বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। শান্তির দেশ। কৃষ্টি-কালচারে, আচারে-অনুষ্ঠানে, অথীতিপরায়নতায়, সেবায় এমনকি সৌন্দয্য ও উভয় সম্পদে ভরপুর বঙ্গবন্ধুর এই সোনার বাংলা। এখানে নেই এমন কিছু নেই; সবই রয়েছে শুধু উত্তোলিত এবং উদ্বেলিত করে সঠিক পরিকল্পনায় কাজে লাগানোই এখন সকলের কাজ। মানব সম্পদ এবং খনিজ সম্পদ দুটোই এখন মুখোমুখি। শুধু ব্যবহার করে উন্নয়ন এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের + সরকারের কাজ। ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এই দেশে এখন ঋতুরাজ বসন্তের ন্যায় দোল খাচ্ছে উন্নয়ন। আর এই উন্নয়ন গতিকে স্বব্ধ করতে ঘাপটি মেরে মুখে কুলুপ এটে বসে আছে উন্নয়ন বিরোধীরা। যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করে না এমনকি অনেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ এটাও বিশ্বাস করে না। এই দুইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক চক্র। যাদের চক্রান্ত শুধু এদেশের সম্পদ লুন্ঠক করার আশায়। সেই আশায় পানি দিয়ে জিইয়ে রাখতে আমাদের দেশের ক্ষমতালোভী ভেজা বিড়াল; যাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ সেই মানুষ জন নিরবে কাজ করে যাচ্ছে।
সরকার এবং জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়ে যাচ্ছে দেখে সুখে বা তৃপ্তিতে নেই সেইসকল জঙ্গী মদতদাতারা। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্ত যখন একটি সফলতার পর্যায়ে পৌঁছায় তখন সরকার এবং দেশীয় জনতার প্রতিরোধে তা তুষ বা তাসের ঘরের ন্যায় ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায়। এ দেখে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রীয় লোভ আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমাদের দেশের এই নোংরা খোলার খোরাক পূর্বে থেকেই চলে আসছিল কিন্তু একটি সময় তা শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু দু:ভাগ্য আমাদের তা হয়নি। আমরা এই চক্রান্তকের শেষ করতে পারছি না। কেন পারছিনা তা আমাদের সকলেরই জানা। এর বিষদাত ভাঙ্গতে যা যা প্রয়োজন সবই এখন সরকারের হাতে কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস সেই বিষদাত ভাঙ্গতে এবং আন্তর্জাতিক চাক্রান্তের নিলনকসা ভেদ করতে সময় ক্ষেপন হচ্ছে। যা জাতীর জন্য এবং সরকারের জন্য শুভ নয়।
বিএনপি জামাত জোট কি বিলুপ্ত হয়েছে? তারা কি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে? উত্তর না। আর তাই যদি হয় তাহলে ষড়যন্ত্র এবং জঙ্গিবাদ কিভাবে নির্মূল হবে? জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এর উৎপত্তি সেই আদী বা পূর্ব-পাকিস্তান থেকে। কিন্তু তাঁর ছেদ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু একটি শান্তির ব্যবস্থা করে স্বাধীন বাংলাদেশ রচনায় যখন হাত দিলেন তখনইতো সেই স্বাধীন এবং শান্তির কবর প্রাপ্তী ঘটে। কিন্তু আজ যখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা আবার সেই গোড়ায় হাত দিয়ে কাজ শুরু করেছেন তখনই আবার সেই সন্ত্রাসীরা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালিত করে যাচ্ছে। কিন্তু সফল হতে পারছে না। এই ভেবে শান্তি অনুভব করার কোন কারণ আমি দেখি না। বরং আমি এই অশুভ শক্তির পিছনে সময় ব্যায় না করে বরং এর পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে কতিপয় পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। যদিও শুনতে অনেকের কাছে ভাল লাগবে না কিন্তু বাংলাদেশের সম্বৃদ্ধি এবং অস্তিত্ব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তির দেশ, সম্বৃদ্ধির দেশ হিসেবে টিকিয়ে রাখতে এই কাজগুলো করতেই হবে। আমাদের সমর্থন আছে এবং থাকবে। কিন্তু পদক্ষেপতে সরকারকেই নিতে হবে।
প্রথমত: বর্তমান বিএনপির নের্তৃস্থানীয় কাউকে এই দেশে বা জীবিত রাখা যাবে না। তাদেরকে মার্সাল কোর্টে বিচার করে ফাসিতে ঝোলাতে হবে। সাধারণ সমর্থকদের বোঝাতে হবে এইটা স্বাধীনতার পর পরই করার দরকার ছিল। না করে ক্ষমা দেখানোই আজ বাংলাদেশ পিছিয়েছে এবং এই জঙ্গি, সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মকান্ড পরিচালিত করে যাচ্ছে। আপনার, আমার, সকলের ভালর জন্য এই জঘন্য ঘৃনীতদের জীবনাবসান দরকার।
দ্বিতীয়ত: জামাতি যারা এখনও ক্ষমতা এবং তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছে তাদের ঠিক একই কায়দায় শেষ করে দিতে হবে। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশের কল্যাণে ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিষ্ঠান এখনও যা রয়েছে সেগুলি রাষ্ট্রিয় মালিকানায় এনে তাদের হাতে নিয়োগপ্রাপ্তদের যাচাই-বাছাই করে যারা স্বাধীনতার পক্ষের তাদের রেখে বাকীদের ছাটাই করে দেশের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয়ত: বিভিন্ন নামে ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে তা বন্ধ করে ঐ নেতাদেরকে এই দেশ থেকে পরিবারসহ বিতারিত করে দিতে হবে। যাতে করে আর নতুন ষড়যন্ত্রের কোন সুযোগ তৈরী না হয়। ধর্মকে যারা রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাই তাদেরকে এক মৃত্যু অথবা দেশ থেকে বিতারণ এই ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে জঙ্গিবাদ নিমূলে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। আরো যারা এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। জনগণের সহায়তাই এখনই এই কাজটুকু সম্পন্ন করতে হবে। আর এই কাজে পরিবার এবং সমাজ থেকে সরকারকে সহযোগীতা করতে হবে।
চতুর্থত: বুদ্ধিজীবী (বুদ্ধিবেশ্যা), স্বঘোষিত নাগরিক সমাজের নেতা যারা; তাদেরকে দমন করতে হবে। কারণ তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা রক্তচোষা বাদুর বা জোক হয়ে দেশ ও দেশের নীরিহ মানুষকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। এই সুধি সুশিল সমাজের কালো মুখগুলোকে বিতাড়িত করতে হবে। ড: ইউনুছ টাইপের মানুষ খেকোদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত দেশের উন্নয়ন গতি গতিশীলতা পাবে না। কারণ তাদের ছোবল; ক্ষমতা ও অর্থের লোভে এরা দেশ, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রকে বিনাশ না করা পর্যন্ত এদের চক্রান্ত থামাবে না। কারণ তাদের সুখ গরিবের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন। গরীবের ধন-সম্পদ লুন্ঠন। এই লোকগুলোর কোন স্থীরতা নেই এবং নৈতিকতার বিবর্তনে এরা আজ শুধু খোলস। এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিছু আন্তর্জাতিক চক্রের দালালদের সংগঠন যা বিভিন্ন নামে কাজ করে। এই যারা নিজেরাই ট্রান্সপারেন্ট নয় তারা আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নাম নিয়ে দালালী, চাটুকারীতা এবং সাধারণ মানুষকে ঠকানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের গতিশীলতাকে বিনষ্ট করে যাচ্ছে। তাদেরকে এখনই কার্যক্রমসহ অফিস গোটানোর নোটিশ দিয়ে প্রত্যেকটি ভাবধারী জ্ঞানপাপীদেরকে অবৈতনিক কর্মকান্ডে নিযুক্ত করে প্রর্কৃত বাংলাদেশ প্রেমী হওয়াতে হবে। নতুবা স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
জঙ্গিবাদের মূল শিকড়ের সন্ধান পাওয়ায় এখন সময় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের। আমরা এদের সবকিছুই জেনেছি এবং সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে বা তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং যাব। তবে মূল ভুমিকা এবং কাজটুকু সরকারকেই করতে হবে। আসুন এখনই কাজটুকু সম্পন্ন করি। নতুবা আরো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। চট্টগ্রাম এবং সিলেটের এমনকি ঢাকার এই কয়েকদিনের সৃষ্ট ঘটনাগুলি কি প্রমান করাতে চায়! যাই করুক না কেন আমাদের জনগণ এখন সচেতন এবং সরকার কঠোর। ইসলামী ভুল শিক্ষায় যে অপমৃত্যু হচ্ছে এমনকি একটি পরিবার পথে নামছে তা দেখে অন্য সকল মানুষ আর এই কাজে যুক্ত হতে নিরুৎসাহিত হয়ে অন্যদেরকে সঠিক পথে জীবন যাপন করতে উৎসাহিত করে যাচ্ছে।
পত্র-পত্রিকা ও টিভি নিউজ দেখে মানুষ সচেতন হতে পারে। বাংলাদেশ ফেসবুক ফ্রেন্ডস্ সোসাইটি তাদের ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে এই রহস্যের মুল উৎপাটন করতে পারে। আগামী দিনের এই জঙ্গিবাদ নির্মূল করা শুধু পুলিশের একার দায়িত্ব নয়। দেশবাসি সকলের দায়িত্ব। আর একটি বিষয় না বললেই নয়, নিউজ কাষ্টার বা লাইভ নিজউ নিয়ে অনেক বলার আছে। টাকা ছাড়া কোন নিউজ পত্রিকায়ও ছাপে না এমনকি টিভিতেও প্রচার করে না। কিন্ত খারাপ যা সমাজের ও আগামী প্রজন্মের জন্য বিষ সেইসব বিষ টিভিতেও প্রচার করে এবং পত্রিকার পাতায়ও ছাপা হয়। এখন আমাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে আগামীর জন্য কিছু একটা করতে হবে। আজ সকালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি স্কল ও লাইভ ছিল ছিলেটের ঘটনা। কিন্তু অনেক অনুরোধ করেও সরকারের নীতি বাস্তবায়ন করানো যায়নি। লাইভ দেখিয়ে ও স্কলে লিখে কি জঙ্গিদের সজাগ করাতেই চ্যানেলের কাজ ছিল নাকি বন্ধ করে সরকারের সঙ্গে জঙ্গি দমনে হাত মিলানো উচিত ছিল। আমি আশা এর বেশি আর বলার প্রয়োজন নেই। হলি আর্টিজান এর অভিজ্ঞতা কি আমরা অল্পদিনেই ভুলে গিয়েছি?
যখনই ষড়যন্ত্র ফাস হয় এবং কঠিন হস্তে দমন হয় জঙ্গি বলুন আর সন্ত্রাসীই বলুন তাদের কৃতকর্ম। কিন্তু তাদের কৃতকর্মই ডাকতে এবং জনগণের দৃষ্টিকে সড়াতেই ষড়যন্ত্রকারীরা পাগলের প্রলাপ বকেন। দলীয়ভাবে সাধারণ মানুষের আবেককে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু যারা সচেতন এবং নিজের বিবেক ও মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে সত্যটা উপলব্দি করতে পারেন তারাতো আর ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের সমর্থন জোগাবে না। কিন্তু যারা বুঝতে ও জানতে এমনকি অনুধাবন করতে অপারগ তারাতো সমর্থন যুগিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছেন। ঐসকল লোকদের রক্ষার স্বার্থে এবং দেশকে রক্ষার স্বার্থে এখনই পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সময় থাকতেই কাজে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। আশা করি আগামী দিনে এর প্রতিফলন দেখতে পাব এবং প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতির চুড়ান্ত বাস্তবায়ন হবে। আমার এই লিখা মার্চের অগ্নিঝড়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ভুমিকায় অবতীর্ণ হউক।