা হয় না। দলের মাঠের নেত্রীত্বে তাদের ঠাই হয় না অনেক সময়। শুধুমাত্র এই সকল কারনে আজকে যারা উপহাস করছেন বিএনপি কে নিয়ে ভুলে যাবেন না আগামী তে ক্ষমতায় না থাকতে পারলে এর চেয়ে বেশী বিদ্রুপ আর উপহাস সইতে হবে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে।
শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে গিয়ে উঠলেও তদবিরবাজ, টেন্ডারবাজ আর হাইব্রিডদের দৌড়ত্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অনেকটাই আগ্রাসী রুপ নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতের লুটপাট, শেয়ার কেলেঙ্কারির খলনায়কগন এখনও দড়া ছোয়ার বাইরে। গরীবের কল্যানে রাজনীতিতে আসা এম পি গন কে কতটা বিত্তবান হয়েছে তা যে জানে দেশের মানুষ ভাল করেই।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস লেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামেই। সোহরাওয়ারদী, ভাসানী, ফজলুল হক দের রাজনীতি করে আসা একালের নেতা মন্ত্রীরা কতটা তাদের মত সহজ সরল সাদামাঠা দিনাতিপাত করেন তা তো দেখছেই জাতি। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা হৃদয়ে কতটা রক্তক্ষরণ নিয়ে বেদনার সাথে বলেন – আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী দের কেনা যায়, শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ এর চ্যালেঞ্জ এ জয়ী শেখ হাসিনা অদ্যাবধি যে ভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন যদি তা চলমান থাকে তবে আগামী বাংলাদেশ যে হয়ে উঠবে বিশ্বের দরবারে এক শক্তিশালী অবস্থানের আর উদাহরণ এর তাও যে সময়ই বলবে। তবে ঐ যে কথায় আছে না – “শেষ ভাল যার সব ভালই যে তার”। দেখা যাক – শেষ টা কার ভাল যায়,,,,,, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,, জয়তু জননেত্রী শেখ হাসিনা।।। ডাঃ হাসান মাহমুদ মামুন ; বঙ্গবন্ধুর সৈনিক।