ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আত্মঘাতি জংগী নেতা তাজুল ইসলাম আল মাহমুদ ওরফে মামা হুজুর (৪৬) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো কসবায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান; গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল (১৬ মার্চ) গভীর রাতে কুটির মা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের নিকটে জনৈক কাইয়ুম মিয়ার বাড়ির পাশে অবস্থানরত জংগীদের ঘেরাও করলে জংগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উপর ককটেল ও গুলিবর্ষন শুরু করে। এমতাবস্থায় পাল্টা গুলিতে আত্মঘাতি জংগী নেতা তাজুল ইসলাম আল মাহমুদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অন্যান্য ৪/৫ জন জংগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশ তাদের আস্তানা থেকে ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, ৯ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি চাপাতি ও ৩৫ টি ককটেল উদ্ধার করে। পুলিশ আরো জানায় সে হরকাতুল জিহাদের অন্যতম আঞ্চলিক কমান্ডার। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুরে । সে কসবা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের কবিরাজ ফরিদ মিয়া হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ, আশুগঞ্জ ও নবীগঞ্জ থানায়ও একাধিক মামলা রয়েছে। বন্দুক যুদ্ধে এসআই বেলাল হোসেন, এসআই নুরুল হক, এসআই মহিউদ্দিন, পুলিশ কনস্টেবল নাজিম উদ্দিন ও ইব্রাহিম আহত হন। তাদের তাৎক্ষনিক কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় নিহত জংগী নেতা বিগত ৬/৭ বছর যাবত ছদ্মবেশ ধারন করে কসবার শাহপুর ও কুটি চৌমুহনীতে অবস্থান নিয়ে তার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।