ডিজিটাল বাংলাদেশ এর রূপকার সজিব ওয়াজেদ জয় এবং এর সফল বাস্তবায়নকারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া শেখ হাসিনার দূরদর্শী আপোষহীন নেতৃত্বের ফসল আজ বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। গণভবনে বসে একযোগে সারা দেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়াসহ বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্স জরুরী কাজ সম্পন্ন এবং প্রকল্প উদ্ভোধন। এইসব কি আজ থেকে ৯-১০ বছর আগে কল্পনা করা যেত? সরকারী অফিস আদালত স্কুল কলেজ সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল ফরমেশনে কাজ চলছে। দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হচ্ছে কাজের পরিধি। রাজশাহী বসে ঢাকার অফিসে ফাইল সাইন করা এমনকি আমেরীকায় বসে ঢাকার অফিসে ফাইল সাইনই কি প্রমান করে না ডিজিটাল গতির সঞ্চালনায় আজ আমরা কতো উন্নত হয়েছি। আমাদের আগামীর পথচলা কত নি:কলুষ হবে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার যাবতীয় তথ্যাদি এক টোকাতেই চলে আসবে চোখের সামনে; এবার আপনি পৃথিবীর যেখানেই থাকুন। স্মার্টকার্ড বিতরণের মাধ্যমে সরকার দেখিয়েছে আরেকটি উন্নততর অর্জন। যা বাঙ্গালী জাতিকে করেছে উন্নত বিশ্বের আদলে জীবন যাপন করার একটি উন্নত পর্যায়ের ধাপ অতিক্রমের ছাপ মাত্র।
১৯৭১ এর সেই অগ্নিঝরা মার্চ আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছিল স্বাধীনতা এবং স্বপ্ন বোনার ও ইতিহাস রচনার। আমাদের এই বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ এর ইতিহাস রচিত হয়েছিল স্বর্ণাক্ষরে কিন্তু সেই ইতিহাসে যারা ছেদ ঘটিয়েছিল এমনকি ইতিহাস বিকৃত করে দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে গিয়ে মেধাশুন্য করার শেষবিন্দু চেষ্টা চালিয়েছিল আজ তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। এখন তারা পাগলের প্রলাপ বকে যাচ্ছে। এই পাগলের প্রলাপ বকে যাওয়ার মধ্যে একশ্রেণীর বুদ্ধিবেশ্যা রয়েছেন যারা এখনও বহু অঙ্গিকে তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই দেশটাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু যুগের চাহিদা এবং উন্নয়নের গতি আর বাস্তবায়নের আন্তরিকতার সঙ্গে সরকারের সদিচ্ছা ও চৌকস দুরদর্শী পরিকল্পনা এখন ঐ মতিভ্রম বুদ্ধিবেশ্যাদের শলাকলা পুর্নহতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও কি তারা থেকে আছে; না থেমে নেই নিরবে তাদের শয়তানির চাল চেলে যাচ্ছে। যা আমাদের সর্বসাধারণের দৃষ্টিঘোচর হতে কিছু সময় অতিবাহিত হয়। কিন্তু একটি বিষয় দিবালোকের মত স্পষ্ট যে তাদের ঐ কুটচাল এবং শয়তানির সমস্ত কিছু এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল উদ্ভাবনের ফলে পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে গ্রামের সেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকটির মধ্যেও। এই ডিজিটাল শুধু বাংলাদেশে নয় বরং সমগ্র পৃথিবী এখন একটি দ্রুতলয়ের সেতুবন্ধনে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে খবরটি পৌঁছতে মাত্র সময় নেই কয়েক সেকেন্ড। সুতরাং চক্রান্তকারীগণ সাবধান হউন এবং ফিরে আসুন উন্নয়নের চালিকা শক্তির সমারোহে।
যে বিদ্যুতের অভাবে ঢাকা শহরই অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল সেই বিদ্যুতের ঝলকানি এখন সারা বাংলার আনাচে-কানাচে। আমাদের সরকার প্রধান গর্বিত এবং আতœবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষনা দিয়েছেন একটি ঘরও আর অন্ধকারে থাকবে না। হ্যা বাংলাদেশ খুব অল্পসময়েই এই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চল আলোর প্রজ্জলনে ঝলমল করছে আর বিশভাগ খুব সম্ভবত এই বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। আশার কথা এই নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? হ্যা পারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা যিনি নাকি এই দেশের সকল মানুষকে তাঁর নিজের পরিবারের বন্ধুনে জড়িয়ে সকলের কল্যাণের তরে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করি ওনার জীবনের জন্য এবং দোয়া প্রার্থনা করি যেন ওনি দীর্ঘজীবি হউন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সকল শুভ ইচ্ছাগুলি যেন বাস্তবরূপ দিয়ে এবং দীর্ঘস্থায়ীত্বের ভিত্তি দিয়ে যেতে পারেন ওনার জীবদ্দশায়। বঙ্গবন্ধু একবারই জন্মেছিলেন এবং তাঁর কন্যাও একবারই এসেছেন আমাদের কান্ডারী হয়ে দুর্দশাগ্রস্ত জাতীর হাল ধরতে। আর এই সুযোগটুকু পেয়েছেন অনেক চড়াই – উৎরাই পার হয়ে বঙ্গবন্ধুর তীরদানের পর দীর্ঘ ২১বছর অধ্যবসায় করে। আর সেই থেকে তিনি তাঁর সর্বস্ব উজার করে এই জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন এবং জাতিকে এই পর্যন্ত যা দিয়েছেন তা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আর কেউ দিতে পারেনি।
সবিনয়ে বলতে চাই আমাদের কান্ডারী এবং যোগ্য অভিবাবকের কাছে সদ্য ঘোষিত গ্যাস এর দাম বৃদ্ধি এবং আগামীর বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি নিয়ে। যদি আপনি মনে করেন এই মুহুর্ত্বে দাম বৃদ্ধি যৌক্তিক এবং প্রয়োজন ও সাধারণ শ্রেণী -পেশার মানুষ প্রস্তুত তাহলে বৃদ্দি করুন। যদি আপনার মনে বিন্দু মাত্র সংশয় এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের কষ্ট লাগবের স্থলে কষ্ট বৃদ্দি পাবে সেই ক্ষেত্রে আপনার উদারতার মাধ্যমে সেই রেগুলেটরি কমিটিকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ সমগ্র দেশবাসীই আপনার পরিবারের অংশ। হাতের পাঁচটি আঙ্গুল যেমন সমান নয় পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য এর আয় এবং ব্যায় ও সমান নয়। শ্রেণীভেদে কিছু করার থাকলে সেটিও করুন। বেসরকারী এবং দৈনিক মজুরদের একটু আপনার ছায়াতলে রাখুন। নতুবা নতুন উচ্চস্তরের উুঁচু চোখের বড় মানুষগুলো যাতাকলে পৃষ্ট হয়ে আপনার নিরিহ এবং নিরব ভোটের মাথাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।
বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কার করে যাচ্ছেন দ্রুত লয়ে আর এই সংস্কার অতিব জরুরী কারন পৃথিবীর দ্রুত লয়ের সঙ্গে তাল মিলাতে প্রয়োজন আমাদের মনেরও সংস্কার। এই সংস্কার এর সঙ্গে যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সম্মিলন ঘটানো যায় এবং যে জঞ্জালগুলো আমাদেরকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তা চিহ্নিত করে সংস্কারে হাত দিলে ভাল বৈকি মন্দ নয়। যানজট একটি ব্যাধি এই ব্যধির সংস্কার কল্পে নেয়া পদক্ষেপগুলে যথোপযুক্ত। পাশাপাশি গার্মেন্টস্ শিল্পকে বর্তমান অবস্থানে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন আপনার দেখানো পথের সংস্কার। ব্যান্ডের সহযোগীতা একান্ত কাম্য। উন্নয়নের দৌঁড়গোড়ায় একটি বিষয় গুরুত্বদেয়া আমাদের দরকার। কারণ এদেশের জনগণের মনে বিরুপ ভাবনা জাগিয়ে বা সরকারের সফল অর্জনকে বিসর্জন না দিয়ে কাজ করা ভাল। কথায় আছে এক বালতি দুধে একফুটা চেনাই যথেষ্ট। আর ইদানিং এই কাজগুলোই হচ্ছে বেশি। বিভিন্ন রাস্তাঘাট মেরামত বা নতুন রাস্তা নেয়ার ক্ষেত্রে জায়গার মালিকের সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করে বরং মামলা- হামলার ভয় দেখিয়ে রাতের আধারে কৃষিজ জমি যা এক থেকে দেড় মাস পরেই সোনালী ধান উপহার দিত সেই জমিনে নতুন রাস্তা করে ফেলেছে। এমনও শোনা যায় জমির মালিক রাস্তা দেয়ার ওয়াদাবদ্ধ কিন্তু ফসল ওঠার পরে রাস্তা নেয়ার অনুরোধ করলে তাকে জামাতি বানানোর ভয় দেখিয়ে রাতের আধারে রাস্তা প্রস্তুত করে দেখিয়েছে আওয়ামী সরকারের ক্ষমতা। এহেন কাজতো সরকারের সদিচ্ছার ফল নয়। সরকারকে এখনই চিন্তা-ভাবনা করে নতুন রাস্তায় কাজ শুরু করতে হবে এবং যারা অন্যায় এমনকি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদেরকে সংশোধন ও ক্ষতিগ্রস্থদের আস্থায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা ঐসকল ইতিবাচক মানুষগুলোই একদিন সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বাগড়া হয়ে দাঁড়াবে। আর তখন ঐ হুকমী-ধমকীধারী মানুষগুলো আর ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখার কাজে কিছুই করতে পারবে না। এখনই সময় স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় নেতাদের সংশোধন এবং পরিমার্জন না করলে আগামী দিনে মহা-বিপদ সংকেতও ডেকে আনতে পারে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব কেসষ্টাডি থেকেই লিখা এই উপলব্দিটা। কারণ ঐ মানুষগুলো এখন সম্পূর্ণ অসহায় এবং জনবান্ধব সরকার এর উপর নাখোশ। কারণ শুধু চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় নেতা (আতি,পাতি, সিকি) এদের ভুল সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের কারণে।
আরেকটি বিষয় বলতে হচ্ছে আমার নেত্রীর কাছে যে বাংলাদেশে যদি কোন বিদেশী নতুন ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশী উদ্যোক্তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে জয়েন্টভেঞ্চার কোম্পানী করে ব্যবসা করতে পারে। নতুন বর্তমানে দেখা যাচ্ছে টেক্স ফ্রী এর সুযোগে মাত্র ১০-২০ বা ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করে সফটওয়ার কোম্পানী করে বাংলাদেশী কোম্পানীকে পথে বসিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আমার জানামতে অনেক বিদেশী ক্লাইন্ট এখন ওই প্রজেক্টের সব লোকনিয়ে নিজেরা কোম্পানী খুলেছে এইদেশে। এবং এদের ইনভেষ্টমেন্টও সরকারের বেধে দেওয়া সেই ১লক্ষ ৫০ হাজার ডলার নয়। নামে মাত্র কয়েকটি কম্পিউটার কিনে ২০-৫০ হাজার ডলার দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। আমি বলতে চাই এই ধরনের লোকদের জন্য টেক্স এর সুযোগটা রহিত করা হউক। দেশীয় কোম্পানীগুলোকে রক্ষায় আন্তরিক পদক্ষেপ নেয়া হউক। নতুবা সুযোগ বুঝে কেটে পড়ে বাঙ্গালী উদ্যোক্তাকে পথে বসিয়ে এমনকি সরকারের বিশাল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে দেশউন্নয়নে বিশাদ ছেদ ঘটাবে।
পরিশেষে বলতে চাই আমাদের সরকার এবং এর উন্নয়ন টেকসইকল্পে আমাদের অঙ্গিকার এবং কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। আমরা থাকব জাগ্রত যেন সরকার এবং উন্নয়ন ২০৪১পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আমাদের লেখনি ইতিবাচক এবং আগামির দিকনির্দেশক। এই অগ্নিঝরা মার্চে এই হউক আমাদের শপথ।