টিআইএন॥ একজন শিশুর শৈশব থেকে বেড়ে উঠতে প্রতিটা মুহূর্তে যার অবদান সব চেয়ে বেশি থাকে তিনি হলেন মা। একজন মা শিশুকে যে আদর্শে শিক্ষা দিবেন বড় হয়ে ওই শিশু সেভাবে জীবনযাপন করবেন।’ মাকে পৃথিবীর সেরা অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারের শিশুর প্রতিটা প্রয়োজনের পুরো পরিকল্পনা একজন মাকেই করতে হয়। সন্তানের পড়াশুনা, কাপড়লতা, ইন্টারনেট সব কিছুই কেনার জন্য মাকে চিন্তা করতে হয়।’
পলক বলেন, ‘একজন মা পৃথিবীর সেরা উদ্যোক্তা। মা সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তার সন্তানকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করছেন। গাইড করছেন। যার জন্য বর্তমানে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করার অসংখ্য ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসেছে।’
বিশ্বজয়ের জন্য হাতিয়ার হিসেবে একটা ল্যাপটপই যথেষ্ট উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘পৃথিবীতে যারা প্রযুক্তিতে বিশ্ব জয় করেছেন এবং সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন, তাদের জন্য একটা ল্যাপটপই ছিল প্রধান হাতিয়ার।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের উদ্যোক্তা হওয়া জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছেন। তাদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যেমে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় ভাবা হতো নারীরা ঘরে থাকবে, শিশুদের লালনপালন করবে, সেলাই মিশিন চালাবে। এখন শিক্ষার হার বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসব কুসংস্কারকে দূর করে প্রগতিশীল সমাজ গড়তে শিক্ষাকে উন্নত করেছেন। ফলে সরকারিভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্ব বেড়েছে।’
ফেসবুক পরিচালনা বিভাগের প্রধান নারী কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশেও শেরিল স্যান্ডবার্গের মতো অনেক সফল নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। তারা নানাভাবে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা দেশের পূর্ণাঙ্গ শাক্তি হলো সে দেশের নারী ও পুরুষের এক সঙ্গে কাজ করার সুন্দর পরিবেশ। উন্নত বিশ্বে নারীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশেও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে।’ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় প্রযুক্তিতে নারীদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রযুক্তিপ্রেমী নারীদের এই সম্মেলন।